করোনা সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বড় শহরগুলির কেন্দ্রস্থলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাচিন্তা আরো গতি পেয়েছে৷ গাড়ির বদলে সাইকেল ও পথচারীদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
বার্লিনেবিক্ষোভ
বার্লিনের পথে গাড়ির ভিড়ের বিরুদ্ধে সাইকেল চালকদের প্রতিবাদ চলছে৷ তারা শহরের কেন্দ্রস্থলে গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে শুধু সাইকেলের জন্য আরো বেশি পথ বরাদ্দ করার দাবি জানাচ্ছে৷ এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আমার মতে, গাড়ির জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো রয়েছে৷ এবার সাইকেলের অবকাঠামো আরো বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং বার্লিনকে আরও সবুজ করে তুলতে হবে৷’’
গাড়ির তুলনায় বেশি সাইকেলের কারণে বিক্ষোভের সময় যানজট সৃষ্টি হয়েছে৷ গাড়ি চালকদের মত কী? যানজটে আটকে পড়া এক চালক বলেন, ‘‘আমার মতে, উভয়ের জন্যই জায়গা থাকা উচিত৷ শুধু সাইকেল চালক নয়, সবারই কিছু পাওয়া উচিত৷’’
পরিবহণের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দাবি বাড়ছে৷ এবার এমনকি হাইওয়ের উপরেও সাইকেল নামছে৷ পুলিশ সবকিছু ঘিরে রেখেছে৷ বার্লিনের রাজ্য সরকার সেটা সম্ভব করছে৷ নতুন এক পরিবহণ কনসেপ্টের আওতায় শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক শুধু পথচারী ও সাইকেলের জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে৷ তবে সেই লক্ষ্যে আরো পরিবর্তনের জন্য চাপ বাড়ছে৷ ‘গাড়িমুক্ত বার্লিন' অভিযানের প্রতিনিধি নিনা নোবলে বলেন, ‘‘আমরা বার্লিনকে গাড়িমুক্ত করতে গণভোটের পক্ষে৷ এই মুহূর্তে না হলেও শহরের কেন্দ্রস্থল গাড়িতে ভরে থাকে বলে আমাদের মাথায় এই আইডিয়া এসেছিল৷ বিশেষ করে শহরের কেন্দ্রস্থলে অনেক মানুষ গাড়ি চেপে ঘোরাঘুরি না করলেও তাদের জন্য বরাদ্দ জায়গা অত্যন্ত কম৷ আমাদের মতে এই বণ্টন মোটেই ন্যায্য নয়৷ তাছাড়া গাড়ি আর সময়োপযোগী নয়৷’’
ইউরোপে শহরের মধ্যে গাড়ি কমানোর প্রচেষ্টা
05:15
মহামারিরজেরধরেনতুনভাবনাচিন্তা
বিশ্বের অনেক শহরের কেন্দ্রস্থল দ্রুত বদলে যাচ্ছে৷ আন-লিন নিয়ো নামের এক স্থপতি সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান মহামারি বহুকাল ধরে চলে আসা এক প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করছে বলে আমি মনে করি৷ পথচারীদের জন্য বরাদ্দ এলাকার মধ্য দিয়ে হেঁটে গেলে নিজেই সমস্যাগুলি দেখতে পাবেন৷’’
মানুষ ইন্টারনেটে কেনাকাটা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ করোনা সংকটের কারণে ডিপার্টমেন্ট স্টোরের সমস্যাগুলি আরো কঠিন হয়ে পড়েছে৷ বিক্রিবাটা ও পার্কিংয়ের জায়গার একটা বড় অংশ আর কাজে লাগছে না৷
যেমন ল্যুনেন শহরে একটি বিশাল বিপনি ভবন খালি পড়ে ছিল৷ ইস্পাতের কাঠামো ছাড়া বাকি সব কিছু খুলে নেওয়া হয়েছে৷ ভবনটিকে বসতবাড়িতে রূপান্তরিত করা হয়েছে৷ কিছু দোকানও রয়েছে৷ গাড়ির উপর নির্ভরতা অনেক কমে গেছে৷ আন-লিন নিয়ো বলেন, ‘‘কাজকর্ম ও বসবাসের জায়গা হিসেবে শহরকে সামগ্রিকভাবে ভাবতে হবে৷ সেটা করলে নিত্যযাত্রীর সংখ্যা আমরা কমাতে পারবো৷’’
