গ্রিক শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত শিশুদের নিতে আগ্রহী ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নিয়ে একটি জোট গড়ার চেষ্টা করছে জার্মানি৷ তবে ২০১৫ সালের মতো কোন শরণার্থী সংকট যাতে না হয় তা এড়াতে সচেষ্ট ইইউ৷
বিজ্ঞাপন
গ্রিসের জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত শিশুদের একটি অংশকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জার্মানি৷ সোমবার জার্মান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই তথ্য৷ তবে, ইউরোপের অন্য যেসব দেশ শিশুদের আশ্রয় দিতে আগ্রহী, সেসব দেশ নিয়ে গড়া জোটের অংশ হিসেবে শিশুদের দায়িত্ব নিতে চায় ইউরোপের কেন্দ্রের দেশটি৷
জোট সরকারের সঙ্গীদের সঙ্গে গ্রিস সীমান্ত সংলগ্ন শরণার্থী শিবিরগুলোতে সৃষ্ট মানবিক সংকট নিয়ে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের আলোচনার পর এই ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি৷ সম্প্রতি গ্রিসে প্রবেশে আগ্রহী শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার তুরস্কের ঘোষণার পর থেকে দেশটিতে অবস্থিত অনেক শরণার্থী গ্রিস সীমান্ত জড়ো হয়৷ তবে, গ্রিক সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তখন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে নতুন এই শরণার্থীদের জন্য ইউরোপের সীমান্ত খোলা হবে না৷
শিশু শরণার্থীদের ক্ষেত্রে জার্মানির ঘোষণা এক্ষেত্রে এক ব্যতিক্রমই বলা যেতে পারে৷ প্রাথমিকভাবে গ্রিক শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত জরুরী সহায়তা দরকার এমন এক থেকে দেড় হাজার শিশুকে সনাক্ত করা হবে৷ বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়েসি অভিভাবকহীন শিশুরা এবং জরুরী চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন এমন শিশুদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে৷ আর এই নীতিমালা অনুসারে মেয়েরা প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি৷
জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম শরিক দল সিডিইউ এর চেয়ার আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাওয়ার জানিয়েছেন, ফ্রান্সও সম্ভবত শিশুদের নিতে আগ্রহীদের জোটের অংশ হবে৷ এছাড়া ইউরোপের অন্য কোন কোন দেশ এই জোটে থাকবে তা এখনো পরিষ্কার নয়৷
পূর্ণ বিজয় নিশ্চিত করতে রাশিয়ার সহায়তায় আসাদ বাহিনী ফেব্রুয়ারিতে ইদলিবে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে, যার সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে শিশুরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Watad
নয় লাখ বাস্তুহারা
ইদলিবে গত তিন মাসে প্রায় নয় লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে৷ শুধু ফ্রেব্রুয়ারিতেই বাস্তুহারা হয়েছে তিন লাখ মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/AA/M. Said
তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে
প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু৷ তুরস্ক সীমান্তের কাছে তুষার ঢাকা পাহাড়ি এলাকায় নানা অস্থায়ী ক্যাম্পে তারা আশ্রয় নিয়েছে৷ সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস সাতের নীচে নেমে যাচ্ছে৷ প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিশেষ করে শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/AA/H. Harrat
