রোবোটের নাম ‘নাও'৷ সে নাচতে পারে, বাচ্চাদের পড়াতেও পারে৷ নাও এখন জার্মানিতে আসা শরণার্থী শিশুদের জার্মান ভাষা শেখাতে ব্যস্ত৷ ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, সেন্সরে সুসজ্জিত ভাষাশিক্ষক রোবোটের দারুণ সময় কাটছে শিশুদের সঙ্গে৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির বিলেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শরণার্থী শিশুদের ভাষা শেখানোর এক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে নাও৷ প্রায় তিন বছরের এক মানবশিশুর উচ্চতার এই রোবোট ছ'বছর আগে চীনের সাংহাই এক্সপো-তে হাজির হয়েই তাক লাগিয়ে দিয়েছিল৷ যে রোবোট মনের মতো রোবোট পেলে মহানন্দে নাচতেও পারে তাকে দেখে অবাক কে না হবে, বলুন!
বিলেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নাও-এর দায়িত্ব শরণার্থী শিশুদের জার্মান শেখানো৷ তাঁর মেমরিতে অনেক জার্মান শব্দ, ব্যকরণের অনেক নিয়ম এবং ব্যখ্যা আগেই ঢুকিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ ফলে বাচ্চাদের জার্মান পড়াতে তেমন কোনো অসুবিধা হচ্ছে না৷ শ্রেণিকক্ষে ঝানু শিক্ষকের মতো নানা প্রশ্ন করছে নাও৷
উত্তর ভুল হলে সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠছে, ‘নাইন, নাইন, ডাস ইস্ট ফালশ৷' সঠিক উত্তরটা জানিয়ে দিতেও ভুল হচ্ছে না তার৷
সমস্যা শুধু এক জায়গায়৷ শিশুদের আবেগ-অনুভূতি বুঝে রোবোট কিভাবে পড়াবে? শিশুদের অনুভূতি না বুঝলে তাদের মনে ভাষা শেখার আগ্রহ বাড়াবে কী করে রোবোট? নাও-কে নিয়ে এখন এটাই একমাত্র দুশ্চিন্তা৷
রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন করবে রোবট?
রোবট, যন্ত্রের তৈরি মানুষগুলো শুধু যে চোখ পিটপিট তাকাতে আর শব্দ করতে পারে, তা নয়৷ চীনের বেশ কিছু রোস্তোরাঁয় আজকাল অতিথি আপ্যায়নেও কোমর বেঁধেছে তারা৷ চলুন যন্ত্রমানবের কাজ দেখতে ঘুরে আসা যাক সেরকমই একটি রেস্তোরাঁ থেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Zhang
আপনার অর্ডার, প্লিজ...
শুধু প্রযুক্তিগত চমক দেখানোই নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে একেবারে সামনের সাড়িতে রয়েছে চীন৷ তবে সেই সব আধুনিক প্রযুক্তি আদৌ ব্যবহারযোগ্য কিনা – সেটা অবশ্য দেখার বিষয়৷ ছবিতে দেখুন অতিথিদের খাওয়ার অর্ডার নোওয়াসহ হাজারো কাজ নিয়ে মেতেছে রোবট৷
ছবি: picture-alliance/epa/P. Hilton
খাবার তৈরি!
এই ছোট্ট হিউম্যানয়েড রোবটগুলো খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রে খুবই পারদর্শী৷ এদের সুবিধা হলো এই যে, এরা ক্লান্ত হয় না আর কাজ করতেও কোনো ঝামেলা করে না৷ বরং ওরা শুধুই নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে জানে৷ অবশ্য রোবটের পরিবেশিত খাদ্য খেতে অতিথিদের কোনো অভিযোগ থাকলে, সেটা ভিন্ন ব্যাপার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/ChinaFotoPress/MAXPPP
শেফকুক রোবট
রোবট শুধু অতিথিদের অর্ডারই নেয় না, তারা উনুনের সামনে দাঁড়িয়ে খাবার গরমও করে৷ ছবিতে দেখুন আগে থেকে তৈরি করা খাবার গরম করছে রোবট৷ তবে তরকারি কাটাবাছা বা এ ধরনের কাজগুলো মানুষ সহকর্মীদেরই আগে থেকে করে দিতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/ChinaFotoPress/MAXPPP
নানা ধরনের রোবট
তবে সব রেস্তোরাঁর রোবট কিন্তু এই গ্যালারির ছবিগুলোর মতো দেখতে যন্ত্রমানবের মতো নয়৷ এখানে যে কাজটা করা হচ্ছে, সে অংশটুকুই দেখানো হচ্ছে৷ অর্থাৎ শুধু মাথাটাই দেখানো হচ্ছে, হাত বা পা নয়৷ রেস্তোরাঁর রান্নাঘরের রোবটগুলো, অর্থাৎ যে রোবটগুলো রেস্তোরাঁর অতিথিদের সামনে যায় না, সেগুলো এরকমই হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিনোদনেও রোবট
সাংহাই-এর কাছে এই রোবট-রেস্তোরাঁতে খাবারের চেয়ে কিন্তু বিনোদন অনুষ্ঠানই বেশি আনন্দদায়ক৷ ইন্টারনেটে করা মন্তব্য থেকে অন্তত এ তথ্যই জানা যায়৷ অর্থাৎ এই রেস্তোরাঁয় অতিথিরা খাবারের চেয়ে বিনোদনটাই বেশি উপভোগ করেন৷