বাংলাদেশ খাদ্য শস্য থেকে সবুজ জ্বালানি তৈরির পরিকল্পনা করছে৷ কিন্তু অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে, কেননা দেশের চাহিদা মেটাতে এখনও খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়৷
বিজ্ঞাপন
জ্বালানি মন্ত্রণালয় এ বছরের শুরুতে সবুজ জ্বালানি উৎপাদন সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করে৷ সেখানে বলা হয় ভুট্টা, ভাঙা চাল বা গুড়ের সঙ্গে ৫ ভাগ অনুপাতে পেট্রোল মিশিয়ে ইথানল উৎপাদন করা হবে৷ কিন্তু পরিবেশবিদ, অর্থনীতিবিদ ও অন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর ফলে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যাবে৷ ফলে দরিদ্রদের জন্য গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে৷
বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্প সহযোগিতা কমিটির মুখপাত্র মশিউর রহমান শস্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনের সিদ্ধান্তকে ‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন৷ তাঁর মতে, ভুট্টা মুরগী ও গবাদি পশুদের প্রধান খাদ্য৷ কিন্তু বাংলাদেশে চাহিদার অর্ধেক ভুট্টা উৎপাদিত হয় এবং বাকিটা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল থেকে আমদানি করতে হয়৷ মশিউর এক সেমিনারে বলেন, ‘‘ইথানল উৎপাদন শুরু হলে ভুট্টার দাম আরও বেড়ে যাবে৷ ফলে ডিম এবং মুরগির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে৷’’
হাওরের মানুষের দুর্দশার কাহিনি
দেশের হাওর অঞ্চলে কৃষকদের করুণ দশা৷ বন্যার পানিতে ধান তলিয়ে যাওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন কৃষক৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন নিঃস্ব কৃষক পরিবারের একজন৷ ক্ষয়ক্ষতি কয়েক হাজার কোটি টাকার৷
ছবি: bdnews24.com
পাহাড়ি ঢল আর বন্যা
এপ্রিলের শুরুতে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণার হাওরের বোরো ধানের ক্ষেত তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক লাখ পরিবার৷
ছবি: bdnews24.com
পানিতে বিষক্রিয়া
ধান নষ্ট হওয়ার পর বিষক্রিয়ায় মারা গেছে হাওরের মাছ, সেখানে চরানো হাঁস৷
ছবি: bdnews24.com
হাওরে ডুবছে স্বপ্ন
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ডিঙ্গাপোতা হাওরের পাশের একটি গ্রামে একজন কৃষক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন৷ জমিতে অনেক ধান হয়েছিল তাঁর, গোয়ালে ছিল ৩০টি গরু৷ ধান সব পানির নিচে, পরিবারের মানুষের কথা ভেবে বেঁচে থাকাটা অর্থহীন মনে হয়েছে তাঁর কাছে৷ (ছবিতে নিঃস্ব এক কৃষক)
ছবি: bdnews24.com
তারা বানু’র মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বন্যার পানিতে শত শত হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে৷ নিঃস্ব হয়েছে সব কৃষক৷ তাঁর পরিবারেও বিপর্যয় নেমে আসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তারা বানু৷ তাঁর মতো অবস্থা হাজারো কৃষকের৷ এখানে মোট জমি রয়েছে ২০ হাজার ৭০ হেক্টর৷ এর মধ্যে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত৷ ৮৭ টি বাঁধ হুমকির মুখে৷ ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ছবি: bdnews24.com
৪৩ হাজার কৃষক পরিবার নিঃস্ব
হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে হঠাৎ বন্যা নতুন কোনো ঘটনা নয়৷ কিন্তু এবার তার রূপ যেন আরও ভয়াবহ৷ এতে নিঃস্ব হয়ে গেছে অন্তত ৪৩ হাজার কৃষক পরিবার৷
ছবি: Badruddoza Babu
ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি
ধান নষ্ট হয়েছে অন্তত ১ লাখ ৩ হাজার ২৮৪ মেট্রিক টন৷ সরকারি হিসেবে প্রতি মণ ধান ৯২০ টাকা করে ধরলে টাকার অঙ্কে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক৷
ছবি: bdnews24.com
১০ কোটি টাকার জরুরি ত্রাণ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিরামহীন অতিবৃষ্টি হওয়ায় হাওর রক্ষাবাঁধ ভেঙে যাওয়া ও জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে৷ ২৭শে এপ্রিল সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য ১০ কোটি টাকার ত্রাণ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন৷
