শলৎসকে সামনে রেখেই নির্বাচনি ময়দানে এসপিডি
২২ নভেম্বর ২০২৪নভেম্বরে আচমকাই ভেঙে গেছে বর্তমান জার্মান সরকার। ফলে আগামী বছরের শুরুতেই দ্রুত নির্বাচনে যেতে হবে জার্মানিকে। সেই নির্বাচনে কে হবে এসপিডি বা সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির মুখ, তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছিল।
জার্মানির সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষা বলছে, জনপ্রিয়তার দিক থেকে অনেক এগিয়ে আছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস। ফলে অনেকেই তাকে পরবর্তী চ্যান্সেলর হিসেবে চাইছিলেন। কিন্তু সেই ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছেন পিস্টোরাস নিজেই। তারপরই দলের নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ওলাফ শলৎসের নাম ঘোষণা করেছেন।
পিস্টোরিয়াসের বক্তব্য
দলের নেতৃত্বকে বিবৃতি দিয়ে পিস্টোরিয়াস জানিয়েছেন, চ্যান্সেলর পদের জন্য তিনি লড়বেন না। তার কথায়, ''এটি সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আপনারা দলের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বন্ধ করুন।'' পিস্টোরিয়াসের বক্তব্য, তিনি কখনো এই বিতর্ক শুরু করেননি। তিনি কখনো চ্যান্সেলর হতে চাননি। ফলে এনিয়ে আলোচনা বন্ধ হোক। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।
শলৎস এতদিন যেভাবে জোট সরকার চালিয়েছেন, তার প্রশংসা করে পিস্টোরিয়াস বলেছেন, ''কঠিন সময়ে শক্ত হাতে সরকার চালিয়েছেন শলৎস।''
এসপিডি নেতৃত্ব পিস্টোরিয়াসের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম পিস্টোরিয়াসকে তার জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিল। জবাবে তিনি বলেছেন, জনপ্রিয়তার প্রতিফলন যে ব্যালট বাক্সেও ঘটবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এসপিডি-র অবস্থান
আসন্ন নির্বাচনে দল হিসেবে খুব ভালো জায়গায় নেই এসপিডি। যেভাবে জোট সরকার ভেঙেছে, তা ভালো চোখে দেখছে না মানুষ। সমীক্ষা বলছে, এখন ভোট হলে এসপিডি খুব বেশি হলে পেতে পারে ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ ভোট। তাদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট পার্টি বা সিডিইউ। তাদের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীও অনেকটাই এগিয়ে। ২৪ থেকে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পেতে পারে সিডিইউ। তবে আশঙ্কার কথা হলো, অতি দক্ষিণপন্থি এএফডি বা অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ডও এসপিডি-র চেয়ে এগিয়ে। তারা পেতে পারে ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ ভোট।
শলৎস অবশ্য বলেছেন, এই জনসমীক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তার প্রশ্ন আছে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০২১ সালের নির্বাচনের আগেও সকলে সিডিইউ-কে এসপিডি-র থেকে এগিয়ে রেখেছিল। কিন্তু বাস্তবে ফলাফল হয়েছিল ঠিক উল্টো।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)