কথায় আছে রক্ষক যখন ভক্ষক হয়, তখন পালাবার পথ থাকে না৷ বার্লিনেও ঠিক সেই ঘটনাই ঘটছে৷ সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা তরুণ শরণার্থীদের ভালো পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ঠেলে দিচ্ছে পতিতাবৃত্তির দিকে৷
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার জার্মান টেলিভিশন চ্যানেল জেডডিএফ-এর এক অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে এই ভয়াবহ তথ্য৷ বার্লিনে শরণার্থীদের থাকার বেশ কয়েকটি আবাসন কেন্দ্র রয়েছে৷ সেখানকার তরুণ শরণার্থীদের অর্থের লোভ দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করছে নিরাপত্তা কর্মীরা৷
সমাজকর্মী, শরণার্থী এবং নিরাপত্তা কোম্পানিতে যারা কাজ করেন, তাঁদের কথাতেই উঠে এসেছে এই কাহিনি৷ ‘ফ্রন্টাল ২১' নামে একটি অনুষ্ঠানে এদের অনেকেই জানিয়েছেন, অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও এই কাজে বাধ্য করছে নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীরা৷ এই নিরাপত্তা কর্মীরা সবসময় শরণার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং তাঁদের বোঝাতে থাকেন, পতিতাবৃত্তি তাঁদের কতটা সচ্ছ্বলতা এনে দিতে পারে৷ তাঁদের লক্ষ্যই থাকে কম বয়সি শরণার্থীদের দিকে৷ তাঁদের শরীর বিক্রির মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন এই নিরাপত্তা কর্মীরা৷
অভিবাসীদের যৌন শিক্ষা দিচ্ছে জার্মানি
যৌন শিক্ষা বিষয়ক এক ওয়েবসাইট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জার্মানিতে৷ মূলত অভিবাসীদের জন্য তৈরি এই সাইটটিতে যৌনাঙ্গ থেকে শুরু করে গর্ভধারণ, হস্তমৈথুন, যৌন সুখের মতো বিষয়গুলি চিত্রলিপিতে দেখানো হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
যৌনতা এক ‘নিষিদ্ধ’ বিষয়
আরবি, তুর্কি, ইংরেজি, জার্মানসহ মোট ১২টি ভাষায় যৌনতা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য এবং চিত্রলিপি প্রকাশ করেছে জার্মান সরকার৷ অভিবাসীদের নারী, পুরুষের দেহ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতেই এই উদ্যোগ৷ কেননা, সরকার মনে করছে, তারা এমন অনেক দেশ থেকে এসেছে, যেখানে যৌনতা নিষিদ্ধ এক বিষয়৷ চলুন দেখে নেই সাইটটিতে ঠিক কী আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Wuestenhagen
বিভিন্ন যৌন সমস্যার সমাধান
মোট ছয়টি বিভাগে যৌনতা, যৌন মিলন, সম্ভোগের রকমফের, যৌনতা বিষয়ক অধিকারের কথা তুলে ধরা হয়েছে সাইটটিতে৷ তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে ‘সেক্স’ বিভাগটি নিয়ে৷ এতে প্রথমবার সেক্স, কুমারিত্ব, যৌনাসন এবং বিভিন্ন যৌন সমস্যার সমাধান চিত্রলিপির মাধ্যমে ব্যাখা করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel
আকার গুরুত্বপূর্ণ নয়, যৌনাঙ্গচ্ছেদ নিষিদ্ধ
ওয়েবসাইটটির ‘বডি’ অংশে নারী-পুরুষের দেহের ধরন, যৌনাঙ্গ, বীর্য ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়েছে৷ পুরুষাঙ্গের আকার বা গড়ন যে যৌন সুখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, তা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এই বিভাগে৷ রয়েছে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ যে ইউরোপে পুরোপুরি নিষিদ্ধ, সেই কথাও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গর্ভধারণ ও যৌন মিলন
সন্তান জন্মদানের পুরো প্রক্রিয়া এই বিভাগে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে৷ সাথে গর্ভধারণের পর কতদিন এবং কিভাবে যৌন সম্পর্ক অব্যাহত রাখা যায়, তা-ও জানানো হয়েছে৷ বলা হয়েছে, কেউ যদি ভুল করে গর্ভধারণ করেন, তাহলে চাইলে গর্ভপাত না করে বাচ্চাটি জন্মের পর দত্তক দেয়া যেতে পারে৷ তবে গর্ভপাতে কোনো বাধা নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
