জার্মানির মতো গাড়ি-পাগল দেশে বড় শহরে গাড়ি চলাচল সীমিত করতে নানা ভাবনাচিন্তা চলছে৷ কোলন শহরের একটি পাড়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
গাড়িহীন শহরের কথা ভাবাই যায় না৷ তবে কোলন শহরে একটি এলাকায় গাড়ির প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ৷ ইয়োহানা ও তাঁর বাবা-মা বছর দেড়েক ধরে নিপেস এলাকায় বসবাস করছেন৷ এটিই জার্মানির সবচেয়ে বড় গাড়ি-বর্জিত পাড়া৷ ইয়োহানা-র মা ইংগা ফয়সার পেশায় শিক্ষিকা৷ তিনি বলেন, ‘‘সে কথা শুনেই মনে হয়েছিল, এমনভাবে থাকার মজাই আলাদা৷ তারপর নিজেদের চোখে সবকিছু দেখে খুব ভালো লাগলো৷ শিশুরা পথের উপর খেলছে, মনে ভয় ছাড়াই দিব্যি ঘোরাফেরা করছে৷''
পার্কিং-এর বদলে খেলার জায়গা৷ জার্মানির মতো গাড়ি-পাগল দেশের জন্য প্রায় বিপ্লবের মতো ঘটনা৷ এলাকার প্রায় ১,৩০০ বাসিন্দার সঙ্গে ইংগা ফয়সার ও তাঁর স্বামী বাড়িভাড়া চুক্তির মধ্যেই গাড়ি ত্যাগ করার অঙ্গীকার করেছেন৷ ঠেলাগাড়ি নিয়ে বাজার করতে যেতে হয়৷ তবে সারা সপ্তাহের বাজার একসঙ্গে তাতে ধরে না৷ তাই প্রায় প্রতিদিনই পাড়ার দোকানে তাজা পণ্য কেনেন তাঁরা৷ ইংগা বলেন, ‘‘আমার বেশি কঠিন মনে হয়নি৷ সাইকেল চালিয়ে ঘুরি, পিঠে রাকসাক থাকে, বাজার তার মধ্যেই ধরে যায়৷ সাইকেলের ঝুড়িও রয়েছে৷ তবে পানীয়র বোতলের মতো বড় কিছু থাকলে ঠেলাগাড়ি ধার নেওয়া যায়৷ অর্থাৎ যথেষ্ট উপায় থাকে৷''
ছোট আকারে এমন নীতি কার্যকর করা সম্ভব৷ কিন্তু বড় শহরের সব এলাকা গাড়ি-বিহীন করে তোলা কতটা বাস্তবসম্মত?
ড. ক্রিস্টিয়ান পিলার জার্মান এয়ারোস্পেস সংস্থা ডিএলআর-এ পরিবহণ সংক্রান্ত গবেষণা বিভাগের প্রধান৷ জার্মানির বাকি শহরের মতো কোলনও গাড়ির উপর নির্ভরশীল৷ তবে তাঁর মতে, এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে৷ কীভাবে সেটা সম্ভব? ড. পিলার বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, কোলনের মতো শহরের জন্য সোনার ডিম দেওয়া মুরগি নেই৷ অর্থাৎ একটিমাত্র চাবিকাঠি পাওয়া সম্ভব নয়, একাধিক পদক্ষেপ নিতে হবে৷ নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রেই কাজ শুরু করতে হবে৷ গণপরিবহণ কাঠামো আরও সম্প্রসারিত করতে হবে৷ সেইসঙ্গে সাইকেল ও পথচারীদের জন্য আরও ব্যবস্থা করতে হবে৷''
কোলনকে ভালোবাসার দশ কারণ
শিল্প, সংস্কৃতি এবং কার্নেভাল – তবে এ সবের বাইরেও আরো অনেক ব্যাপার আছে কোলনে৷ আছে দু’হাজার বছরেরও পুরোনো, ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা সব ভবন৷ আছে বাণিজ্য মেলা, নাইট লাইফ....কিছুরই যেন কমতি নেই এ শহরে৷
ছবি: Dieter Jacobi/KölnTourismus GmbH
কোলন ক্যাথিড্রাল – সত্যিকার অর্থেই এক বিশাল ল্যান্ডমার্ক
পর্যটকদের কাছে জার্মানির অন্যতম সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য হচ্ছে কোলন ক্যাথিড্রাল৷ প্রতিদিন ২০ হাজারের মতো মানুষ এই গির্জা দেখতে যান৷ সাত’শ বছরের বেশি পুরনো কোলন ডোম তৈরিতেও প্রায় একইরকম সময় লেগেছে৷ ১৯৯৬ সালে এটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে৷
ছবি: Udo Haake/KölnTourismus GmbH
