1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেখে নেয়ার হুমকি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৭ জুন ২০১৪

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে থানায় ডায়েরি করেছেন পুলিশের একজন এএসপি৷ জাল ভোটে বাধা দেয়াতেই নাকি ওসমান ঐ কর্মকর্তাকে হুমকি দেন৷

ছবি: DW

বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ-নির্বাচন চলাকালে জাল ভোটে বাধা দিলে শামীম ওসমান ওই কর্মকর্তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷ নারায়ণগঞ্জের এএসপি (ট্রাফিক) মো. বশির উদ্দিনের দাবি, ‘‘এই উপ-নির্বাচনে তিনি আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলেন৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচন চলাকালে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কেওডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জালভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন৷ আবদুস সালাম বিষয়টি শামীম ওসমানকে জানান৷ পরে শামীম ওসমান বশির উদ্দিনকে ছয় বার ফোনও করেন৷''

বশির উদ্দিনের অভিযোগ করেন, ‘‘ফোনে শামীম ওসমান বলেন সালাম চেয়ারম্যান কেন্দ্রে ঢুকবে, যা ইচ্ছে তাই করবে৷ তাঁকে কোনো রকম বাধা দেওয়া যাবে না৷''

জাল ভোটে বাধা দিলে শামীম ওসমান ওই কর্মকর্তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছেছবি: DW

বশির উদ্দিনের ভাষ্য, ‘‘শামীম ওসমানের এই কথার জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে চাকরি করছি৷ আমার পক্ষে কোনো অনৈতিক কাজ করা সম্ভব নয়৷''' তিনি দাবি করেন, ‘‘তাঁর কথার জবাবে শামীম ওসমান বলেন, বশির উদ্দিন নারায়ণগঞ্জে কীভাবে চাকরি করেন, তা তিনি দেখে নেবেন৷''

উল্লেখ্য, নির্বাচনে শামীম ওসমানের ভাই সেলিম ওসমান একজন প্রার্থী৷ জানা গেছে, সালাম চেয়ারম্যান শামীম ওসমানের ভাই সেলিম ওসমানের হয়ে কাজ করছিলেন৷ সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হন৷ তাঁদের আরেক ভাই জাতীয় পার্টির নাসিম ওসমান এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন৷ গত ২৯শে এপ্রিল তিনি মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়৷ শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য৷ এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে শামীম ওসমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি৷

এদিকে এই উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামীম ওসমানের ভাই সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে জাল ভোট, কেন্দ্র দখল এবং পোলিং এজন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরাম৷

তিনি কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট, ১৩ নম্বর নলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও মহিলা ভোট কেন্দ্র, মাধবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাসেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁদের এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন৷ তবে সেলিম ওসমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘এটা দেখার জন্য নির্বাচন কমিশন আছে৷ তারাই এটা দেখছে৷ আমার জানা মতে, এমন কিছু ঘটার কথা না৷''

রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদ দাবি করেন, ‘‘বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে খোঁজ নিয়েছেন তিনি৷ তবে এসব অভিযোগের সত্যতা মেলেনি৷''

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়৷ মোট চারজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন৷ আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি৷

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৪২ হাজার ৪০৫ জন৷ উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