1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তিচুক্তি

সমীর কুমার দে, ঢাকা৩ ডিসেম্বর ২০১২

শান্তিচুক্তির ১৫ বছর পরও পাহাড়ে শান্তি আসেনি৷ কখনো প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পাহাড়ি দলের সংঘাত, কখনো বা পাহাড়ি বাঙালি দাঙ্গায় প্রতিনিয়ত সবুজ পাহাড় রক্তে লাল হচ্ছে৷ এখনও শান্তি ফিরে না আসায় শঙ্কিত পাহাড়িরা৷

Kaptai Lake of Bangladesh, one and the bigest man made lake in Bangladesh. Located in Rangamati hill district. Kaptai Lake is a man-made lake in south-eastern Bangladesh. It is located in the Kaptai Upazila of Rangamati District of Chittagong Division. The lake was created as a result of building the Kaptai Dam on the Karnaphuli River, as part of the Karnaphuli Hydro-electric project. The Kaptai Lake's average depth is 100 feet (30 m) and maximum depth is 495 feet (151 m).
ছবি: DW

পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য ঐতিহাসিক দিন ২রা ডিসেম্বর৷ ১৯৯৭ সালের এই দিনে পাহাড়ে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির অবসান ঘটানোর জন্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে সরকারের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়৷ তখন সরকারের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অধিবাসীদের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা৷

শান্তিচুক্তির ১৫ বছর পরও পাহাড়ে শান্তি আসেনি৷ কখনো প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পাহাড়ি দলের সংঘাত, কখনও বা পাহাড়ি বাঙালি দাঙ্গায় প্রতিনিয়ত সবুজ পাহাড় রক্তে লাল হচ্ছে৷ এমন অবস্থায় শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য সরকারের আন্তরিকতাকেই দায়ী করলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা৷

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমাছবি: DW / Sarowar

তবে সন্তু লারমার এই অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের৷ তিনি বলেন, চুক্তির অনেকগুলো ধারা বাস্তবায়ন করা হয়েছে৷

সরকারের আন্তরিকতা নিয় প্রশ্ন তুলে সন্তু লারমা বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের আগে যে পথ অবলম্বন করতে হয়েছে এখন চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য তাদের কি সেই পথেই যেতে হবে? সময়ই বলে দেবে এই প্রশ্নের উত্তর৷

চুক্তি স্বাক্ষরের পর খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠনিকভাবে অস্ত্র সমর্পণ করেন সন্তু লারমা৷ এছাড়া বিভিন্ন সময়ে প্রায় দুই হাজার শান্তিবাহিনীর সদস্য অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন৷ তখন শান্তির বার্তা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শুরু হয় নতুন পথ চলা৷ সাধারণ মানুষের আশা ছিল চুক্তির পর পাহাড়ে পূর্ণাঙ্গ শান্তি ফিরে আসবে৷ কিন্তু এখনও শান্তি ফিরে না আসায় শঙ্কিত পাহাড়িরা৷ তারা চান অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত পাহাড়ে চলা সংঘাত বন্ধ হবে৷ সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