২০১৭ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছে আইসিএএন৷ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিক নিয়ে জনমত গড়ে তোলা ও চুক্তির মাধ্যমে এর ব্যবহার বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় এ পুরস্কার দেয়া হলো তাদের৷
বিজ্ঞাপন
নরওয়ের নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান পঞ্চম কাচি কুলমান শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ পুরস্কার ঘোষণা করেন৷
বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপন- আইসিএএন৷ আইসিএএন-এ মূলত সারা বিশ্বের একশ'টি দেশের বেসরকারী সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত একটি জোট, যারা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ভয়াবহ দিক সম্পর্কে সকলকে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি এর ব্যবহার বন্ধে আন্তর্জাতিকভাবে আইনী নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষেও কাজ করছে৷
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করছি, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি৷ অনেক দেশ পারমাণবিক অস্ত্র আধুনিকীকরণের দিকে নজর দিয়েছে৷ আশঙ্কাজনকভাবে অনেক দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভার বাড়াতে সচেষ্ট, যেমনটা করছে উত্তর কোরিয়া৷ এর আগে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে স্থল মাইন, গুচ্ছ বোমা, রাসায়নিক অস্ত্র বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে৷ এগুলোর চেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক হওয়া সত্ত্বেও পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে অনুরূপ আন্তর্জাতিক আইনী নিষেধাজ্ঞা জারি সম্ভব হয়নি৷’’
নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিতর্কিত বিজয়ীরা
ইয়াসির আরাফাত থেকে জাতিসংঘ– কেন তারা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন? প্রায় প্রতি বছর অসলোতে ঘুরেফিরে এই প্রশ্ন ওঠে৷ এমন কয়েকজন শান্তিতে নোবেলজয়ীকে নিয়েই এই ছবিঘর..
ছবি: Getty Images
দীর্ঘদিনের আলোচনা
১৯০১ সালে যখন প্রথম সুইজারল্যান্ডের হেনরি ডুনান্ট (বামে) এবং ফ্রান্সের ফ্রেডেরিক প্যাসিকে (ডান দিকে) নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়, তখনই এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল নোবেল কমিশন৷ ডুনান্ট আন্তর্জাতিক রেড ক্রস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং প্যাসির সঙ্গে একযোগে জেনেভা কনভেনশনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ নোবেল কমিশনের আশঙ্কা ছিল, যুদ্ধকে মানবিক করার কথা বলে জেনেভা কনভেনশন হয়ত যুদ্ধের গ্রহণযোগ্যতাই বাড়িয়ে দেবে৷
ছবি: public domain
যুদ্ধবাজ এবং শান্তিকামী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্টকে কখনোই খুব শান্তিকামী হিসেবে দেখা যায়নি৷ তিনি স্পেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আহ্বান করেছিলেন৷ এরপর উপনিবেশবাদ থেকে কিউবাবাসীদের মুক্ত হতে সাহায্য করেন৷ তবে মার্কিন সেনাবাহিনী গিয়েই প্রথমে নিশ্চিত করেন যে, ওই ভূখণ্ডটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷তবে রুশ-জাপান যুদ্ধের সময় শান্তির উদ্যোগের জন্য রুজভেল্ট শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান৷
ছবি: Getty Images
বর্ণবাদী শান্তিকামী
‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠা’য় অবদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ২8 তম প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনকে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়৷ তবে তিনি সব সময়ই সাদা চামড়ার মানুষদেরই সেরা মনে করতেন৷ সেকারণেই যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সাদাদের স্বর্গরাজ্য’ বানাতে চেয়েছিল ‘কু ক্লুক্স ক্ল্যান’ নামের যে প্রতিষ্ঠানটি, তাদের পক্ষে ছিলেন উইলসন৷
ছবি: Getty Images
শান্তি ছাড়াই শান্তি পুরস্কার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ও ভিয়েতনামের পলিটব্যুরোর সদস্য লি ডুক থো ১৯৭৩ সালে প্যারিস শান্তি চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন৷যুদ্ধ বন্ধের জন্যই এ চুক্তি করা হলেও ডুক থো পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানান, কেননা চুক্তি হলেও যুদ্ধ তখনো থামেনি৷চুক্তি সম্পাদনের দু’ বছর পরেও ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়াতে সংঘাত চলেছে৷
ছবি: picture-alliance
