1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তি আলোচনায় ‘লুকোচুরি’

শামিল শামস/এসিবি২১ এপ্রিল ২০১৪

তালেবান আর যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়৷ তবে শান্তি আলোচনা চায় তারা৷ সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কি তাহলে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে? বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান আর পাকিস্তানের মানুষের কাছে আলোচনাটা খুবই ক্লান্তিকর৷

আলোচনায় অংশ নেয়া তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের কয়েক সদস্যছবি: Aamir Qureshi/AFP/Getty Images

মার্চ থেকে শুরু হয়ে গত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত নওয়াজ শরিফ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গেছে তালেবান৷ আলোচনার উদ্দেশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনা৷ গত এক দশক ধরে ইসলামি শাসন কায়েমের দাবিতে জঙ্গি হামলা চালিয়ে আসছে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন তালেবান৷ হামলা বন্ধ রাখার শর্তে গত ১ মার্চ থেকে নওয়াজ শরিফ সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে তারা৷

আলোচনায় দু'পক্ষ কিছু বিষয়ে একমতও হয়েছে৷ তালেবানের দাবি মেনে ইতিমধ্যে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের কারাগার থেকে ১৯ জন তালেবান সদস্যকে মুক্তি দিয়েছে নওয়াজ শরিফের সরকার৷ কিন্তু তাতে আলোচনায় সফল পরিসমাপ্তির সম্ভাবনা একটুও বাড়েনি৷ বরং হঠাৎ যুদ্ধবিরতিতে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান৷ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) জানিয়েছে, সরকার যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে না চলার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো৷

পাকিস্তানের শান্তিকামী মানুষ এখন তালেবানের সঙ্গে সরকারের ‘নিষ্ফল' আলোচনা দেখতে দেখতে ক্লান্তছবি: picture-alliance/dpa

যুদ্ধবিরতির শর্ত তালেবানও মানছে না৷ সাধারণ মানুষ এবং সেনাবাহিনীর ওপর কয়েকদিন পরপরই হামলা চালাচ্ছে তারা৷ সেনাবাহিনীও অভিযান চালিয়ে আসছে তালেবানের গোপন আস্তানায়৷ তালেবানের ওপর আপাতত শুধু ‘ড্রোন' হামলাই বন্ধ রয়েছে৷ ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বরের পর থেকে তালেবানের ওপর হামলায় একবারও চালকবিহীন বিমান ব্যবহার করেনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসদস্যরা৷

পাকিস্তানের শান্তিকামী মানুষ এখন তালেবানের সঙ্গে সরকারের ‘নিষ্ফল' আলোচনা দেখতে দেখতে ক্লান্ত৷ ব্যবসায়ী তাহির আহমেদ মনে করেন এ আলোচনায় স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রয়েছে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ‘‘আলোচনার নামে সরকার আর তালেবান যথেষ্ট লুকোচুরি খেলেছে৷ এ আলোচনা নিয়ে আমি কখনোই আশাবাদী ছিলাম না৷ কিন্তু এখন তো আমি আলোচনাটা কী নিয়ে হচ্ছে তা-ই বুঝতে পারছি না৷ আমার তো মনে হয় দু'পক্ষই জানেনা তারা আসলে কী কী বিষয়ে সমঝোতা চায়৷''

ইসলামাবাদের মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজকর্মী হামিদ সাত্তি মনে করেন, প্রধনামন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সরকার বুঝেশুনেই তালেবানের সঙ্গে নিষ্ফল আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাঁর মতে, ‘‘তারা (সরকার) পরিস্থিতি এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে চায় যখন সরকারের যে কোনো সিদ্ধান্তই জনগণ মেনে নিতে বাধ্য হবে৷''

করাচির সাংবাদিক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা সাবিন আগার সন্দেহের দৃষ্টিটা আবার তালেবানের দিকে৷ তাই ব্যবসায়ী তাহির আহমেদের বক্তব্যের বিরোধীতা করেছেন তিনি৷ সাবিন মনে করেন, আলোচনার নামে সময় নষ্ট করে তালেবান আসলে নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে৷

তাহলে ‘কোনো সুফলই বয়ে আনছে না' এমন আলোচনা কি শুধু কালক্ষেপণের জন্যই চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার? বিশ্লেষকদের আশঙ্কা সেরকমই৷ জার্মানির হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সিগফ্রিড ও ভুল্ফের দৃষ্টিতে নওয়াজ শরিফের সরকার তালেবানবিরোধী নয়, বরং তালেবানবান্ধব৷ তাঁর মতে, ‘‘তাঁর (নওয়াজ) কিছু কাজে এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট যার কারণে মনে হচ্ছে তিনি ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের সহানুভূতিশীল৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