ইতিহাসে প্রথমবার ইসরায়েলের বিমান উড়ল সৌদি আরবের আকাশ দিয়ে৷ অবতরণ করল আরব আমিরাতের মাটিতে৷ বলা হচ্ছে, এই ঘটনা আরব বিশ্বের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক ‘স্বাভাবিকীকরণের’ এবং ‘শান্তি স্থাপনের’ প্রচেষ্টা৷
বিজ্ঞাপন
একটা ছবি অনেক কথা বলে৷ এই যেমন একটা সিঁড়ি৷ করোনাকালে পাশাপাশি উঠে আসছেন মুখোশবিহীন তিনজন মানুষ৷ এদের মধ্যমনি জারেড কুশনার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা৷ তার দু'পাশে দু'জন অতি উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা৷ বাঁ পাশে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও'ব্রায়েন এবং ডান পাশে ইসরায়েলের জাতীয় উপদেষ্টা কর্মকর্তা মিইর বেন শাবাত৷ কিপা পরিহিত বেন-শাবাত চমৎকার আরবি বলেন৷
সোমবারের যে ছবিটি পৃথিবীর বড় বড় সব পত্রিকা টিভিজুড়ে আলো ছড়িয়েছে সেখানে এই তিনজন একটি চার্টার্ড এল আল এয়ারলাইনারের সিঁড়ি বেয়ে উঠছেন৷ পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা ঘিরে গোটা বিশেক লোক৷ দুই দেশের উঁচ্চ পর্যায়ের একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল বিমান ভ্রমণে যাচ্ছেন৷ ইতিহাস সৃষ্টি করা এই ফ্লাইটটির গন্তব্য তেল আভিভ থেকে আবুধাবি৷
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে বিমানটি ছেড়ে যায় তেল আভিভের মাটি৷ উদ্দেশ্য ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম আরব বিশ্বের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি চেষ্টা এবং ব্যবসার পথ তৈরি৷ আরো একটা উদ্দেশ্য হল লিটমাস পরীক্ষা করা৷ অর্থাৎ এই সম্পর্ক সফল হলে হয়ত অন্য আরব রাষ্ট্রগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির পথ খুঁজে পাবে৷ আরববিশ্ব খুঁজে পাবে ‘শান্তি’৷ শান্তি শব্দটি তিনদেশের ভাষায় (আরবি, হিব্রু ও ইংরেজি) লেখাও ছিল পাইলটের পাশের জানালায়৷
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার যত চেষ্টা
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷ কিন্তু এসেছে কি শান্তি?
জাতিসংঘ রেজ্যুলেশন ১৯৬৭
১৯৬৭ সালে ছয়দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা দখল করে ইসরায়েল৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সে বছরের ২২ নভেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘রেজ্যুলেশন ২৪২’ নামে একটি প্রস্তাব পাস হয়৷ প্রস্তাবে দখলকৃত ফিলিস্তিনি এলাকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়৷
ছবি: Getty Images/Keystone
ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি ১৯৭৮
মিশর ও সিরিয়ার নেতৃত্বে আরব রাষ্ট্রগুলো ১৯৭৩ সালে আবারো ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়৷ এ যুদ্ধের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে বিশ্ব নেতারা৷ তাদের চেষ্টায় ১৯৭৮ সালে ১২ দিন আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবকাশ যাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়৷ এ চুক্তিকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ভিত হিসিবে বিবেচনা করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Daugherty
মাদ্রিদ কনফারেন্স ১৯৯১
ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিষয়ে ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নেতৃত্বে স্পেনের মাদ্রিদে এ কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে আরো অংশ নেয় ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানান, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন৷ এ কনফারেন্সের তাৎক্ষণিক কোন ফলাফল আসেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Hollander
অসলো অ্যাকর্ড ১৯৯৩
১৯৯৩ সালে নরওয়ের অসলোতে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি আলোচনায় বসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন৷ আলোচনার পরবর্তী ধাপে এ দু’দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে যা অসলো চুক্তি নামে পরিচিত৷ চুক্তিতে বলা হয় যে, পশ্চিম তীর থেকে সকল সৈন্য প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল৷ পাঁচ বছরের জন্য ফিলিস্তিনকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের অনুমতিও দেয় এ চুক্তি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Sachs
আরব পিস ইনিশিয়েটিভ ২০০২
২০০২ সালে আরব লিগের নেতারা লেবাননের বৈরুতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পরিকল্পনার একটি প্রস্তাব পাস করেন৷ প্রস্তাবনায় ইসরায়েলকে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধ চলাকালীন দখলকৃত সব জায়গা ত্যাগ করতে বলা হয়, যেন পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ে তোলা যায়৷ বিনিময়ে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানানো হয়৷