সমরযানের দীর্ঘ সারি
তুরস্ক সমর্থন দিচ্ছে বিদ্রোহীদের আর রাশিয়া সমর্থিত সিরীয় বাহিনী বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটি ইদলিব দখলে ফেব্রুয়ারি থেকে মরিয়া৷ আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চেষ্টাও ভেস্তে যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/AA/C. Genco
এম৫ মহাসড়ক
গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী আলেপ্পোর সঙ্গে ইদলিবকে জুড়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরে এটির দখল নিতে চাইছে সিরীয় বাহিনী৷ গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার বোমারু বিমানের সহায়তায় মহাসড়কটিসহ ইদলিবের প্রায় পুরোটাই দখলে নিয়েছে তারা৷
ছবি: picture-alliance/AA/M. Said
রাশিয়ার বোমা হামলা
শরণার্থী ক্যাম্প, হাসপাতাল বা স্কুল- কোনো বাছবিচার না করেই রুশ বিমান হামলা চালাচ্ছে৷ জাতিসংঘ জানায়, গত দেড় মাসে ইদলিবে প্রায় তিনশ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে৷ তাদের ৯৩ শতাংশকে হত্যা করেছে আসাদ বাহিনী ও তাদের মিত্ররা৷
বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েও সাধারণ মানুষ প্রাণ রক্ষা করতে পারছে না৷ কারণ, শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতেও হামলা হচ্ছে৷ অনেক পরিবার রাস্তাতেই থাকছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Alkharboutli
ফাঁদে বন্দি মানুষ
প্রায় ৩৫ লাখ সিরীয় শারণার্থী আগে থেকেই তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে৷ ওই বোঝা আর বাড়াতে রাজি নয় তুরস্ক সরকার৷ তাই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে৷ ফলে ইদলিবের সাধারণ মানুষদের আশ্রয়ের কোনো জায়গা নেই৷
ছবি: picture-alliance/AA/M. Said
9 ছবি1 | 9
‘চাপের কাছে নতি স্বীকার' করবে না ইইউ
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার ইদলিব রাজ্যে কিছুদিন আগে তুর্কি বাহিনীর সঙ্গে রাশিয়া সমর্থিত সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি হলে তুরস্ক সীমান্তে শরণার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায়৷ তুরস্ক ইতোমধ্যে ২০১৬ সালে ইইউ এর সঙ্গে এক চুক্তির আওতায় ৩৫ লাখের মতো সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে৷ আর এজন্য দেশটিকে কোটি কোটি ইউরো দিচ্ছে ইইউ৷
ইইউ এই অর্থ সহায়তা আরো না বাড়ালে নতুন আগত শরণার্থীদের দেশটিতে আশ্রয় দেয়া হবে না বলে জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ কিন্তু, ইইউ এর বিদেশ নীতি বিষয়ক কাউন্সিল গত সপ্তাহে সাফ জানিয়েছে কোন রকম চাপের কাছে নতি স্বীকার করে তুরস্ককে বাড়তি পয়সা দেয়া হবে না৷
এআই/কেএম (এএফপি, ডিপিএ)
সাগর পথে এখনো ইউরোপে ঢুকছেন বাংলাদেশিরা
ভূমধ্যসাগর থেকে শরণার্থীদের উদ্ধার করা জাহাজ ওশান ভাইকিংসে কিছুদিন কাটিয়েছেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক মিওদ্রাক জরিচ৷ সেখানে তিনি অন্যান্য দেশের শরণার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও দেখেছেন৷
ছবি: DW/M. Soric
ওশান ভাইকিংয়ে চড়ে সমুদ্রে
