1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শহরে ডেঙ্গু গ্রামে ডায়রিয়া

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৮ জুলাই ২০১৯

রোগ আর প্রাকৃতিক দুযোগে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে দেশের মানুষ৷ ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে৷ আর বন্যার কারণে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ৷

ছবি: Getty Images/AFP/O. Sierra

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ অবশ্য ততোটা আশঙ্কা দেখছেন না৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ম্যানেজমেন্ট ভালো৷ তবে মানুষ ডেঙ্গু আতঙ্কের কারণে হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছে৷ আর ডায়রিয়া মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে৷''

প্রতিদিন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর ভিড় বাড়ছে৷ এতো দিন নগরবাসীর মনে ধারণা ছিলো, প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে আসবে৷ তবে সে আশায় পানি ঢেলে দিয়েছে আরেক খবর৷ দুই সিটি কর্পোরেশন মশা মারার যে ওষুধ ঢাক ঢোল পিটিয়ে ছিটাচ্ছে তাতে মরছে না মশা৷ এডিস মশার বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে৷ ওষুধ নিয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে৷ তাতে কী? মশা মারার ওষুধ কবে আসবে তা কেউ জানাতে পারছেন না৷ তাই এখন এডিস মশার কামড় খেয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছেন না নগরবাসী৷

‘ডেঙ্গু আতঙ্কের কারণে মানুষ হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছে’

This browser does not support the audio element.

বৃহস্পতিবার পাওয়া সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে৷ সরকারি ও বেসরকারি হাসপতালে জানুয়ারি থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৪৬ জন৷ মারা গেছে ১২ জন৷ বৃহস্পতিবার ভর্তি হয়েছেন ২০১ জন৷

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন,‘‘ডেঙ্গু আতঙ্ক তৈরি হয়েছে৷ ফলে যত রোগী ভর্তি হওয়ার কথা তার চেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে৷ হাসপাতাল ও হাসপাতালের বাইরে ডেঙ্গু রোগী বিবেচনায় নিয়ে যদি মৃত্যু হার শতকরা ১ ভাগের কম হয় তাহলে বলতে হবে এই রোগ খুব এফিশিয়েন্টলি হ্যান্ডেল হচ্ছে৷''

তিনি আরো জানান, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হার এক শতাংশের নিচে৷ তাই ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা ভালোই চলছে বলে অভিমত তাঁর৷ তিনি বলেন, ‘‘যদিও আমাদের ওপর চাপ পড়ছে৷ তারপরও আমরা এটা ম্যানেজ করতে পারব৷''

বন্যা ও ডায়রিয়া:
বাংলাদেশের ২১ জেলার ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ এখন বন্যা দুর্গত৷ আগামী ২৪ ঘন্টায় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর ও মুন্সিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে৷

২০ জেলার ৭৩টি উপজেলায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এসব উপজেলায় ১০ জুলাই থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১,০৮০ জন৷ এই হিসাব অবশ্য হাসপাতালে ভর্তির হিসাব৷ তবে এখন পর্যন্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি৷ নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, বান্দরবান, কক্সবাজার, মৌলভীবাজারসহ আরো কয়েকটি জেলার ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে৷ 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে ডায়রিয়ার চিকিৎসার জন্য ২০ জেলায় এক হাজার ৯৫৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে৷ আর এক হাজার ৩১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ 

ডায়রিয়ায় কেউ মারা না গেলেও বন্যায় এ পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ যাদের অধিকাংশই পানিতে ডুবে মারা গেছেন৷ এদিকে পাহাড় ধসে এ পর্যন্ত মারা গেছেন আট জন৷ আহত হয়েছেন ১৪ জন৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘আমরা বন্যার পূর্বভাস পেয়েই ডায়রিয়া এবং বন্যার সময় অন্য যেসব রোগ হয় তার প্রস্তুতি নিয়েছি৷ আমাদের স্ট্যান্ডিং মেডিকেল টিম গঠন করা থাকে৷ ওষুধের মজুদ ২০ ভাগ বাড়িয়ে দিয়েছি৷ আর বাংলাদেশের মানুষ ডায়রিয়ার ব্যাপারে দক্ষ৷ এর বাইরে আমরা অন্যান্য রোগ ও বিপদের ব্যাপারে সচেতনতামূলক কর্মসূচিও পরিচালনা করছি৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