শাংহাইয়ের দক্ষিণে চীনের বন্দর নগরী নিংবোতে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত দু'জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে৷ আহত ৩০ জনেরও বেশি৷ বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান করছেন কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: Reuters
বিজ্ঞাপন
রবিবার সকালে নিংবো শহরের পূর্বাঞ্চলের বন্দরে একটি কারখানায় ভয়াবহ এই বিস্ফোরণ হয়৷ বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে৷ আকাশ ছেয়ে যায় ধূসর ধোঁয়ায়৷
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাস্থলেই দু'জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷ বিভিন্ন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণস্থলের আশেপাশে বেশ কয়েকটি ভবন পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে৷ গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কয়েক মিটার দূরের কয়েকটি ভবনের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়েছে৷
পুলিশ বলছে, বিস্ফোরণের সাথে সাথে আশেপাশের আবাসিক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ কারণ এ সব ভবন ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা৷ কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে তার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
চীনে বিস্ফোরণ, অগ্নিকাণ্ড এবং কারখানায় দুর্ঘটনা খুব একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়৷ যদিও সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে, কারাখানায় দুর্ঘটনা কমাতে যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় এবং নিয়ম নীতি মেনে কর্মপরিবেশ তৈরি করা হয়৷
২০১৫ সালে বেইজিংয়ের পূর্ব দিকে তিয়ানজিন শহরে একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৭০ জন মানুষ প্রাণ হারায়৷ ২০১৬ সালে সরকারি তদন্তের পর ঐ ঘটনায় ১২৩ ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনা হয়৷
ফুকুশিমা এখনো ধুঁকছে
ভূমিকম্প, সুনামি আর পারমাণবিক কেন্দ্র বিস্ফোরণের ক্ষতি সামলে ওঠার জন্য এখনো লড়ছে জাপান৷ পাঁচ বছর আগে ত্রিমুখী আক্রমণে বিপর্যয় নেমে এসেছিল৷ ফিরে দেখা যাক সেই দিনটি, দেখা যাক এখন কী অবস্থায় আছে ফুকুশিমা৷
ছবি: Reuters/T. Hanai
১৮ হাজারেরও বেশি মানুষের ঘাতক
২০১১ সালের ১১ই মার্চ ২টা ৪৬ মিনিটে যেন প্রলয় শুরু হয়েছিল জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে৷ প্রথমে প্রচণ্ড ভূমিকম্প৷ রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার সেই ভূমিকম্পের কারণে শুরু হলো সুনামি৷ তাতে মারাত্মক ক্ষতি হলো ফুকুশিমার পারমাণবিক কেন্দ্রটির৷ পারমাণবিক চুল্লি ছিদ্র হয়ে চারপাশে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ল৷ সুনামিতে ধ্বংস হয় অনেক বাড়ি-ঘর৷ এক হিসেবে মোট ১৮ হাজার ৫শ’ মানুষ মারা যায় সেদিন৷ নিখোঁজ হয় ২ হাজার মানুষ৷
ছবি: Bertram Schiller
এখনো ভুগছে মানুষ
ফুকুশিমার বিপর্যয়ে যে শুধু ১৮ হাজার মানুষ মারা গেছে তা নয়, অসংখ্য মানুষকে এখনো ভোগ করতে হচ্ছে বিপর্যয়ের পরিণাম৷ দায়িচি পারমানবিক চুল্লির আশপাশের এলাকায় এখনো তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে আছে৷ অনেকেই এখনো নিজের ঘরে ফিরতে পারেননি৷
ছবি: Bertram Schiller
শূন্য স্কুল
দাইচির কাছের এই স্কুলটি এখনো খালি পড়ে আছে৷
ছবি: Getty Images/C.Furlong
এখনো চলতে হয় সাবধানে
এখনো তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে আছে৷ তাই সংবাদ সম্মেলনেও সাংবাদিককে বসতে হয় এই পোশাকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/T.Hanai
প্রার্থনা
এখানেই একসময় ছিল নিজের বাড়ি৷ ছবির এই নারী ২০১১ সালের ১১ই মার্চ বাড়ি হারিয়েছেন, সঙ্গে হারিয়েছেন স্বজনদেরও৷ তাই ফুল দিয়ে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের জন্য প্রার্থনা করছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K.Kamoshida
স্বজনদের স্মরণ
প্রতিবছর এই দিনে ২০১১ সালের ১১ই মার্চের দুর্যোগে হারানো মানুষদের স্মরণ করে জাপান৷ চিরতরে হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এক বৌদ্ধ ভিক্ষু৷
ছবি: TORU YAMANAKA/AFP/Getty Images
জাতীয় শোক
প্রতি বছর শোকের পরিবেশেই পাঁচ বছর আগের দিনটিকে স্মরণ করে জাপান৷ ১০ মার্চ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যখন সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন তখন কালো ফিতা দেখা গেল জাতীয় পতাকায়৷ ফুকুশিমায় নিহতদের স্মরণ করতেই পতাকায় লাগানো হয় কালো ফিতা৷