কনডম যেভাবে পরবেন
কখনো জানতে চেয়েছেন কনডম কী? ওয়েবসাইটটির এই বিভাগে কনডম ব্যবহারের উপায় চিত্রলিপিতে পরিষ্কারভাবে দেখানো হয়েছে৷ পাশাপাশি অনিরাপদ যৌন জীবনের ফলে নারী ও পুরুষের কী কী রোগ হতে পারে এবং কী করলে তা থেকে মুক্তি সম্ভব, সে কথাও জানানো হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/chromorange
সঙ্গীকে দোষ না দিয়ে কথা বলুন
হোক সে যৌন জীবন কিংবা যৌথ সম্পর্কের অন্য কোনো দিক, যে কোনো বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে সময় নিয়ে খোলামেলা আলোচনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ওয়েবসাইটে৷ তবে আলোচনায় একে-অপরকে দোষ না দিয়ে বরং কার কী প্রত্যাশা সেদিকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে৷ প্রয়োজনে সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার উপায়ও জানানো হয়েছে সাইটটিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যৌনসম্মতির বয়স ১৮ বছর
জার্মানিতে ১৪ বা ১৫ বছরের একটি ছেলে বা মেয়ে একই বয়সের সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে পারে৷ কিন্তু সেই বয়সের একটি ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে ১৬ বা তার বেশি বয়সের কেউ যৌন সম্পর্কে জড়ালে সেটা অপরাধ৷ এমনকি কম বয়সি সঙ্গী সম্মতি দিলেও৷ যৌন মিলনের জন্য নিরাপদ বয়স কমপক্ষে আঠারো৷
ছবি: picture-alliance/Beyond
অভিবাসীদের কি যৌন শিক্ষার দরকার আছে?
এই প্রশ্নটা অনেকেই করছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে৷ এর মানে কি অভিবাসীরা যৌন মিলন সম্পর্কে অজ্ঞাত? এ সব প্রশ্নের জবাবে নির্মাতার জানিয়েছেন, বিশ্বের অনেক দেশে যৌনতা নিয়ে আলোচনা এক ‘নিষিদ্ধ বিষয়’৷ তাই দরকার এমন একটা সাইট৷ বাংলা ভাষাতেও এ রকম একটি সাইটের দরকার বলে ফেসবুকে লিখেছেন একাধিক বাংলা ব্লগার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিত্রলিপির ‘কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ, শেতাঙ্গ নারী’
ওয়েবসাইটটিতে প্রদর্শিত যৌন মিলনের কিছু চিত্রলিপিতে পুরুষকে কৃষ্ণবর্ণে এবং নারীকে শ্বেতবর্ণে দেখানো হয়েছে৷ আর এটা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপত্তি করেছেন অনেকে৷ কারো কারো মতে, শরণার্থী বা অভিবাসীদের যৌনশিক্ষা, যেমন কনডম পরানো শেখানোর মাধ্যমে আসলে বোঝানো হয়েছে যে, তারা কিছুই জানে না, যা একধরনের ‘বৈষম্যমূলক মনোভাব’৷
ছবি: Andreas Wolf/Fotolia
যারা তৈরি করেছেন
বেলজিয়ামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে জার্মানির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যশিক্ষা কেন্দ্র ‘জানজু ডটডিই’ ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে৷ এ জন্য সময় লেগেছে তিন বছর৷ মূলত অভিবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্ন এবং প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে সাইটটি তৈরি করা হয়৷ তিন সপ্তাহ আগে প্রকাশের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার মানুষ এটি ‘ভিজিট’ করছেন৷
ছবি: zanzu.de
10 ছবি1 | 10
এমনই এক নিরাপত্তা কর্মী ঐ অনুষ্ঠানে জানালেন, ‘‘শরণার্থীরা যদি আকর্ষণীয় এবং কম বয়স্ক হয়, অর্থাৎ ১৬ বা এর চেয়ে কিছুটা বেশি, তাহলে তাদের দাম ধরা হয় সবচেয়ে বেশি৷’’ তিনি আরও জানালেন, এই তরুণদের খদ্দেরের কাছ থেকে জন প্রতি ২০ ইউরো করে নেন তিনি৷