ছবি: bdnews24.com
হাওরের এত ক্ষয়-ক্ষতি জীবনে দেখিনি: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘‘আমার জীবনে হাওরের এত ক্ষয়ক্ষতি দেখিনি৷ আমি কৃষকের সন্তান, আমার বাপ একজন কৃষক ছিলেন৷’’ ১৭ এপ্রিল সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি৷
ছবি: bdnews24.com
তিন লাখ কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত
সুনামগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে ১৪২টি হাওরের বোরো ধান তলিয়ে গেছে৷ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রায় তিন লাখ কৃষক পরিবার৷ জেলায় এবার ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল, যার ৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
ছবি: bdnews24.com
এক হাজার ১৮০ মেট্রিক টন মাছের মৃত্যু
নেত্রকোণায় আবাদ হওয়া এক লাখ ৮৪ হাজার ৩২০ হেক্টর জমির মধ্যে ৬৯ হাজার ৭১০ হেক্টর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে, মরে গেছে এক হাজার ১৮০ মেট্রিক টন মাছ৷
ছবি: bdnews24.com
10 ছবি1 | 10
খাদ্য থেকে জ্বালানি:
বাংলাদেশের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, বছরে ১ কোটি ৮০ লাখ লিটার ইথানল উৎপাদন করা সম্ভব৷ তবে এজন্য প্রতি বছর ৬০ হাজার টন চাল ভাঙতে হবে, যা দেশের মোট উৎপাদনের ৩.৫ ভাগ৷ চালের বিকল্প হিসেবে বছরে ভুট্টা লাগবে ৬২ হাজার টন, যা মোট উৎপাদনের ২.৮ ভাগ এবং গুড়ের ক্ষেত্রে ৯৭ হাজার টন, যা মোট উৎপাদনের সমান৷
সরকার পক্ষের বক্তব্য:
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ টেলিফোনে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের সবুজ জ্বালানি উৎপাদনের দিকে ঝোঁকা উচিত, দেশের যে পরিস্থিতি তাতে সবুজ জ্বালানির বিকল্প নেই এবং অন্যান্য দেশের মতো ভিন্ন ধরনের জ্বালানি উৎপাদনের পরিকল্পনা করা উচিত৷’’ জ্বালানি মন্ত্রণালয় যে ইথানল তৈরির পরিকল্পনা করছে সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন তিনি৷ জানান, অনুমোদন পেলেই তারা বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা করবেন৷
বিশেষজ্ঞের মত:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মন্ত্রণালয় দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার কথা না ভেবেই খাদ্য শস্য পুড়িয়ে ইথানল উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তারা বলছেন, গত বছর গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যতম ক্ষুধার্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ ২৫তম স্থানে ছিল৷ দেশের অনেক মানুষ এখনও প্রতিদিন দু’ বেলা পেট ভরে খেতে পায় না৷ এছাড়া দেশে খাদ্রদ্রব্যের দাম বেড়েই চলেছে৷ মানুষের আয়ের একটা বড় অংশ খরচ হয় খাদ্যে৷ ফেব্রুয়ারিতে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল রেকর্ড ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, গত বছর যা ছিল প্রায় এর অর্ধেক, ৩ দশমিক ৮ শতাংশ৷
পানির উপর হচ্ছে সবজি চাষ
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের বেশিরভাগই বছরের পুরোটা সময় জলাবদ্ধ থাকে৷ এ সব গ্রামের মানুষেরা ভাসমান পদ্ধতিতে গাছের চারা এবং সবজি উৎপাদন করে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছেন৷
ছবি: DW
কৃষকের কৌশল
বছর জুড়েই জলাবদ্ধতা, সাথে কচুরিপানার মিছিল৷ ফলে পিরোজপুরের নাজিরপুর এলাকার নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক উপায়ে কৃষিকাজ কার্যত অসম্ভব৷ তবে বৈরী এই পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে নাজিরপুরের কৃষকরা নিজেদের কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষিকাজ৷
ছবি: DW
ভাসমান কৃষিক্ষেত্র
নাজিরপুরের মুগাঝোর এলাকার জলাভূমিতে ভাসমান কৃষিক্ষিত্র৷ নিজেদের উদ্ভাবিত ‘ধাপ’ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেন এ সব এলাকার মানুষরা৷ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ‘কৃষি ঐতিহ্য অঞ্চল’ হিসেবেও স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে নাজিরপুরে উদ্ভাবিত ভাসমান পদ্ধতির এ চাষাবাদ৷
ছবি: DW
যেভাবে তৈরি হয় ধাপ