গাড়ির গ্যারেজ ছাড়াই বার্লিনের একটি ভবন ডিজাইন করা হয়েছে৷ সেখানে দোকান, আর্ট গ্যালারি ও ফ্ল্যাট রয়েছে৷ একই ছাদের নীচে কিছু অফিসও স্থান পেয়েছে৷ ফলে কাজের জন্য দূরে যাবার প্রয়োজন নেই৷ ভবনের ভেতরে অনায়াসে উঁকি মারা যায়৷ ইচ্ছা করে ভবন কমপ্সেক্সের মাঝে মানুষের হাঁটাপথও রাখা হয়েছে৷ ভবনের বাসিন্দা ক্লাউডিয়া ফুংক বলেন, ‘‘ঘরে-বাইরের মধ্যে ফারাক কমিয়ে সবকিছু অনেক স্বচ্ছ করে তোলা হয়েছে৷ কে আসছে যাচ্ছে, কী হচ্ছে – সবকিছু দেখা যাচ্ছে৷ বারান্দার গাছ আমাকে আনন্দ দেয়৷’’
ইউরোপের সাইকেল-বান্ধব শহর
পরিবেশ-বান্ধব, স্বাস্থ্যকর আর সাশ্রয়ী- সব দিক দিয়েই বাহন হিসাবে এগিয়ে বাইসাইকেল৷ সেই চিন্তা মাথায় রেখে নিজেদের এলাকাকে সাইকেল-বান্ধব করেছে ইউরোপের বিভিন্ন শহর৷ সাইকেল-বান্ধব এমন কয়েকটি শহর সম্পর্কে জেনে নিন ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
কোপেনহেগেন
ডেনমার্কের রাজধানী শহরে রয়েছে ৩৫০ কিলোমিটারের সাইকেল নেটওয়ার্ক৷ সাইকেলকে মাথায় রেখে গড়ে তোলা হয়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থাও ৷ সিগন্যালে সাইকেল নিয়ে অপেক্ষার জন্য আছে সুন্দর ব্যবস্থা৷ কোপেনহেগেনে ৬২ শতাংশ মানুষ সাইকেল চড়ে কাজে যান৷ সাইকেল-বান্ধব নগর গড়ার উদাহরণ হিসাবে ‘কোপেনহেগেনাইজ’ শব্দটি তাই জায়গা করে নিয়েছে ইংরেজি অভিধানে৷
সাইকেল-বান্ধব শহরগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে আছে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডাম৷ এখানকার সাইকেল-চালকেরা প্রতিদিন প্রায় দুই মিলিয়ন কিলোমিটার পথ চলেন৷ উটরেস্ট এলাকায় রয়েছে সবচেয়ে বড় সাইকেল পার্কিং, যেখানে সাড়ে ১২ হাজার সাইকেল রাখা যায়৷ ২০২০ সালের মধ্যে এটাকে ৩৩ হাজারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Economou
আন্টভের্প
বেলজিয়ামের আন্টভের্প শহরের সাইকেল পার্কিং অগণিত আর সেগুলোর অবকাঠামো অভিভূত করে সবাইকে৷ সাইকেলের পথ বাড়ানোর পাশাপাশি কেবল সাইকেল আর পথচারীদের জন্য তিনটি সেতু তৈরি করছে কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images/P. Schickert
প্যারিস
কয়েক বছর ধরে সাইকেল নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে প্যারিসের নগর কর্তৃপক্ষ৷ শহরের নানা জায়গায় রয়েছে বাইসাইকেল স্টেশন৷ পর্যটকেরাও সাইকেল নিয়ে ঘুরতে পারেন পুরো শহর৷ অন্যদিকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সাইকেল ভাড়া নেওয়া সেখানে বেশ জনপ্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/robertharding/S. Dee
মালমো
সাইকেলের জন্য অবকাঠামো বাড়াতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে সুইডেনের মালমো শহর৷ এখানে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার সাইকেলের রাস্তা রয়েছে৷ মালমো আর কোপেনহেগেনের মধ্যে ফেরি পারাপার সেখানকার বাইসাইকেল পর্যটনকে বেশ জনপ্রিয়তা দিয়েছে৷ কোথাও কোথাও হোটেলের সামনেই মিলবে সাইকেল স্টেশন আর ওয়ার্কশপ৷
ছবি: Ohboy
ট্রন্ডহেইম
নরওয়ের শহর ট্রন্ডহেইম৷ পাহাড়ি এই নগরে চালু আছে ‘ট্রাম্পে’ নামে পৃথিবীর সর্বপ্রথম বাইসাইকেল উঠানামার ব্যবস্থা৷ প্রতি ঘন্টায় সেখানে ৩০০ সাইক্লিস্টকে ১৩০ মিটার উচ্চতায় আনা-নেওয়া করা হয়৷ পাহাড়ি পথেও সাইকেল নিয়ে চিন্তা নেই, এর চেয়ে স্বস্তির আর কি হতে পারে!
