1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শাটলের উত্তরসূরিদের কথা

২৫ জুলাই ২০১১

শেষ হয়ে গেল মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা'র শাটল কর্মসূচি৷ গত বৃহস্পতিবার শেষ শাটল ‘অ্যাটলান্টিস' এর পৃথিবীতে ফিরে আসার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটলো ৩০ বছরের এই কর্মসূচির৷

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে অ্যাটলান্টিস দেখা যাচ্ছেছবি: AP
বাজেট সংকট

বাজেট সংকট অর্থাৎ টাকা নেই৷ গত কবছর ধরেই শোনা যাচ্ছে কথাটি৷ এ কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক প্রকল্প৷ নাসার শাটল কর্মসূচিও এর মধ্যে পড়ে গেছে৷ মার্কিন সরকার বলছে, শাটলগুলোর দেখভালের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের জোগান দেয়া সম্ভব হবেনা৷ অগত্যা কর্মসূচি সমাপ্ত করে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলনা নাসার৷ নভোখেয়ার সলিল সমাধির অনেকগুলো কারণের মধ্যে অর্থ সংকটও একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল বলে জানা গেছে৷

মঙ্গলে যাওয়ার যান

অবশ্য এর ফলে যে অর্থ বেঁচে যাচ্ছে তার থেকে একটা অংশ ব্যয় করা হচ্ছে এমন এক মহাকাশ যান তৈরির কাজে যেটা মানুষকে চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহে নিয়ে যাবে৷ এর নাম দেয়া হয়েছে ‘এমপিসিভি', যার পুরোটা করলে দাঁড়ায় ‘মাল্টি-পারপাস ক্রু ভেইকল'৷ নাসা আশা করছে, এই যানে করে ২০৩০ সাল নাগাদ মঙ্গল গ্রহে যাওয়া যাবে৷ একসঙ্গে মোট চারজন যাতায়াত করতে পারবেন এই যানে৷

শেষ বারের মতো অবতরণ করলো অ্যাটলান্টিসছবি: dapd

শাটলের বিকল্প

কিন্তু শাটল বন্ধ করে দেয়ায় নভোচারীরা এখন কীভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র বা আইএসএস'এ যাবেন, এই প্রশ্ন সবার৷ নাসা বলছে, এক্ষেত্রে আপাতত রাশিয়ার সাহায্য নেয়া হবে৷ তাদের ‘সয়্যুজ' নামক মহাকাশ যানটি ব্যবহার করা হবে৷

এভাবে চলতে হবে তিন বা চার বছর৷ নাসা'র আশা, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাত নতুন মহাকাশ যান তৈরি করে ফেলবে৷ সেজন্য কাজও চলছে৷ নাসা এসব যান তৈরিতে চারটি কোম্পানিকে আর্থিক সহায়তাও দিচ্ছে৷

ড্রাগন

সবার আগে যে মহাকাশ যানটি তৈরি হতে পারে সেটার নাম ‘ড্রাগন'৷ স্পেসএক্স নামের একটি কোম্পানি এটি তৈরি করছে৷ গত বছর কোম্পানিটি বেসরকারি খাতের প্রথম কোম্পানি হিসেবে অর্বিটে মনুষ্যবিহীন একটি স্পেসক্রাফট পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল৷ এবং এ বছর তারা আইএসএস'এ কার্গো মিশন শুরুর পরিকল্পনা করছে৷

ঐতিহাসিক যাত্রার শেষে অ্যাটলান্টিসছবি: dapd

স্পেসএক্স আশা করছে তাদের মহাকাশ যান ড্রাগন ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করতে পারবে৷ একসঙ্গে মোট সাতজন নভোচারী বহন করতে পারবে ড্রাগন৷ এখন পর্যন্ত যে পরিকল্পনা তাতে ড্রাগন ল্যান্ড করবে বা নামবে সাগরের পানিতে৷ তবে স্পেসএক্স বলছে, ভবিষ্যতে ড্রাগন যেন মাটিতে নামতে পারে সে চেষ্টা তারা করছে৷ ড্রাগন তৈরিতে সহায়তা হিসেবে নাসা ইতিমধ্যে স্পেসএক্সকে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ দিয়েছে৷

সিএসটি - ১০০

এরপর যে মহাকাশ যানের কথা বলা যায় সেটি তৈরি করছে বিখ্যাত বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং৷ তাদের স্পেসক্রাফটের নাম ‘সিএসটি - ১০০'৷ ২০১৫ সালে অর্থাৎ ড্রাগনের এক বছর পর এটি প্রস্তুত হবার কথা৷ ড্রাগনের মতো এটিও সাতজন নভোচারী বহন করতে পারবে৷ বোয়িং বলছে, মূলত আইএসএস'এ নভোচারী পাঠানোই এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলেও ‘স্পেস ট্যুরিজম', মানে মহকাশে পর্যটক পরিবহনেও কাজে লাগানো হতে পারে সিএসটি - ১০০'কে৷ এই যান তৈরিতে নাসা এখন পর্যন্ত প্রায় ১১০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে৷ জানা গেছে, প্যারাসুটের সাহায্যে মাটিতে নামবে সিএসটি - ১০০৷

ড্রিম চেজার দেখতে শাটলের মতো

এতক্ষণ যে দুটি মহাকাশ যানের কথা বলা হলো তার একটিও দেখতে বর্তমানের শাটলের মতো নয়৷ তবে ‘ড্রিম চেজার' নামের একটি যান দেখতে অনেকটা শাটলের মতো৷ অর্থাৎ শাটলের মতোই এই যানে দুই পাশে দুটি ডানা থাকবে৷ এটি তৈরি করছে সিয়েরা নেভেদা কর্পোরেশন৷ সাতজন নভোচারী বহনে সক্ষম এই যান শাটলের মতোই রানওয়ে ব্যবহার করে নামবে৷ নাসা এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে৷

ব্লু অরিজিন

নাসার সাহায্য নিয়ে মহাকাশ যান তৈরি করছে এমন আরেকটি কোম্পানি ‘ব্লু অরিজিন'৷ তারা যে যান তৈরি করছে তার নামও সেটাই৷ ব্লু অরিজিনে যাতায়াত করতে পারবেন সাতজন নভোচারী৷ নাসার কাছ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা পেয়েছে ব্লু অরিজিন কোম্পানি৷

অর্থাৎ এখন থেকে আর ডিসকভারি, এন্ডেভার বা অ্যাটলান্টিসের নাম নয়, শুনতে হবে ড্রাগন, সিএসটি, ড্রিম চেজার আর ব্লু অরিজিনের কথা৷ তবে তার আগে অবশ্যই অন্তত বছর তিন বা চারেকের জন্য শুনতে হতে রাশিয়ার সয়্যুজ যানের কথা৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