ছবি: Getty Images/C. Kealy
রোডম্যাপ ২০০৩
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া জাতিসংঘের সহযোগিতায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির রোডম্যাপ নামে পরিকল্পনার প্রস্তাব দেয়৷ ২০০৫ সালের মধ্যে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুইটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয় এই রোডম্যাপে৷
ছবি: Getty Iamges/AFP/J. Aruri
সংঘর্ষ, অস্ত্র বিরতির চেষ্টা
২০১২ সালের শেষ দিকে গাজায় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়তে থাকে৷ এ সময় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি অস্ত্র বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ ২০১৪ সালে ইসরায়েলি এক তরুণ নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযান চালালে পরিস্থিতি আবারো খারাপ হতে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্যারিস সম্মেলন ২০১৭
২০১৭ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন বিষয়ে আলোচনা করতে ৭০টি দেশের প্রতিনিধিরা প্যারিসে একত্রিত হয়৷ তবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের কোনো প্রতিনিধিই এ আলোচনায় অংশ নেয়নি৷
ছবি: Reuters/T. Samson
ট্রাম্পের শান্তি আলোচনা
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিষয়ে শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ডনাল্ড ট্রাম্প৷ এতে বলা হয় পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধ রাখবে ইসরায়েল, তবে ইতোমধ্যে অধিকৃত সকল স্থাপনায় তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে৷ এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিন৷
ছবি: Reuters/M. Salem
9 ছবি1 | 9
‘বন্ধুত্বের নিদর্শন’ রয়েছে ফ্লাইটটির নামকরণেও৷ এলওয়াই৯৭১ নামের ফ্লাইটটির ৯৭১ নম্বরটি মূলত আমিরাতের কান্ট্রি কোড৷ একইসঙ্গে ফেরত আসবার সময় এই ফ্লাইটের নাম এলওয়াই৯৭২ এবং ৯৭২ হলো ইসরায়েলের কান্ট্রি কোড৷ বিমান ওড়াবার আধঘণ্টা পর পাইলট ঘোষণা দেন যে বিমানটি পৌঁছেছে সৌদি আরবের আকাশসীমায়, যেন ইতিহাসের পথ পাড়ি দিচ্ছে বিমানটি৷ প্রথমবারের মতো সৌদি আকাশসীমা ব্যবহার করল ইসরায়েলের কোন কমার্শিয়াল ফ্লাইট৷ এর আগে অবশ্য ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স তাদের সৌদি আকাশসীমা ব্যবহার করে ইসরায়েলে যাত্রী আনা নেয়া করত৷
তিন ঘণ্টা ১৭ মিনিটে প্রায় দুই হাজার ১১০ কিলোমিটার দূরত্ব পেরিয়ে ফ্লাইটটি পৌঁছে আবুধাবিতে৷ সেখানে লাল গালিচা সংবর্ধনায় বরণ করা হয় তাদের৷ ঘটনাটি টিভিতে লাইভ দেখেন আমিরাতিরা৷
উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নেন প্রতিনিধিরা৷ এরইমধ্যে দুই দেশে দূতাবাস খোলার ব্যাপারে একমত হয়েছে উভয়পক্ষ৷ অ্যামেরিকান প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দীর্ঘ আলোচনা করেন ‘নরমালাইজেশন’ বা সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে৷ পারস্পরিক যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ ছাড়াও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা হয়৷ বৈঠক করেন উভয় দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বেন শাবাত ও শেখ তাহনুন বিন জায়েদ৷ তাদের বৈঠকটি বেশ দীর্ঘ হয়৷
প্রতিনিধি দলগুলোর আলোচনায় একটি বিষয় স্পষ্ট দেখা যায়, তা হলো আরব দেশগুলোর মধ্যে মিশর বা জর্ডানের সঙ্গে ইসরায়েলের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক, আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক তার থেকে ভিন্ন হবে বলে দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা৷ এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমিরাতের ‘প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ’ আশাবাদী করে তুলেছে ইসরায়েলকে৷ জেরুসালেমে বসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবুধাবির আকাশে পত পত করে উড়তে থাকা স্বদেশি পতাকা দেখে যারপরনাই পুলকিত৷ প্রেস কনফারেন্সে তিনি একে বলেই ফেললেন, ‘ওয়ার্ম পিস’ বা উষ্ণ শান্তি৷ এই উষ্ণতার কারণ অবশ্য একেবারেই অর্থনৈতিক৷ দুই দেশের মধ্যে যে অর্থনৈতিক যোগাযোগ গড়ে উঠবে তাতে আমিরাতের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ থাকবে৷
স্বাভাবিকভাবেই ফিলিস্তিনের জন্য আরব আমিরাতের এই ইঙ্গমার্কিন মেরুতে সরাসরি ঝুঁকে পড়া হৃদয়বিদারক ঘটনা৷ আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিয়ে সৌদি আরবেরও প্রচ্ছন্ন সমর্থনের বিষয়টি পরিষ্কার৷ সবমিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান বলয় ধাক্কা খেল আরেকবার৷ ইরান নিয়ে অস্বচ্ছন্দ আরব পক্ষগুলোকে এক করার ইসরায়েল-মার্কিন প্রচেষ্টা আরো জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ আর আপাতত মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে কুশনার তার শ্বশুর ট্রাম্পের প্লেটে নতুন সন্দেশযোগ নিয়েই ফিরছেন৷ আর আবুধাবি ও তেল আভিভ আরো অনেকবার লালগালিচা খুলবে, বোঝাই যায়৷ এরই মধ্যে নিমন্ত্রণও এসেছে নেতানিয়াহুর৷
