1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তিরক্ষীরাই যৌন নিপীড়ক!

৪ মার্চ ২০১৬

শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে বেড়ে চলা যৌন হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ৷ এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে জাতিসংঘ৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ বাড়ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক৷''

Zentralafrikanische Republik Blauhelmsoldat
ছবি: Getty Images/AFP/I. Sanogo

বিভিন্ন দেশে শান্তি মিশনে দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে দ্রুত তদন্ত এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স' দেখানোর কথা বললেও কার্যত স্বাভাবিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেয়নি জাতিসংঘ৷ গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের উপসংহারে এমন কথাই বলা হয়েছে৷

এর আগে শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নারী ও শিশু নিপীড়নের অভিযোগ জাতিসংঘকে বিব্রত করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুব কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী করতে পারেনি৷

শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আগেও উঠেছে৷ ২০১৩ সালে ছিল ৬৬টি অভিযোগ, ২০১৪ সালে তা কমে ৫২ হয়েছিল, তবে ২০১৫ সালে অভিযোগের সংখ্যা আবার বেড়েছে৷ মোট ৬৯টি অভিযোগ উঠেছে ২০১৫ সালে৷

২১টি দেশের সেনা এবং পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে উঠেছে যৌন হয়রানির অভিযোগ৷ সবচেয়ে বেশি সাতটি অভিযোগ উঠেছে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মরক্কো আর দক্ষিণ আফ্রিকার শান্তিরক্ষীরা৷ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি করে অভিযোগ৷

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন, কঙ্গো, তানজানিয়া, বেনিন, বুরকিনা ফ্রাসো, বুরুন্ডি, গ্যাবন, নাইজার, নাইজেরিয়া আর টোগোর শান্তিরক্ষীরাই বেশি যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িয়েছে৷ রুয়ান্ডা, ঘানা, মাদাগাস্কার আর সেনেগালের পুলিশের বিরুদ্ধেও আছে এমন অভিযোগ৷ এছাড়া ক্যানাডা, জার্মানি, মলদোভা আর স্লোভাকিয়ার গুটিকয় শান্তিরক্ষীও সংকটাপন্ন দেশে শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারী ও শিশুদের যৌন লালসার শিকার করেছেন৷

অথচ জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নজরে পড়ার মতো ব্যবস্থা নেয়নি৷ ২০১৫ সালের একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা হয়নি৷ শুধু হাইতিতে ক্যানাডার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে নয় দিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়৷

কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য অবশ্য শান্তিরক্ষীদের দেশগুলোকেই দায়ী মনে করে জাতিসংঘ৷ জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, শান্তিমিশনে কর্মরত শান্তিরক্ষীরা কোনো অন্যায় করলে তাদের দেশকেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে৷

২০১৫ সালে ৬৯টি যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রকাশ পেলেও অভিযোগের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলেই ধারণা করা হচ্ছে৷ জানা গেছে ৬৯টি যৌন হয়রানির ঘটনার মধ্যে ২২টি ঘটেছে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে আর ১৬টি ঘটেছে কঙ্গোতে৷

জাতিসংঘ শান্তি মিশনের শান্তিরক্ষীদের নারী ও শিশু নিপীড়ন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য শুক্রবারই প্রকাশ করছে জাতিসংঘ৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করবেন৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