ছবি: public domain
ম্যুনস্টার
জার্মানির ওয়েস্টফালিয়ার ম্যুনস্টার এলাকায় মানুষের চেয়ে সাইকেলের সংখ্যা বেশি৷ সাইকেলের জন্য চওড়া রাস্তা, পর্যাপ্ত পার্কিং আর সমতল ভূমির কারণে সেখানে এই দ্বিচক্রযান এতো জনপ্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Thissen
বার্সেলোনা
২০০২ সালেও ভাড়ায় বাইসাইকেল পাওয়া যেত স্পেনের বার্সেলোনা শহরে৷ কেবল সাইকেলের জন্য রয়েছে ১৫৮ কিলোমিটার রাস্তা৷ অনেক জায়গায় গাড়ির গতি ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ রাখায় সাইক্লিস্টদের জন্য এলাকাটি বেশ নিরাপদ৷ পর্যটকেরা যাতে বাইসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়াতে পারেন, আছে সেই ব্যবস্থাও৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/G. Guarino
বাসেল
সুইজারল্যান্ডের বাসেল অনেকটা সমতল এবং দর্শনীয় স্থানগুলোও কাছাকাছি৷ গ্রীষ্মে ‘স্লো আপ’ নামে গাড়িমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয় সেটিকে৷ প্রচুর লোকের সমাগম হওয়ায় তখন ৩০ কিলোমিটার এলাকা নির্ধারিত রাখা হয় কেবল সাইক্লিস্টদের জন্য৷ একইসঙ্গে সাইক্লিস্টদের আনন্দ দিতে থাকে বহু আয়োজন৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/M. Dr. Schulte-Kellinghaus
9 ছবি1 | 9
ইউরোপেরএকাধিকশহরেএকইপ্রবণতা
শহরের কেন্দ্রস্থলে মনোরম জীবনযাত্রা ও সাইকেল-বান্ধব পরিবেশ পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত৷ বহুকাল আগেই শহরের কেন্দ্রস্থলকে গাড়িমুক্ত করে কোপেনহেগেন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে৷ প্যারিসও সেই পথে এগোচ্ছে৷ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শঁজেলিজে সড়ক ও বিজয় তোরণের আশাপাশে আরও অনেক গাছ লাগিয়ে গাড়ি পরিবহণের জায়গা কমিয়ে আনা হবে৷ নিউ ইয়র্কের ব্রডওয়ে পাড়ার টাইমস স্কোয়্যার এলাকাকে গাড়িমুক্ত করে তোলা হয়েছে৷ ডেনমার্কের নগর পরিকল্পনাকারীরা রাস্তার উপর ক্যাফে ডিজাইন করেছেন৷
এমনকি গাড়ি কোম্পানিগুলিও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে চায়৷ ফলক্সভাগেন অটোনোমাস শাটল কার তৈরি করার পরিকল্পনা করছে৷ ট্যাক্সি হিসেবে এমন যান শহরের কেন্দ্রস্থলের উপর চাপ কমিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ ফলক্সভাগেন কোম্পানির মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান বুলমান বলেন, ‘‘ব্র্যান্ড হিসেবে আমরা গাড়ি তৈরির কোম্পানি থেকে মোবিলিটি প্রোভাইডার হয়ে উঠছি৷ আপনি কোনো গাড়ি কিনতে, লিজ নিতে, ভাড়া নিতে অথবা হয়তো শুধু ব্যবহার করতে পারেন৷ আপনি নিজে চালাবেন, নাকি শুধু গন্তব্যে পৌঁছতে চান, সেটা আমাদের বিজনেস মডেলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়৷’’
আবার সাইকেলের বিক্ষোভে ফেরা যাক৷ এবার বার্লিন শহরের মাঝে হাইওয়ে নিয়ে চর্চা চলছে৷ কয়েক বছরের মধ্যে সেটির আর প্রয়োজন হবে না বলে বিক্ষোভকারীরা আশা করছেন৷
ক্রিস্টিয়ান প্রিসেসিউস/এসবি
সাইকেলে চড়ে ইউরোপের ইতিহাস দেখা
প্রায় পঞ্চাশ বছর ইউরোপ ছিল পূর্ব আর পশ্চিমে বিভক্ত৷ চরম বৈরি দুই অংশের বিভাজনরেখার প্রতীকী নাম ছিল ‘দ্য আয়রন কার্টেল ট্রেল’ বা লৌহ যবনিকা৷ সেই রেখা এখন সাইকেলে ইউরোপ ঘুরে দেখার পথ৷ চলুন দেখে আসি...