শরণার্থী কেন্দ্রের ২০ বছর বয়সি এক আফগান তরুণ জানালেন, সম্প্রতি তাঁর জার্মানিতে থাকার আবেদন নাকচ হয়ে গেছে৷ ঠিক সেই সময় এক নিরাপত্তাকর্মী তাঁর কাছে এ ধরনের এক প্রস্তাব নিয়ে আসে৷ তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘‘ব্যবসা করতে চাও? ইউরো কামাতে চাও? একজন নারীর সঙ্গে যৌনকর্মের বিনিময়ে তুমি ৪০ ইউরো পেতে পারো৷’’
তরুণটি জানায়, সে ভীষণ লজ্জা পেয়েছিল এই প্রস্তাব শুনে৷ কিন্তু তাঁর অর্থের ভীষণ প্রয়োজন ছিল৷
এক সমাজকর্মী, যিনি বার্লিনের শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করেন, তিনি জেডডিএফকে জানালেন, নিরাপত্তাকর্মীদের শরণার্থীদের অর্থ দিতে দেখেছেন তিনি৷ শরণার্থীদের কাছ থেকে জেনেছেন, অল্প বয়স্ক তরুণদের পতিতাবৃত্তিতে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, এদের অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক৷
বার্লিনের সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই ব্যাপারটি তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে৷ কর্তৃপক্ষকে এই চক্রের ব্যাপারে যথাযথ তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর৷
গত সেপ্টেম্বরে এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, ইউরোপে শরণার্থীদের মধ্যে ৭৫ ভাগকে জোরপূর্বক কাজ করানো, যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ এবং নানা ধরণের নির্যাতনের শিকার হতে হয়৷ বিভিন্ন দাতা সংস্থাও জার্মানিতে তরুণ শরণার্থীদের পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত হওয়ার ঘটনার কথা জানিয়েছে৷ বার্লিনের টিয়ারগার্টেন পার্ক যৌন সঙ্গী খোঁজার অন্যতম স্থান হয়ে উঠেছে, যেখানে বয়স্ক মানুষরা যৌন চাহিদা মেটাতে অর্থের বিনিময়ে তরুণ ছেলেদের খোঁজে৷
এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)
শরণার্থী সংকটের কিছু আইকনিক ছবি
ইউরোপে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী প্রবেশের ছবি গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে এবং মানুষের মতামত সৃষ্টিতে প্রভাব বিস্তার করেছে৷ অভিবাসন এবং অভিবাসনের ফলে সৃষ্ট ভোগান্তির এত ছবি আগে দেখেনি বিশ্ব৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/E. Morenatti
লক্ষ্য: টিকে থাকা
অনিশ্চিত যাত্রার ধকল সামলাতে হয় শারীরিক এবং মানসিকভাবে৷ ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে হাজার হাজার সিরীয় নাগরিক তুরস্ক হয়ে গ্রিসে জড়ো হয়েছেন৷ সে দেশের তিনটি দ্বীপে এখনো দশ হাজারের মতো শরণার্থী বসবাস করছেন৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস অবধি ছয় হাজার নতুন শরণার্থী এসেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Messinis
পায়ে হেঁটে ইউরোপে
২০১৫ এবং ২০১৬ সালে এক মিলিয়নের বেশি মানুষ গ্রিস ও তুরস্ক থেকে পশ্চিম ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেছে৷ ম্যাসিডোনিয়া, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, অর্থাৎ বলকান রুট ব্যবহার করে তাদের এই যাত্রার অধিকাংশই ছিল পায়ে হেঁটে৷ অভিবাসীদের এই যাত্রা বন্ধ হয়ে যায়, যখন রুটটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং কয়েকটি দেশ সীমান্তে বেড়া দিয়ে দেয়৷
ছবি: Getty Images/J. Mitchell
বৈশ্বিক আতঙ্ক
এই ছবিটি গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে৷ তিন বছর বয়সি সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির মরদেহ তুরস্কে সমুদ্রতটে ভেসে ওঠে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে৷ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং শরণার্থী সংকটের প্রতীকে পরিণত হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/DHA
