1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

শান্তি প্রতিষ্ঠায় মোদীর হস্তক্ষেপ চান জেলেনস্কি

২৭ ডিসেম্বর ২০২২

ফেব্রুয়ারির শেষে জাতিসংঘে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সম্মেলনের আবেদন করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইউক্রেন
ছবি: dpa/AP

সোমবার টুইট করে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ভারত এখন জি-২০-র প্রেসিডেন্ট। সেই উপলক্ষেই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। ফোনে দুইপক্ষের বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়েছে বলে জেলেনস্কি জানিয়েছেন। সেখানে মোদীর কাছে জেলেনস্কি আবেদন করেছেন একটিশান্তি ফর্মুলা তৈরি করার জন্য। বস্তুত, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই এই আবেদন করেছেন বলে দাবি জেলেনস্কির।

মোদী জেলেনস্কির আবেদনে সাড়া দিয়েছেন বলে ইউক্রেনের বক্তব্য। ভারত অবশ্য এখনো এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মোদী বলেছেন, দ্রুত এই যুদ্ধ শেষ হওয়া প্রয়োজন। বেসামরিক মানুষের দুর্গতি বন্ধ হওয়া দরকার। শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন মোদী, দাবি ইউক্রেনের।

ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক বরাবরই ভালো। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলি রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ভারত রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নষ্ট করেনি। জাতিসংঘে ইউক্রেনযুদ্ধ সম্পর্কিত প্রায় সব ভোটে ভারত নিজেকে বিযুক্ত রেখেছে।

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ভারত এখন জি-২০-র প্রেসিডেন্ট। তাদের দায়িত্ব অনেক। শান্তি প্রতিষ্ঠার ফর্মুলাও সেই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

হস্তক্ষেপ করুক জাতিসংঘ

অন্যদিকে, সোমবারই ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেছেন, তারা চান ফেব্রুয়ারির শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করুক। তার বক্তব্য, জাতিসংঘই সবচেয়ে নিরপেক্ষ মঞ্চ। যুদ্ধের একবছরের মাথায় জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাক। বস্তুত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া প্রথম ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল। যুদ্ধের একবছরের মাথায় জাতিসংঘে শান্তিপ্রক্রিয়ার বৈঠক চাইছে ইউক্রেন।

কুলেবা জানিয়েছেন, যে কোনো যুদ্ধই শেষপর্যন্ত কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়। জাতিসংঘই সেই আলোচনার সবচেয়ে ভালো জায়গা। সাংবাদিকেরা কুলেবাকে প্রশ্ন করেছিলেন, রাশিয়াও সেই বৈঠকে যোগ দেবে তো? কুলেবার মন্তব্য, তার আগে আন্তর্জাতিক আদালতে রাশিয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। যুদ্ধে তারা যে অপরাধ করেছে, তার জবাব দিতে হবে।

ইউক্রেন চায়, জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস স্বয়ং এই সভা পরিচালনা করুন। গুতেরেস যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এর আগেও হস্তক্ষেপ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন কুলেবা। তাই তাকে সামনে রেখেই ফেব্রুয়ারিতে শান্তি আলোচনা শুরু করতে চায় ইউক্রেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