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝির দিকে ওশান ভাইকিংসের ক্রুদের দুই সপ্তাহের সঙ্গী হই আমি৷ জাহাজটিতে থাকা একমাত্র সাংবাদিক হিসেবে আমি লিবীয় উপকূলে ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স এবং এসওএস মেডিট্রেনির কার্যক্রম একেবারে কাছে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি৷ দেখেছি, সাগর থেকে উদ্ধার করা বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশের শরণার্থীদের অবস্থাও৷
ছবি: DW/M. Soric
সবসময় সাগরে চোখ
লিবিয়া উপকূলে থাকাকালে আমি দেখেছি, ওশান ভাইকিংসে অবস্থানরত ক্রু এবং মানবাধিকার কর্মীরা সবসময় সমুদ্রের দিকে চোখ রাখতেন৷ ভূমধ্যসাগরে এই জাহাজের ভেসে বেড়ানোর উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে, ইউরোপে আসার পথে সাগরে দুর্ঘটনায় পড়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা৷
ছবি: DW/M. Soric
উদ্ধার তৎপরতা
আমাদের মিশনের প্রথম দিনেই লিবিয়া উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে সাগরে ভাসতে থাকা দু’টি নৌকা থেকে জরুরি সাহায্যের আকুতি শুনতে পাই৷ মানবাধীকার কর্মীরা অশান্ত সাগরের মাঝেই উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত সব মানুষকে জাহাজে তুলে আনতে সক্ষম হন৷
ছবি: DW/M. Soric
ইউরোপে আসতে মরিয়া তারা
সমুদ্র থেকে ওশান ভাইকিংসে তুলে আনা অধিকাংশ অভিবাসনপ্রত্যাশীই পুরুষ৷ দুই সপ্তাহের মিশনে আমরা অনেক বাংলাদেশি এবং মরোক্কানকে দেখেছি৷ এছাড়া সাব-সাহারান দেশগুলো থেকে আসা মানুষও ছিল৷ তারা ইউরোপে পৌঁছাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেন৷ তবে, উদ্ধারের পর তাদেরকে বেশ ভারমুক্ত মনে হয়,কেননা, তারা তখন নিশ্চিত হন যে আর লিবিয়ায়ফিরে যেতে হবে না৷
ছবি: DW/M. Soric
ইউরোপে নতুন জীবন
ওশান ভাইকিংসে ওঠার পর শরণার্থীরা তাদের মানসিক অস্থিরতা থেকে কিছুটা মুক্তি পান এবং ভবিষ্যৎনিয়ে ইতিবাচক ভাবনার সুযোগ পান৷ যে মহাদেশে পৌঁছাতে ঘরবাড়ি, পরিবার ছেড়ে এসেছেন তারা,শীঘ্রই সেখানে প্রবেশের সুযোগ হবে তাদের৷ আমি মাঝে মাঝে তাদের ভাবনা বোঝার চেষ্টা করি৷ তারা কি অতীত নিয়ে ভাবেন, নাকি ভবিষ্যৎ নিয়ে?
ছবি: DW/M. Soric
জীবন বাঁচাতে বদ্ধপরিকর এরিক কনিন্সবের্গার
আমি এখানে ক্রুদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি৷ ১৪টির বেশি দেশের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি এবং ধর্ম থেকে আসা মানুষদের নিয়ে গড়া এই দলের একটাই উদ্দেশ্য – অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জীবন বাঁচানো৷ অতীতে তারা যা- করুক না কেন এই জাহাজের ডেক কিংবা বাথরুম পরিষ্কার করাতেও তাদের কোনো আপত্তি নেই, কথাগুলো বলেন এরিক কনিন্সবের্গার৷ দু’বছর আগেও তিনি ছিলেন একজন অভিনেতা৷
ছবি: DW/M. Soric
উদ্ধারকর্মী ইলিনা এন্গেলোভা
‘‘আমি অন্য কোথাও কাজ করার কথা কল্পনাও করতে পারি ,’’ বলেন ইলিনা এন্গেলোভা৷ ওশান ভাইকিংস জাহাজের মানবিক সহায়তা বিষয়ক কর্মকর্তা তিনি৷ তরুণ এই বেলজিয়ান সেই দলের সদস্য,যারা একসময় প্রায় নিশ্চিত ডুবতে বসা ২৭৪ শরণার্থীকে উদ্ধারে সক্ষম হয়েছিলেন৷ বর্তমানে শরণার্থীদের উদ্ধারের পর জাহাজে তাদের দেখভালের দায়িত্ব তাঁর৷
ছবি: DW/M. Soric
এক নিরাপদ স্বর্গ
অভিবাসীদের জাহাজে তোলার পর খাদ্য, পানীয় জল, এক ব্যাগ কাপড় এবং একটি কম্বল দেয়া হয়৷ আমি যখন জাহাজে ছিলাম,তখন অভিবাসীদের এই কন্টেইনারগুলোতে থাকতে দেখেছি৷