বিশৃঙ্খলা এবং হতাশা
শেষ সময়ের ভিড়৷ ইউরোপে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শুনে ক্রোয়েশিয়াতে এভাবে ট্রেনে এবং বাসে উঠতে দেখা যায় অসংখ্য শরণার্থীকে৷ ২০১৫ সালের অক্টোবরে হাঙ্গেরি সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং শরণার্থীদের জন্য কন্টেইনার ক্যাম্প তৈরি করে৷
ছবি: Getty Images/J. J. Mitchell
বিবেকবর্জিত সাংবাদিকতা
হাঙ্গেরির এক সাংবাদিক এক শরণার্থীকে ল্যাং মেরে ফেলে দেয়ার ভিডিও নিয়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ সার্বিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন হাঙ্গেরির একটি এলাকার সেই ঘটনায় আলোচিত সাংবাদিকের চাকুরি চলে যায়৷
ছবি: Reuters/M. Djurica
উন্মুক্ত সীমান্ত নয়
২০১৬ সালের মার্চে বলকান রুট আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়ার পর সীমান্তগুলোতে আরো আবেগপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়৷ হাজার হাজার শরণার্থী বিভিন্ন সীমান্তে আটকা পড়ে এবং তাদের সঙ্গে বর্বর আচরণের খবর পাওয়া যায় বিভিন্ন স্থান থেকে৷ অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে৷
ধুলা এবং রক্তে ঢাকা এক শিশু৷ পাঁচবছর বয়সি ওমরানের এই ছবিটি প্রকাশ হয় ২০১৬ সালে৷ আয়লান কুর্দির ছবির মতো এই ছবিটিও গোটা বিশ্বকে আরেকবার নাড়িয়ে দেয়৷ সিরীয়ায় গৃহযুদ্ধ কতটা বিভৎস পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে এবং সিরীয়রা কতটা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, তার এক প্রতীক হয়ে ওঠে ছবিটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Aleppo Media Center
অজানা নতুন ঠিকানা
গ্রিক-ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তের ইডোমিনিতে নিজের মেয়েকে কোলে নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় হাঁটছেন এক সিরীয় নাগরিক৷ ইউরোপে তাঁর পরিবার নিরাপদ থাকবে, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল তাঁর৷ ডাবলিন রেগুলেশন অনুযায়ী, একজন শরণার্থী প্রথম ইউরোপের যে দেশে প্রবেশ করেন, সে দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে হবে৷ ফলে যারা আরো ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন, তাদের অনেককে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷
ছবি: Reuters/Y. Behrakis
সহযোগিতার আশা
বিপুল সংখ্যক শরণার্থী প্রবেশের কারণে জার্মানি অভিবাসন নীতি আরো কড়া করে ফেললেও এখনো শরণার্থীদের প্রথম পছন্দ জার্মানি৷ ইউরোপের আর কোনো দেশ জার্মানির মতো এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থী নেয়নি৷ ২০১৫ সালে সঙ্কট শুরুর পর থেকে দেশটি ১২ লক্ষ শরণার্থী নিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe
ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা
ইউরোপে শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যা চলতি বছর কমেছে, তবে থেমে যায়নি৷ বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ডুবে মরছে অনেকে৷ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকারের হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছর এখন অবধি সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মারা গেছে প্রায় দু’হাজার মানুষ৷ গতবছর এই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার৷