ছবি: picture-alliance/R. Hackenberg
কির্কেনেস, নরওয়ে
ঠান্ডা যুদ্ধের সেই সময়ের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে যাত্রা শুরু করতে হবে নরওয়ের কির্কেনেস শহরের কাছের এই রাস্তা থেকে৷ বন-জঙ্গলের ভেতর দিয়ে, হৃদের তীর ঘেঁষে এই পথ গিয়ে মিলেছে রাশিয়ার সীমান্তে৷
ছবি: picture-alliance
সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া
এই পথে প্রথম শহরের দেখা পাওয়া যাবে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছালে৷
১৯২৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত শহরটির নাম ছিল লেনিনগ্রাদ৷ এ শহরে নেভার নদীর তীরে রয়েছে দ্য হার্মিটেজ জাদুঘর৷ জাদুঘরটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে৷
ছবি: picture-alliance
তালিন, এস্তোনিয়া
সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে এস্তোনিয়ার রাজধানী তালিনে গেলে মুগ্ধ হবেন টাউন হল দেখে৷ এটিও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত৷
ছবি: picture-alliance
রিগা, লাটভিয়া
বাল্টিক অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর লাটভিয়ার রাজধানী রিগা৷এই শহরের আর্ট নুভৌ-কেও বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো৷
ছবি: picture-alliance
গদান্স্ক, পোলান্ড
বাল্টিক সাগরের তীর ধরে ধরেই এগিয়ে যায় সাইকেল৷ তাই পোলান্ডের গদানস্কে পৌঁছানোর পর মন চাইলে পানিতে টুক করে একটা ডুব দিয়ে আসতে পারেন৷ ভালোই লাগবে! এ শহর থেকেই শুরু হয়েছিল লৌহ যবনিকার পতন৷
ছবি: picture-alliance
ল্যুবেক, জার্মানি
গদান্স্ক থেকে চলে আসুন জার্মানির ল্যুবেকে৷ এ শহরে গেলে হল্সটেন্টর গেটটা দেখতে ভুলবেন না কিন্তু!
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Warnecke
পয়েন্ট আলফা, জার্মানি
ঠান্ডা যুদ্ধের সময় পয়েন্ট আলফা নামটি নিয়মিতই স্থান পেতো খবরে৷জার্মানির হেসে আর টুরিঙ্গিয়ার এই সীমান্ত অঞ্চলে সব সময়ই থাকতো টানটান উত্তেজনা৷
ছবি: picture-alliance
চেব, চেক প্রজাতন্ত্র
জার্মানির বাভারিয়া এবং স্যাক্সনির কাছেই চেক প্রজাতন্ত্রের শহর চেব৷ ৩০ হাজার অধিবাসীর এই শহরের কিছু স্থাপত্য দেখলে মনে হবে যেন মধ্য যুগের ফিরে গেছেন৷
ছবি: picture-alliance
ব্রাতিস্লাভা, স্লোভাকিয়া
সাইকেল নিয়ে এরপরে চলে যান স্লোভাকিয়ার ব্রাতিস্লাভে৷ এ শহরের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান ব্রাতিস্লাভা ক্যাসল৷১৯৯২ সালে এখানেই চূড়ান্ত হয়েছিল স্লোভাকিয়ার সংবিধান৷
ছবি: picture-alliance
সপ্রন, হাঙ্গেরি
৬০ হাজার অধিবাসীর এই শহরের টাউন হলটিও (ওপরের ছবিতে মাঝখানে) দেখার মতো৷ অনেক পর্যটকের কাছে অবশ্য ফায়ার টাওয়ার (ওপরের ছবিতে বাম দিকে) বেশি প্রিয়৷
ছবি: picture-alliance
বেলাসিকা মাউন্টেন, গ্রিস
সাইকেল চালানোর এই রুটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান গ্রিসের এই পাহাড় অঞ্চল৷ গেলে নিশ্চয়ই মুগ্ধ হবেন৷
ছবি: picture-alliance
এদির্নে, তুরস্ক
দ্য আয়রন কার্টেন ট্রেল-এর ইতিহাস দর্শন শেষ হবে তুরস্কের এই শহরে গেলে৷ রোমানদের প্রতিষ্ঠা করা এই শহরের পাশেই বুলগেরিয়ার সীমান্ত৷