ওল্ড টাউন সেন্টার – একটি আধুনিক ঐতিহাসিক জায়গা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল কোলনের ওল্ড টাউন সেন্টার৷ পরবর্তীতে গতশতকের ষাটের দশকে অনেক ভবনের সামনের অংশ ব্যবহারের উপযোগী করে সংস্কার করা হয়৷ বর্তমানে সেখানে অনেক আরামদায়ক ক্যাফে, রেস্তোরাঁ আর পানশালা রয়েছে৷
ছবি: Jens Korte/KölnTourismus GmbH
ঐতিহ্যবাহী ক্যোলশ বিয়ারের উৎপত্তি যেখানে
যেখানে তৈরি সেখানেই সেটির স্বাদ নেয়ার সুযোগ নিতে চাইলে কোলনে গিয়ে ক্যোলশ বিয়ার পান করতে হবে৷ শূণ্য দশমিক দুই লিটারের সরু গ্লাসে করে এই বিয়ার পরিবেশন করা হয়৷
ছবি: Privatbrauerei Gaffel
প্রাচীন থেকে বর্তমান সময়ের মিউজিয়াম
শিল্প এবং সংস্কৃতি প্রেমীদের জন্য এক আদর্শ স্থান কোলন৷ সেখানে অসংখ্য মিউজিয়ামে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ইভেন্ট চলতে থাকে৷ রোমান সময় থেকে নতুন প্রযুক্তি এমনকি চকলেট – সব ধরনের মিউজিয়ামই পাবেন কোলনে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
চার্চ – অতীতের মহিমার সাক্ষী
মধ্যযুগে কোলন ছিল জার্মান ভাষী বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর এবং গির্জাসম্পর্কিত এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র৷ এখনো অনেক গির্জা সেই সময়ের চিহ্ন বহন করে চলেছে৷
ছবি: Jens Korte/KölnTourismus GmbH
রাইনপার্ক – একটি বড় খেলার মাঠ
ক্যাথিড্রালের অপর পাশে রাইনের তীরে ৪০ হেক্টর জমির উপর রাইনপার্ক অবস্থিত৷ ১৯১২ সালে তৈরি পার্কটিকে ২০০৭ সালে জার্মানির সেরা পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ পার্কটিতে ফুটবল খেলার, এবং বার্বিকিউর ব্যবস্থা রয়েছে৷ আর কোলনের চিড়িয়াখানা থেকে ক্যাবল কারে রাইন পার হয়ে পার্কে যাওয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
কার্নিভাল – কোলনের পঞ্চম মৌসুম
প্রতিবছরের একটি সপ্তাহ কোলন এক অসাধারণ স্থানে পরিণত হয়৷ বলছি কোলন কার্নিভালের কথা৷ গোটা বিশ্বে কোলন ডোম আর কার্নিভালের জন্য কোলন বিশেষভাবে পরিচিত৷ কার্নিভালের সময় সেখানে গেলে যে শব্দটি মনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে ‘আলাফ’৷ কার্নিভালের শুভেচ্ছা জানাতে শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gambarini
বাণিজ্যমেলা – গেমসকম থেকে আর্ট কোলন
বাণিজ্য মেলার শহর হিসেবেও কোলনের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে৷ বিশ্বের অন্যতম বড় ভিডিও গেমের মেলা ‘গেমসকম’ এই শহরেই আয়োজন করা হয়৷ পাশাপাশি, শিল্প মেলা আর পোশাক খাতের মেলা তো আছেই৷
ছবি: Koelnmesse GmbH
উদারমনা এবং স্বাগতপূর্ণ
মেট্রোপলিটন এবং টলারেন্ট – কোলনের ভিত্তি এই দু’টোর উপর৷ শহরটিতে সমকামীদের শক্ত অবস্থান রয়েছে৷ প্রতিবছর সমকামী এবং হিজড়াদের অধিকার নিয়ে বছরে দুই সপ্তাহের ‘কোলনপ্রাইড’ আয়োজন করা হয় কোলনে৷ আয়োজন করা হয় তিন দিনব্যাপী ‘ক্রিস্টোফার স্ট্রিট ডে’-রও৷
ছবি: picture alliance/R. Goldmann
রাইন – বাণিজ্য রুট এবং চিত্তবিনোদনের জায়গা