নাজিরপুরের পানিতে ডোবা নিম্নাঞ্চল কচুরিপানা, দুলালীলতা, শ্যাওলা ও বিভিন্ন জল সহিষ্ণু ঘাসসহ নানান জলজ উদ্ভিদে ভরপুর৷ এ সব জলজ উদ্ভিদকে স্তূপ করে পচিয়ে তারা তৈরি করেন ভাসমান এক ধরণের ধাপ৷ এই ভাসমান ধাপের উপরেই চাষাবাদের এক নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তাঁরা৷
ছবি: DW
পুরনো ধারা
কৃষি জমির বিকল্প হিসেবে জলাশয়ে ভাসমান চাষাবাদ দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে এ অঞ্চলে৷ কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পদ্ধতিতে কৃষির উৎপাদনশীলতা জমির চেয়ে ১০ গুণ বেশি৷
ছবি: DW
জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ
ধাপ পদ্ধতির এ চাষাবাদ হয় সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে৷ রাসায়নিক সারের ব্যবহার নেই বললেই চলে৷ ফলে উৎপাদন খরচও কম এবং স্বাস্থ্যকর৷
ছবি: DW
ভাসমান বীজতলা
জলাভূমিতে প্রথমে কচুরিপানা, শ্যাওলা ও বিভিন্ন জলজ ঘাস স্তরে স্তরে সাজিয়ে দুই ফুট পুরু ধাপ বা ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়৷ এগুলো কয়েকদিন ধরে পচানো হয়৷ একেকটি ভাসমান ধাপ ৫০-৬০ মিটার লম্বা ও দেড় মিটার চওড়া হয়৷
ছবি: DW
চাষ করা যায় অনেককিছু
ভাসমান এ সব ধাপে সাধারণত লাউ, সিম, বেগুন, বরবটি, করলা, পেঁপে, টমেটো, শশা, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়া, চালকুমড়া, মরিচ ইত্যাদি শাকসবজি ও মশলার চারা উৎপাদন করে থাকেন কৃষকরা৷ অনেক কৃষক আবার লাল শাক, ঢেঁড়স, হলুদ ইত্যাদিও চাষ করে থাকেন৷
ছবি: DW
নেই কোনো কৃষিঋণের ব্যবস্থা
মুগারঝোরের চাষীদের জন্য কৃষি ঋণের কোনো ব্যবস্থা নেই৷ স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে চরা হারে সুদ নিয়ে গরিব এ চাষীরা তাঁদের কৃষি কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন৷ স্থানীয় কৃষক আশুতোষ জানান, সরকার সহজশর্তে ঋণ দিলে তাঁরা ভাসমান এ চাষাবাদের আরও বিস্তৃতি ঘটাতে পারবেন৷
ছবি: DW
বিক্রি হয় কচুরিপানা
নাজিরপুরের মুগারঝোরে নৌকা বোঝাই কচুরিপানা নিয়ে ক্রেতার খোঁজে এক বিক্রেতা৷ এক নৌকা কচুরিপানা সাধারণত বিক্রি হয় ২-৩ হাজার টাকায়৷ এছাড়া নাজিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় এসব কচুরিপানার হাটও বসে৷
ছবি: DW
9 ছবি1 | 9
খাদ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বেশি ধান হয়৷ কিন্তু বাকি খাদ্য শস্যের চাহিদা পূরণে গত বছর ৪৫ লাখ টন গম রপ্তানি করা হয়েছে৷
ভুল সিদ্ধান্ত?
সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে সুনিপুন অর্গানিক লিমিটেড, যারা ইথানল উৎপাদনের জন্য প্রথম আবেদন করেছে৷ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান মো. আফতাব উদ্দীন জানালেন, ‘‘খাদ্যশস্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনের ফলে তা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে না, কেননা, জ্বালানি উৎপাদনের পাশাপাশি যেসব উদ্বৃত্ত জিনিস থাকবে, তা পোলট্রি বা মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হবে৷’’ অন্যদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা মো. মঈনুদ্দীন আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, ‘‘ভুট্টা দিয়ে জ্বালানি তৈরির কোনো যৌক্তিক কারণ দেখছি না, কেননা, এই ভুট্টা আমাদের আমদানি করতে হয়৷’’
বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন আলোচক টিমের সদস্য মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘‘গবাদি পশুদের পুষ্টি নিয়ে আমাদের এখনই অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে৷ তাই ভুট্টা থেকে ইথানল উৎপাদন হলে এসব প্রাণি পুষ্টিহীনতায় ভুগবে৷ এটা একেবারেই একটা ভুল সিদ্ধান্ত৷’’
সেন্টার ফর পলেসি ডায়লগ এর গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ‘‘ইথানল উৎপাদন একবার শুরু হলে এর চাহিদা বাড়তেই থাকবে, জ্বালানির দামের পাশাপাশি এর দাম বাড়বে, ফলে আরও খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হবে৷ ফলে পশু খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে৷’’
এপিবি/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...