1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফ্রিকা যাচ্ছেন ম্যার্কেল

২ মার্চ ২০১৭

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বৃহস্পতিবার মিশর যাচ্ছেন৷ এরপর তিনি যাবেন টিউনিশিয়ায়৷ উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে শরণার্থীদের প্রবেশ কমাতেই এই সফর বলে জানা গেছে৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Stache

উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অনেক নাগরিক উন্নত জীবনের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে আসার চেষ্টা করেন৷ এতে মাঝেমধ্যেই নৌকাডুবিতে অনেকের প্রাণ যায়৷ এই অভিবাসীদের একটি বড় অংশ লিবিয়া থেকে সমুদ্রে পাড়ি জমান৷ ২০১১ সালে গাদ্দাফির মৃত্যুর পর থেকে লিবিয়ায় কোনো কার্যকর সরকারব্যবস্থা নেই৷ সেই সুযোগে মানবপাচারকারীরা আশেপাশের দেশ থেকে সম্ভাব্য অভিবাসীদের লিবিয়ায় জমায়েত করে সেখান থেকে তাঁদের ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রার ব্যবস্থা করে৷ লিবিয়ার সঙ্গে আলজেরিয়া, নাইজার, চাড ও সুদানের সীমান্ত রয়েছে৷ তবে এসব সীমান্তের বেশিরভাগ এলাকা মরুভূমির মধ্যে পড়ায় ঐসব দেশের মানুষরা সহজেই লিবিয়ায় পৌঁছে যান৷

লিবিয়ায় কার্যকর সরকার না থাকায় আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে মিশরে যাচ্ছেন ম্যার্কেল৷ বৃহস্পতিবারই তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে শরণার্থী ও অভিবাসীদের অবৈধ প্রবেশ কীভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে দুই নেতা কথা বলবেন৷ এরপর শুক্রবার ম্যার্কেল যাবেন টিউনিশিয়ায়৷ সেখানেও তিনি একই বিষয় নিয়ে কথা বলবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বেজি এসেবসির সঙ্গে৷

গত সপ্তাহে ম্যার্কেলের আলজেরিয়া সফরে যাওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সে দেশের প্রেসিডেন্ট আবদেলআজিজ বুতেফলিকা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সফর বাতিল হয়ে যায়৷

উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জার্মানিতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন৷ কিন্তু ২০১৫ সালে জার্মানিতে কয়েক লক্ষ শরণার্থীকে প্রবেশ করতে দেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি৷ শরণার্থীদের সংখ্যা কমাতে তাঁর উপর বিভিন্ন দিক থেকে চাপ দেয়া হয়৷ ফলে গতবছর তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ তার ফলে তুরস্ক থেকে শরণার্থীদের ইউরোপে প্রবেশ অনেক কমে এসেছে৷ এবার উত্তর আফ্রিকা থেকে প্রবেশ কমাতে সেখানকার দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করছেন ম্যার্কেল৷ সফরে তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক নেতারাও থাকবেন৷ মিশর আর টিউনিশিয়ায় বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা৷ অভ্যন্তরীণ সমস্যা, জঙ্গি হামলা এসব কারণে দেশ দুটিতে পর্যটকদের গমন কমে গেছে৷ এছাড়া আর্থিক সংকটের মুখেও আছে দেশ দুটি৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