জার্মানির সবচেয়ে দীর্ঘ নদী রাইনের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এক চমৎকার স্থান কোলন৷ আর কোলনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে নৌভ্রমণ করতে পারেন রাইনে৷ নদী থেকে শহরটি দেখতে অসাধারণ মনে হয়৷
ছবি: Dieter Jacobi/KölnTourismus GmbH
10 ছবি1 | 10
ভবিষ্যতে শহরের কাঠামোর একটা রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে৷ সব এলাকার মধ্য দিয়ে বড় রাস্তাগুলি ধীরে ধীরে গুটিয়ে ফেলতে হবে৷ সবুজ অংশ বাড়াতে হবে৷ ব্যক্তিগত মালিকানার গাড়িগুলিকে কোণঠাসা করে ফেলতে হবে৷ শহরের কেন্দ্রস্থলে মালপত্র নিয়ে যেতে ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার করতে হবে৷ সাইকেল ও ইলেকট্রিক শক্তিচালিত তিন চাকার বাহনের ব্যবহার বাড়বে৷ পাড়ার মধ্যে স্বয়ংক্রিয় বাস চলবে৷ মোবাইল ফোনের অ্যাপ-এর মাধ্যমে পরিবহণের সব মাধ্যমের মধ্যে সমন্বয় করা যাবে৷ তবে একটা শহরে এমন আমূল পরিবর্তন করার ঝক্কি ও ব্যয় কম নয়৷ ড. পিলার বলেন, ‘‘বড় সমস্যার ভয়ে আরও অপেক্ষা না করে পরিবহণের ক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন এখনই শুরু করা উচিত বলে আমি মনে করি৷ ছোট ছোট পদক্ষেপ দিয়ে কাজ শুরু হতে পারে, যাতে তার সুফল হাতেনাতে পাওয়া যায়৷''
ইংগা ফয়সার এমন পদক্ষেপের কথা জানেন৷ যেমন আসবাবপত্র পরিবহণ বা কাছেপিঠে বেড়াতে গেলে তিনি কয়েক ঘণ্টার জন্য গাড়ি ভাড়া করেন৷ নিজস্ব গাড়ির বদলে কার-শেয়ারিং ব্যবস্থা৷ কারণ কিছু ক্ষেত্রে গাড়ি ছাড়া চলে না৷ ইংগা ফয়সার বলেন, ‘‘যখন খুব সকালে কাজে যেতে হয় এবং কিন্ডারগার্টেন সকাল সাড়ে সাতটায় খোলে আর আমাকে ৮টার সময় অফিসে পৌঁছতে হয়, তখন ট্রাম-বাসের উপর নির্ভর করা যায় না৷ তখন কারশেয়ারিং পরিষেবার আওতায় গাড়ি ভাড়া করতে হয়৷ সপ্তাহে একবার তো এমন চাহিদা হয়ই৷''
তবে সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে গোটা পরিবার গাড়ি ছাড়াই চলার চেষ্টা করে৷ দুপুরবেলা পাড়ার মধ্যেই দিব্যি সময় কেটে যায়৷ কোলন শহরের এই পাড়ার মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন, যে গাড়ি-বিহীন জীবনযাত্রা মানেই ত্যাগ স্বীকার করা নয়৷ বরং এর ফলে জীবনযাত্রার মান বাড়ে৷ জীবনে শান্তি আসে৷ বড় শহরের মধ্যেও সেটা সম্ভব৷
পরিবেশ বাঁচাতে ডিজেলের গাড়ি কমাতে চায় যেসব শহর
বিশ্বের বড় শহরগুলি যে সমস্যার সঙ্গে যুঝছে, সেটি হলো স্মগ বা কুয়াশা৷ শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ডিজেলে চলা গাড়ি নিষিদ্ধ করা হবে কিনা, তাই নিয়ে বিতর্ক চলছে জার্মানিতে৷ ‘ড্রাইভিং ব্যান’ হবে মুশকিল আসান?
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
গাড়ির শেষ নেই
জার্মানির স্টুটগার্ট শহরের একটি সরণি৷ এভাবে চললে বায়ুদূষণ প্রায় অবধারিত বলা চলে; গাড়ির ধোঁয়ার সঙ্গে কুয়াশা যোগ হয়ে যদি ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়, তবে তো কথাই নেই৷ কিন্তু গাড়ি চলাচল আধুনিক সভ্যতা ও জীবনযাত্রার অঙ্গ৷ তাহলে কি শহরের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বা রাস্তায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট কয়েক ধরনের গাড়ি চলা নিষিদ্ধ করেই পার পাওয়া যাবে?