অভ্যুত্থানকারীর ভাগ্যেও শান্তি পুরস্কার
মিশর-ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় একমত হয়ে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল সাদাত (বামে) ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন (ডানে)৷ ১৯৭৮ সালে এ কারণে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয় তাঁদের৷ সাদাতের এই পুরস্কার সে সময় বেশ আলোড়ন তোলে৷ কারণ, ১৯৫২ সালে বাদশাহ ফারুককে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় করেই ক্ষমতায় এসেছিলেন আনোয়ার সাদাত৷
ছবি: AFP/Getty Images
শান্তিরক্ষা এবং নোংরামি
‘দ্য ব্লু হেলমেট’ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী৷ ১৯৮৮ সালে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় তাঁদের৷ তবে নোবেল জয়ের পরই তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় নারী ও শিশুদের যৌন নির্যাতন ও তাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে৷ রুয়ান্ডায় গণহত্যা এবং স্রেব্রেনিকায় ব্যাপক হত্যাকান্ডের সময় নির্লিপ্ত থাকার অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে৷
ছবি: Getty Images/A.G.Farran
দুই মুখো মানুষ
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে এফ.ডব্লিউ ডি ক্লার্ক এক সময় সে দেশে সরাসরি বর্ণবাদের পক্ষে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ পরে বর্ণবিদ্বেষ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন৷নেলসন ম্যান্ডেলাসহ ন্যাশনাল কংগ্রেসের অনেক নেতাকে মুক্তি দেন তিনি৷ তা সত্ত্বেও ১৯৯৩ সালে ম্যান্ডেলার সঙ্গে তাঁকেও শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করায় বিস্মিত হয়েছেন অনেকে৷
ছবি: Getty Images/R.Bosch
‘সন্ত্রাসী’ পেলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার!
১৯৯৪ সালের পুরস্কার নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়৷ সে বছর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রচেষ্টার জন্য ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন প্রধান ইয়াসির আরাফাত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিমন পেরেসকে যৌথভাবে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়৷ আরাফাতকে ‘অযোগ্য বিজয়ী’ আখ্যায়িত করে এর প্রতিবাদে নোবেল কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন নরওয়ের এক রাজনীতিবিদ৷
ছবি: Getty Images
জাতিসংঘও পেয়েছে শান্তি পুরস্কার
‘আরো ভালো এবং শান্তিপূর্ণ বিশ্ব’ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য ২০০১ সালে জাতিসংঘ ও এর মহাসচিব কোফি আনানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয৷ তবে অনেকগুলো চুক্তি সম্পাদন ও বাস্তবায়নে ব্যর্থতার কারণে তাদের ব্যাপক সমালোচনা তাতে থামেনি৷
ছবি: Reuters
বারাক ওবামার আগাম জয়ের মালা
‘আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং জনগণের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে অসাধারণ ভূমিকার জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার নয় মাসের মাথায় পুরস্কার পান ওবামা৷ সমালোচকরা মনে করেন, বড্ড তড়িঘড়িই এসেছিল পুরস্কারটি৷ পরে তিনি আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করতে সামরিক হস্তক্ষেপ অনুমোদন করেছিলেন, যা আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী হওয়ায় ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়৷
ছবি: Reuters/C. Barria
যুদ্ধাপরাধে সহায়তাকারী থেকে নারী অধিকার কর্মী
হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও নির্যাতনের হাজার হাজার মামলাসহ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস টেইলর৷ তার সরকারের অর্থমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হওয়া এলেন জনসন সিরলেফের বিরুদ্ধেও টেইলরকে ওইসব কর্মকাণ্ডের সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে৷২০১১ সালে ‘নারীদের নিরাপত্তার জন্য অহিংস সংগ্রাম’ এর কারণে সিরলেফকেও দেয়া হয় শান্তি পুরস্কার৷
ছবি: T. Charlier/AFP/Getty Images
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুরস্কারও বিতর্কের ঊর্ধে নয়
শরণার্থী ক্যাম্পে বেশ অমানবিক অবস্থার জন্য বহু বছর ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বাস্তু নীতির সমালোচনা করে আসছেন মানবাধিকার কর্মীরা৷ তারপরও ‘শান্তি, মীমাংসা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকার জন্য’ ২০১২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও দেয়া হয় নোবেল শান্তি পুরস্কার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
