শান্ত ও মুমিনুলের অসাধারণ জুটিতে দল টানা দ্বিতীয় দিন দাপটে কাটানোর পর দিন শেষে আলোকস্বল্পতায় থমকে গেল বাংলাদেশের অগ্রগতি৷
বিজ্ঞাপন
শেষ সেশনে হালকা বৃষ্টির পর আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায় ফলে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় ২৫ ওভার আগেই শেষ হয় দিনের খেলা৷ স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট থাকলেও তা ব্যবহার করা যাবে না! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৪৭৪৷
শান্ত আর মুমিনুলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটি ১৬৩ রানে নিয়ে থামেন শান্ত৷দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে মুমিনুল করেন ১২৭ রান৷
ম্যাচের প্রথম দিনে শান্ত ও মুমিনুলের গড়া দেড়শ রানের জুটি দ্বিতীয় দিন রেকর্ড উচ্চতা স্পর্শ করে ৷ তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ২৪২ রানের জুটি গড়েন এই দুজন ৷
সকালে ১২৬ রান নিয়ে দিন শুরু করেন শান্ত, ৬৪ রান নিয়ে মুমিনুল৷ তবে লঙ্কান পেসাররা দ্বিতীয় দিনে ছিলেন অনেকটা গোছানো৷ লাঞ্চের পরও দারুণ খেলে দুজনের জুটি ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশের আগের রেকর্ড ২৩৬ রানকে ছাড়িয়ে যায়৷
৮৫ ওভারের বেশি উইকেটে কাটানো এই জুটি শেষ পর্যন্ত থামে শান্তর বিদায়ে৷ লাহিরু কুমারার বলটি পিচ করে একটু থেমে আসে, শান্তর ড্রাইভে বল সরাসরি যায় বোলারের হাতে৷
৩৭৮ বলে ১৭ চার ও ১ ছক্কায় ১৬৩ রানে শেষ হয় শান্তর দারুণ অভিযান ৷ পরে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মুমিনুলের জুটিও জমে উঠলেও দীর্ঘ হয়নি ৷ অফ স্টাম্পের বাইরে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ফ্লাইটেড বলে শরীরের একটু দূরে ড্রাইভ খেলেন মুমিনুল৷ একটু টার্ন করে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে ৷
৩০৪ বলে তার ১২৭ রানের ইনিংসে চার ১১টি ৷ টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৩০০ বল তিনি খেলতে পারলেন ৷ মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের জুটিতেও ৫০ রান হয় ৷
দিন শেষে মুশফিক অপরাজিত ১০৭ বলে ৪৩ রানে, লিটন ৩৯ বলে ২৫ রানে৷
পালেকেলেতে বড় রেকর্ডের সুযোগ হারালেও তৃতীয় উইকেট জুটিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা ঠিকই নিজেদের করে নিয়েছেন মুমিনুল-শান্ত৷ ছবিঘরে থাকছে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা ১০ জুটির কথা...
ছবি: Ishara S. Kodikara/AFP
১০
২২২, মুমিনুল-মুশফিক টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা দশ জুটির দশমটিতে রয়েছেন মুমিনুল-মুশফিক৷ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২২২ রান তুলেছিলেন তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
৯
২২৪, ইমরুল-তামিম
২০১৪ সালে ওপেনার ইমরুল কায়েসের ব্যাটে যেন রানের বন্যা বইছিল৷ শুরুটা হয়েছিল জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে৷ তামিম ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ২২৪ রান করেছিলেন তিনি৷ ওপরের ছবিতে তামিম ইকবাল৷
ছবি: ISHARA S. KODIKARA/AFP
৮
২৩২, ইমরুল-শামসুর
সাত বছর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ২৩২ রান এসেছিল ইমরুল কায়েস আর শামসুর রহামানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি থেকে৷ ওপরের ছবিতে ইমরুল আর মুশফিক৷
ছবি: Reuters/M. P. Hossain
৫
২৪২, নাজমুল শান্ত-মুমিনুল পালেকালেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্ত ১৬৬ রান করার পর কুমারাকে ফিরতি ক্যাচ না দিলে মুমিনুলের সঙ্গে তার তৃতীয় উইকেট জুটিটা কোথায় গিয়ে থামতো কে জানে৷ শান্ত আউট হওয়ার পর অধিনায়ক মুমিনুলও ফিরে যান ১২৭ রান করে৷
ছবি: Ishara S. Kodikara/AFP
৭
২৩৫, মাহমুদুল্রাহ-সৌম্য
২০১৯ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের ওই ম্যাচটা মাহমুদুল্লাহ আর সৌম্যর নিশ্চয়ই বহুকাল মনে থাকবে৷ নিউজিল্যান্ডের বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২৩৫ রান তুলেছিলেন তারা৷ ওপরের ছবিতে মাহমুদুল্লাহ৷
ছবি: AP
৬
২৩৬, মুমিনুল-মুশফিক
২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন মুমিনুল-মুশফিক৷, তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৩৬ রান তুলেছিলেন তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
৪
২৬৬, মুমিনুল-মুশফিক
আর মাত্র এক রান করলেই দেশের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড স্পর্শ করতে পারতেন তারা৷ কিন্তু ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে তাদের চতুর্থ উইকেট জুটি ভেঙে যায় ২৬৬ রানে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman
৩
২৬৭, আশরাফুল-মুশফিক
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটিতে জড়িয়ে আছে মোহাম্মদ আশরাফুলের নাম৷ ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেছিলেন ২৬৭ রান৷ তারপরইি ভেঙেছিল তাদের পঞ্চম উইকেট জুটি৷
ছবি: AP
২
৩১২, ইমরুল-তামিম
দ্বিতীয় সেরা জুটিটি এখনো ইমরুল কায়েস আর তামিম ইকবালের নামে লেখা৷ ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসের সূচনা করতে নেমে ৩১২ রান পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন ছিলেন তারা৷ ওপরের ছবিতে শান্তর সঙ্গে তামিম৷
ছবি: ISHARA S. KODIKARA/AFP
১
৩৫৯, মুশফিক-সাকিব
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান৷২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৫৯ রান করেছিলেন তারা৷