তবে একটা কথা চালু আছে৷ ‘ফ্রি লাঞ্চ’ বলে কিছু নেই৷ সবকিছুরই দাম আছে৷ তা দিতে হয়৷ আরব বিশ্বে এই শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াসের দাম কাউকে চুকাতে হবে কি না, কিংবা চুকাতে হলে কাকে, তাই এখন দেখার বিষয়৷
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো
ইরাক থেকে তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি৷ আছে হাজারো সৈন্য৷ এই ঘাঁটিগুলো দিয়ে ইরানকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: imago/StockTrek Images
ইরাক
ইরাকে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৫,২০০ সৈন্য রয়েছে৷ তবে তা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে পেন্টাগন৷ এর অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি ক্যাম্প থেকে এরিমধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারও করা হয়েছে৷ বর্তমানে গ্রিন জোন, বাগদাদের কূটনৈতিক এলাকা, আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে দেশটির সেনাসদস্য রয়েছে৷ গত নভেম্বরে আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স৷
ছবি: imago/StockTrek Images
কুয়েত
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র কুয়েত৷ দুই দেশের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহায়তা চুক্তি৷ দেশটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটি৷ যেখানে প্রায় ১৩ হাজার সৈন্য রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/S. Nelson
সিরিয়া
সিরিয়ার কোথায় যুক্তরাষ্ট্রের কত সংখ্যক সৈন্য রয়েছে সে বিষয়টি প্রকাশিত নয়৷ অক্টোবরে সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ তার আগ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ২০০০ সৈন্য ছিল, বর্তমানে যা ৮০০ জনে নেমে এসেছে৷ যেসব ঘাঁটি চালু আছে তার একটি সিরিয়ান-জর্ডান সীমান্তে৷ এর কাছেই রয়েছে ইরানীয় আর তাদের সমর্থিত বাহিনী৷
ছবি: -picture alliance/AP Photo/Z. Garbarino
জডার্ন
ইরাক, সিরিয়া, ইসরায়েল, আর সৌদি আরবের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে জডার্নের৷ কৌশলগত দিক থেকে তাই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থান এটি৷ দেশটির মুভাফফাক ছালটি বিমান ঘাঁটি থেকে সিরিয়ায় আইএস বিরোধী হামলা চালানো হয়েছে৷ অবশ্য কিং ফয়সাল বিমান ঘাঁটিতে ২০১৬ সালে তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল জডার্নের বিমান বাহিনীর গুলিতে৷
ছবি: AP
সৌদি আরব
সৌদি আরবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার সেনাসদস্য রয়েছে৷ অক্টোবরে সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পর ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সংঘাতের শঙ্কায় সেখানে আরো সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/F. Nureldine
বাহরাইন
বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌ ঘাঁটি রয়েছে৷ দ্বীপ রাষ্ট্রটি বরাবরই সৌদি আরবের মিত্র৷ ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমর্থকও তারা৷ বর্তমানে সেখানে সাত হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে৷
ছবি: AP
ওমান
ওমানের অবস্থান হরমুজ প্রণালীর কাছে আরব উপকূলে, যা জ্বালানি পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ৷ ২০১৯ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রেকে বিমান ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয় ওমান৷ বর্তমানে সেখানে ৬০০ মার্কিন সৈন্য রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/E. Noroozi
সংযুক্ত আরব আমিরাত
হরমুজ প্রণালীর পাশে থাকা আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত৷ তাদেরও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সাথে ভাল সম্পর্ক বিদ্যমান৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে পাঁচ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে পেন্টাগন৷
ছবি: picture-alliance/AP/K. Jebreili
কাতার
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটিটি কাতারের আল উদিদে৷ এর আধুনিকায়নে ২০১৮ সালে ১৮০ কোটি ডলারে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছে কাতার৷ বর্তমানে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ হাজার সৈন্য নিযুক্ত রয়েছে৷
ছবি: Reuters/N. Zeitoon
তুরস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য রয়েছে তুরস্কেও৷ দেশটির ইনজিরলিক বিমান ঘাঁটিসহ বেশ কিছু জায়গায় মার্কিন সেনা অবস্থান করছে৷