ছবি: DW/M. Soric
জাহাজে সাময়িক আবাস
অভিবাসীদের ইটালিতে নিয়ে আসার পর জাহাজে থাকা তাদের সাময়িক আবাসন দেখার সুযোগ দেয়া হয় আমাকে৷ অভিবাসীদের স্ট্রেস দূর করতে সহায়তার উদ্দেশ্যে সেখানে একটি বক্সিং রিং তৈরি করে দিয়েছেন ক্রুরা৷ আর সেখানকার দেয়ালে অভিবাসীরা ছবি এঁকেছেন, ক্রুদের ধন্যবাদ দিয়ে নানা বার্তা লিখেছেন৷
ছবি: DW/M. Soric
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে
ওশান ভাইকিং ত্যাগ করার আগে উদ্ধারকৃত অভিবাসীরা সেটির দেয়ালে স্বাক্ষর দিয়ে গেছেন৷ এখানে বাংলাদেশ থেকে আসা একজন তারিখ লিখেছেন ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০৷ কেউ কেউ আবার ধন্যবাদসূচক নানা বার্তা এবং প্রাথনাও লিখেছেন৷ তাদেরকে সিসিলি বন্দর থেকে কোথায় নেয়া হবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷
ছবি: DW/M. Soric
জাহাজে চিকিৎসক
ইতালি কর্তৃপক্ষ সিসিলিতে ওশান ভাইকিং জাহাজটিকে কোয়ারেন্টাইন করেছে৷ তারা আশঙ্কা করছে যে, শরণার্থীরা করোনা ভাইরাস নিয়ে আসতে পারে৷ জাহাজে অবস্থানরত চিকিৎসক ড. স্টেফান কে. হল আমাদের তাপমাত্রা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন৷ ২০১৩ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে আসা এই মার্কিন নাগরিক এর আগে দক্ষিণ সুদান, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং সিরিয়ায় ছিলেন৷
ছবি: DW/M. Soric
আশা এবং হতাশা
এই শরণার্থী শিশুরা আইভরি কোস্ট থেকে এসেছেন৷ তাদের অভিভাবকরা কোথায় তা জানা যায়নি৷ ওশান ভাইকিংয়ের উদ্ধারকারীরা উদ্ধারের পর তাদের খেলনা দিয়েছেন৷ তবে, এই শিশুরা খুব দ্রুতই হতাশ হয়ে পড়েছিল৷ কারণ, তারা জাহাজত্যাগের সময় ইতালীয় কর্তৃপক্ষ করোনা ভাইরাসের ভয়ে তাদের কাছ থেকে খেলনাগুলো নিয়ে গেছে৷
ছবি: DW/M. Soric
জাহাজে সুস্থ থাকা
ইতালীয় উপকূলে বেশ কয়েকদিন ঝড়ের সঙ্গে লড়ার পর দেশটির কর্তৃপক্ষ আমাদের সিসিলিতে নোঙ্গরের অনুমতি দেয়৷ কিন্তু করোনভাইরাস আতঙ্কের কারণে আমি এবং ক্রুরা জাহাজ থেকে নামার অনুমতি পাইনি৷বলা হয়েছে, আমাদের এভাবেই দু’সপ্তাহ কাটাতে হবে৷ এই সময়টায় সুস্থ থাকার জন্য ক্রুদের কেউ কেউ এরকম জিম তৈরি করেছে৷
ছবি: DW/M. Soric
জাহাজের নায়ক
কোয়েরেন্টাইনে থাকাকালে আমি বেশ কয়েকজন ক্রুর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছি৷ তাদের মধ্যে নায়ক হচ্ছেন টঙ্গুই৷ ৩৮ বছর বয়সি এই ফরাসি যত মানুষকে উদ্ধার করেছেন তা অন্য কোনো ক্রু করতে পারেননি৷ কারো কারো হিসেবে এই মানুষটা দশ হাজারের বেশি শরণার্থীকে ডুবে মরা থেকে বাঁচিয়েছেন৷
ছবি: DW/M. Soric
একটি বন্ধুত্বপূর্ণ হাসি
এই চমৎকার হাসিটা দিয়ে মিরিয়াম উইলিস জাহাজের সবার মন জয় করে নেন৷ যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজের এই বাসিন্দা শরণার্থীদের খাদ্য, পানীয়, পোশাক, ঘুমানোর স্থান থেকে গোসল অবধি সবকিছুর দেখভাল করেন৷
ছবি: DW/M. Soric
জীবন বাঁচাতেও খরচ আছে
তবে, মানুষ জীবন বাঁচানোর এই অভিযান অর্থের বিবেচনায় মোটেই সস্তা নয়৷ জাহাজটিতে প্রতিদিন চৌদ্দ হাজার ইউরো খরচ হয়৷ এই খরচের মধ্যে জাহাজের ভাড়াও অন্তর্ভূক্ত আছে৷ উদ্ধারকারীদের জন্য নতুন লাইফবোট এবং অন্যান্য সামগ্রী প্রয়োজন৷ কিন্তু অর্থের অভাবে সেগুলো কেনা যাচ্ছে না৷