12 ছবি1 | 12
ঘোষণায় বলা হয়, নোবেল কমিটি এ বিষয়ে অবগত যে, আইনি নিষেধাজ্ঞার ফলে একটি পারমাণবিক অস্ত্রও অপসারিত হবে না এবং যেসব রাষ্ট্রের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বা তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধের চুক্তি সমর্থনও করে না৷ পরবর্তী ধাপে পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশগুলো এর ব্যবহার বন্ধে একমত হবে এমন আশা প্রকাশ করে নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সারা বিশ্বের প্রায় ১৫ হাজার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে যার ব্যবহার বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করা প্রয়োজন৷
আগামী ১০ ডিসেম্বর অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেওয়া হবে৷ পুরস্কার বাবদ একটি সোনার মেডেল ও ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার পাবে আইসিএএন৷
আগামী ৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম৷
আরএন/এসিবি
কার, কতগুলো পারমাণবিক বোমা আছে
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে বর্তমানে ১৩,৪০০টি আণবিক বোমা আছে৷ তবে এ সব বোমার সংখ্যা কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/KCNA
রাশিয়ার কাছে সবচেয়ে বেশি
স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট সিপ্রি-র তথ্য অনুসারে রাশিয়ার কাছে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আণবিক বোমা রয়েছে৷ দেশটিতে এ ধরনের বোমার সংখ্যা ৬,৩৭৫টি৷ ১৯৪৯ সালে রাশিয়া প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা করেছিল৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Kolesnikova
দ্বিতীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পারমাণবিক বোমা বানিয়েছে এবং একমাত্র দেশ যারা যুদ্ধেও এই অস্ত্র ব্যবহার করেছে৷ দেশটির কাছে এখন ৫,৮০০ টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/H. Jamali
চীনও পিছিয়ে নেই
৩২০টি পারমাণবিক বোমা আছে চীনের৷ রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সংখ্যাটা কম হলেও দেশটি ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়াচ্ছে৷ যেমন ২০১৯ সালেই তাদের কাছে ২৯০ টি বোমা ছিল৷ স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে সেগুলো ছোঁড়া সম্ভব৷
ছবি: Getty Images
সাবমেরিনে পারমাণবিক বোমা
ফ্রান্সের কাছে পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে ২৯০টি৷ এগুলোর অধিকাংশই রয়েছে সাবমেরিনে৷ দেশটির অন্তত একটি সাবমেরিন সবসময় পারমাণবিক বোমা নিয়ে টহল দেয়৷
ছবি: AP
যুক্তরাজ্যেরও আছে পারমাণবিক বোমা
২১৫টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে যুক্তরাজ্যের কাছে৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এই দেশটি ১৯৫২ সালে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Kaminski
দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে পাকিস্তান
ইতোমধ্যে তিনবার প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান৷ দেশটির আছে ১৬০টি আণবিক বোমা৷ সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক বোমার সংখ্যা বাড়িয়েছে দেশটি৷ অনেকে আশঙ্কা করেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে দেশটির লড়াই কোন এক সময় পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/AP
থেমে নেই ভারত
পারমাণবিক বোমার সংখ্যা বাড়াচ্ছে ভারতও৷ দেশটি প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় ১৯৭৪ সালে৷ সিপ্রির তথ্য অনুযায়ী, তাদের কাছে এখন ১৫০টি বোমা রয়েছে৷ ভারত অবশ্য জানিয়েছে, তারা আগে কোনো দেশকে আঘাত করবে না, আর যেসব দেশের পারমাণবিক বোমা নেই, সেসব দেশের বিরুদ্ধে তারা এ ধরনের বোমা ব্যবহার করবে না কোনোদিন৷
ছবি: Reuters
ইসরায়েল সম্পর্কে তথ্য কম
ইসরায়েল অবশ্য নিজের দেশের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে তেমন কিছু জনসমক্ষে প্রকাশ করে না৷ যদিও দেশটির নব্বইটি পারমাণবিক ‘ওয়ারহেড’ আছে বলে উল্লেখ করেছে সিপ্রি৷
ছবি: Reuters/B. Ratner
উত্তর কোরিয়া সবার নীচে
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে গোপনীয়তা অবলম্বন করে উত্তর কোরিয়াও৷ এখন দেশটির কাছে থাকা বোমার সংখ্যা আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০টি৷