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Murat
অসলোয় বায়ুদূষণ বাড়লে ডিজেল গাড়ি চলা বারণ
নরওয়ের রাজধানীতে ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে ২০১৭ সালের ১৭ই জানুয়ারি থেকে৷ অবশ্য অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য সরকারি পরিষেবার যানবাহন ডিজেল হলেও চলতে পারে৷ এছাড়া ২০১৯ সাল থেকে সিটি সেন্টারে সরকারি পার্কিং লট ও গ্যারেজ কমিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে৷
ছবি: Fotolia/nanisimova
প্যারিসও ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে
২০২৪ সাল থেকে ফ্রান্সের রাজধানীতে ডিজেল গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ হবে; ২০৩০ সাল থেকে প্যারিসে ডিজেল বা পেট্রোল, কোনো ধরনের খনিজ তেলে চলা গাড়ি নিষিদ্ধ করা হবে – অর্থাৎ প্যারিসে শুধু ইলেকট্রিক গাড়ি চলবে৷ বর্তমানে প্যারিসে বায়ুদূষণ একটা বিশেষ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে, ‘রোটেশন সিস্টেম’ অনুযায়ী শুধুমাত্র জোড় বা বেজোড় নাম্বারপ্লেটের গাড়ি চলতে পারে৷
ছবি: Reuters/C. Platiau
লন্ডনে গাড়ির ভিড়ের মাশুল
লন্ডনের কেন্দ্রে গাড়ি চালাতে গেলে দিনে ১০ পাউন্ড বা প্রায় ১৪ ডলার কিংবা ১১ ইউরো মাশুল গুণতে হয়৷ উদ্দেশ্য – মানুষ যেন গাড়ি নিয়ে শহরের কেন্দ্রে না আসেন৷ ২০০৩ সাল থেকে এই ‘কনজেশ্চান চার্জ’ বসানো হয়েছে৷ রাস্তায় লাগানো যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির নাম্বারপ্লেট চিনে নিতে পারে – অর্থাৎ ধরতে পারে, ‘ভিড়ের মাশুল’ দেওয়া হয়েছে কিনা৷ নয়তো ২৪০ পাউন্ড অবধি জরিমানা!
ছবি: picture-alliance/dpa
বিশ্বের সবচেয়ে সাইকেল বান্ধব শহর
কোপেনহেগেনে ২০১৯ সাল থেকে ডিজেল গাড়ি ঢোকা বন্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে৷ বর্তমানে ডেনমার্কের রাজধানীতে ৩০০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা শুধুমাত্র সাইকেল আরোহীদের জন্য রাখা; শহরের অর্ধেক বাসিন্দা সাইকেলে চড়ে অফিস যান৷ উদ্দেশ্য – সাইকেল চালানো যেন গাড়ি চালানোর চেয়ে শুধু সস্তাই নয়, নির্ঝঞ্ঝাটও হয়৷
ছবি: picture-alliance/Hans Ringhofe
মাদ্রিদের বিভিন্ন এলাকা শুধু পথচারীদের
মাদ্রিদের রয়্যাল থিয়েটারের সামনের চত্বরটিতে ইতিমধ্যেই গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ, অন্যান্য এলাকাও ‘পেডেস্ট্রিয়ান জোন’ ঘোষণা করার প্রচেষ্টা চলেছে৷ লক্ষ্য হলো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে স্পেনের রাজধানীর গোটা কেন্দ্রীয় অংশটি শুধুমাত্র পথচারীদের জন্য খোলা রাখা৷ এর কারণ হলো, মাদ্রিদের চারপাশে পাহাড় থাকার ফলে দূষিত বায়ু শহরেই আটকা পড়ে ও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়৷
হেলসিংকির ট্রাফিক অ্যাপ
ভবিষ্যতে হেলসিংকিতে সরকারি পরিবহণ আরো ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে, কেননা, আগামী দশ বছরের মধ্যে সব ধরনের সরকারি পরিবহণকে একটি অ্যাপ-এ অন্তর্ভুক্ত করা হবে; বাস, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ও (ছবিতে) মিনিবাসগুলির কোনো নির্দিষ্ট রুট থাকবে না ৷ তারা অ্যাপ অনুযায়ী যাত্রী তুলে নিতে পারবে৷ এরপরে ফিনল্যান্ডের রাজধানীতে সবাই যদি গাড়ি কেনাই ছেড়ে দেয়, তো আশ্চর্য হবার কিছু থাকবে না৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/Li Jizhi
দিল্লিতে ইলেকট্রিক রিকশা
ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লি কুয়াশা বা ধোঁয়ার জন্য আজ বিশ্বসেরা৷ কাজেই সেখানে এই ইলেকট্রিক রিকশাগুলি একটি আশার আলো বৈকি৷ ২০৩০ সালের মধ্যে দিল্লিতে যাবতীয় নতুন গাড়ি বিদ্যুৎচালিত হবে, এই হলো পরিকল্পনা; অর্থাৎ ডিজেল বা পেট্রোলে চলা গাড়ি কুয়াশার মতোই কালে বিলীন হবে৷