1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রসঙ্গ আফগানিস্তান

৩ জানুয়ারি ২০১৩

২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনারা চলে যাবেন৷ এরপর দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন আফগান সেনারা৷ আর তাই চিন্তিত আফগানরা৷ চিন্তিত সরকার নিজেও৷ তাই তালেবানের সঙ্গে সংঘাত মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে৷

ছবি: dapd

শেষ কবে আফগানিস্তানের মানুষ শান্তিতে ছিল তা হয়ত অনেকের মনে নেই৷ গত শতকের শেষ দিকে আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলদারিত্ব, তার ফলশ্রুতিতে গৃহযুদ্ধ এবং তারপর তালেবানের উত্থান ও ক্ষমতা গ্রহণ৷ এভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটে গেছে আফগানিস্তানে, যার কোনোটাই স্বস্তি এনে দিতে পারেনি আফগানদের মনে৷

এরপর তালেবান উৎখাতে শুরু হয় মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বাহিনীর অভিযান৷ তাতে তালেবান হটানোর লক্ষ্য হয়ত পূরণ হয়, কিন্তু আফগানিস্তানে শান্তি ফিরে আসেনা৷ যুদ্ধে তালেবান পরাজিত হলেও পরবর্তীতে একের পর এক আলোচিত হামলা চালিয়ে তালেবান তাদের শক্তি বুঝিয়ে দেয়৷

দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব অচিরেই নিতে হবে সেনাবাহিনীকে...ছবি: SHAH MARAI/AFP/Getty Images

তাই তো এখন যখন বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার কথা হচ্ছে তখন দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আফগানরা চিন্তিত হবেন, সেটাই স্বাভাবিক৷

এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে তালেবানের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালাচ্ছে আফগান সরকার৷ এ লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে ‘হাই পিস কাউন্সিল'৷ তাদের কাজ তালেবানের সঙ্গে কথাবার্তা বলা৷

কিন্তু তালেবান বলেছে তারা প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সরকারের সঙ্গে কথা বলবেনা৷ কেননা কারজাই সরকার হলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘পুতুল প্রশাসন'৷

এরপরও আলোচনার পরিবেশ তৈরিতে চেষ্টা চলছে৷ এ লক্ষ্যে মুক্তি দেয়া হচ্ছে তালেবান বন্দিদের৷ এই প্রক্রিয়ায় গত নভেম্বরে পাকিস্তান সরকার ১৮ জন তালেবান বন্দিকে মুক্তি দেয়৷ এরপর ক'দিন আগে মুক্তি দেয়া হয় তালেবান আমলের বিচারমন্ত্রী নুরুদ্দিন তুরাবি ও হেলমন্দ প্রদেশের সে সময়কার গভর্নর সহ আটজনকে৷

তালেবানের কারণে নারীদের অবস্থাও খুব ভালো নয় আফগানিস্তানে...ছবি: SHAH MARAI/AFP/Getty Images

হাই পিস কাউন্সিলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইসমাইল কাসিমায়ার মনে করছেন, এসব উচ্চপদস্থ তালেবান কর্মকর্তাদের মুক্তি দেয়ার কারণে তালেবানের সঙ্গে আলোচনার পথ খুলে যেতে পারে৷

কিন্তু আশাবাদী হতে পারছেন না বিশ্লেষকরা৷ তাঁরা বলছেন, যাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে তারা এখন ততটা গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন৷ ফলে তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে তালেবানকে আলোচনার টেবিলে আনাটা সম্ভব নাও হতে পারে৷ 

তালেবান আমলের এক সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ওয়াহিদ মুজদা বলছেন, সাবেক বিচারমন্ত্রী তুরাবি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তালেবানের কাছে তাঁর গুরুত্ব ছিল৷ কিন্তু এখন আর তিনি তেমন কেউ নন৷ তাই তালেবানকে আলোচনায় আনার ক্ষেত্রে তিনি কতটা ভূমিকা রাখতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়৷

পাকিস্তান ভিত্তিক বিশ্লেষক রহিমুল্লাহ ইউসুফজাই বলছেন আরও আশঙ্কার কথা৷ তিনি বলছেন, যাদের মুক্তি দেয়া হলো তারা হয়ত তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নাও যেতে পারে৷ হয়ত তারা পাকিস্তানেই থেকে যেতে পারে৷  

আফগানিস্তানের মাটিতে তালেবান জঙ্গিরা...ছবি: dapd

পাকিস্তানে বন্দি থাকা তালেবানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেন তালেবানের সাবেক উপ-প্রধান আব্দুল গনি বরদার৷ তিনি এখনো মুক্তি পান নি৷

বিশ্লেষকদের ধারণা, বরদারকে যদি ছাড়া হয় তাহলে হয়ত তালেবানের মন গলানো যেতে পারে৷ আর তালেবানকে আলোচনায় আনা গেলে আরেক শক্তিশালী জঙ্গি গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কেও শান্তি প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা যেতে পারে৷

এভাবে সব পক্ষকে নিয়ে যদি আলোচনায় বসে একটা সমাধান বের করা যায় তাহলে অনেকদিন পর আফগানরা শান্তিতে থাকতে পারবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

কিন্তু সেটা কতটা সম্ভব, ভবিষ্যতই বলবে তা৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