শালিতের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করছে হামাস
২৪ ডিসেম্বর ২০০৯সম্প্রতি প্রায় এক হাজার ফিলিস্তিনির বিনিময়ে তাদের হাতে বন্দি ইসরায়েলী সৈনিক গিলাত শালিতকে মুক্তির শর্ত দেয় হামাস৷ কিন্তু জবাবে, মাত্র শ খানেক বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মতি জানায় ইসরায়েলী কর্তৃপক্ষ৷ প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, বন্দিদের মধ্যে একশ জনের বেশিকে অধিকৃত পশ্চিমতীরে প্রবেশাধিকার দেওয়া সম্ভব নয়৷ বরং তাদের গাজা বা বাইরের কোন দেশে পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে৷ অর্থাৎ, মুক্তির পরে তাদের আর পশ্চিম তীরে ফিরতে দেওয়া হবে না বলেই জানাচ্ছে ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম৷
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক জানান, ‘‘প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে৷ আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে, গিলাত'কে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো৷ সব রকম সম্ভাবনা খুঁটিয়ে দেখবো৷ তবে এর জন্য যে কোন মূল্য ধার্য করা হলে - তা আমরা মেনে নেবো না৷''
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হামাস এখনও পর্যন্ত এ প্রস্তাবে রাজি না হলেও, বিষয়টি নিয়ে আবারো নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে উগ্রবাদী এই দলটি৷ দলের নেতা ওসামা হামদান এ ব্যাপারে বলেন, হামাস এতে রাজি নয়, কারণ এতে বিতাড়নের নীতি নেওয়া হয়েছে৷ আর ফিলিস্তিনিদের বিতাড়ন করার প্রশ্নে হামাস সহ কোন দলই রাজি নয়৷ হামদান বলেন, ‘‘আমরা চাই সব বন্দিকে তাদের পরিবারের কাছে, তাদের নিজ-নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠাতে৷''
এদিকে, বন্দি বিনিময়ের ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রস্তাব নিয়ে একজন জার্মান মধ্যস্থতাকারী ইতিমধ্যেই গাজায় পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন এক হামাস কর্মকর্তা৷ ইসরায়েলের রেডিও জানিয়েছে যে, গিলাত শালিতের মুক্তির বিষয়ে জার্মানির সেই মধ্যস্থতাকারী গাজায় হামাস প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং এই সংক্রান্ত কিছু দলিল হস্তান্তর করেন৷ উল্লেখ্য, ইসরায়েলী সেনা গিলাত শালিত সাড়ে তিন বছর ধরে অপহৃত৷
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার, এ বছর ফিলিস্তিনি রকেট হামলায় ইসরায়েলী সেনাদের আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলজিয়ামের একটি আদালতে হামাস দলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেছে ইসরায়েল৷
প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ, সম্পাদনা : রিয়াজুল ইসলাম