1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্নীতি দমনে শাস্তি

নাদিনা শোয়ারৎসবেক / আরবি১৪ জুলাই ২০১৩

আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার ২০১২’ শীর্ষক একটি জরিপের ফলাফল বের হয়েছে সম্প্রতি৷ দুর্নীতির ওপর পরিচালিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় জরিপ এটি৷

A protester in a pig costume holds fake peso bills during a demonstration in front of the Mexican Electoral Tribunal building while a plenary takes place inside in Mexico City on August 30, 2012. Mexico's electoral court prepared Thursday to rule on a left-wing bid to overturn the presidential election win of Enrique Pena Nieto, as metal fences were placed around the tribunal to keep protesters out. AFP PHOTO/ YURI CORTEZ (Photo credit should read YURI CORTEZ/AFP/GettyImages)
ছবি: GettyImages/Afp/Yuri Cortez

এই জরিপে ১০৭টি দেশের এক লাখ ১৪ হাজার প্রশ্ন করা হয়৷ উত্তরদাতাদের এক চতুর্থাংশ বলেছেন, তাঁরা গত ১২ মাসে অন্তত একবার কোনো না কোনো সুবিধা আদায়ের জন্য সরকারি দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের সদস্যকে ঘুস দিয়েছেন৷ যা আসলে নিখরচায় পাওয়ার কথা৷

বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি সংক্রান্ত জরিপে দেখা গেছে, পুলিশ, আদালত ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে৷ অথচ এদের কাছ থেকেই মানুষ সহায়তার আশা করে থাকে৷

দারিদ্র্যের সঙ্গে দুর্নীতির যোগসূত্র

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দারিদ্র্যের সঙ্গে দুর্নীতির একটা যোগসূত্র আছে বলে মনে করে৷ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত ১০টি দেশের আটটিই আফ্রিকা মহাদেশের৷ আর ঘুস দেওয়ার ক্ষেত্রে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সিয়েরা লিয়ন৷

‘‘যারা ঘুস চায়, তারা শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যায় বলে প্রবণতাটা আরো বাড়ছে৷ এটা রীতিমত উদ্বেগজনক৷ তবে আমরা লক্ষ্য করেছি, মানুষ এখন সচেতন হচ্ছে৷ তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে৷ তারা বুঝতে পারছে সরকার নয় বরং নিজেদেরই কিছু করতে হবে'', বলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের আফ্রিকা বিভাগের প্রধান শান্টাল উইমানা৷

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল

সর্বক্ষেত্রে ঘুস

আফ্রিকার ২০টি দেশে এই জরিপ চালানো হয়েছিল৷ উত্তরদাতাদের বেশিরভাগ বলেছেন যে, সাধারণ দৈনন্দিন দাপ্তরিক কাজের জন্যও তাদের ঘুস দিতে হয়৷ বিশেষ করে পুলিশকে ঘুস দেওয়ার কথা বলেছেন অধিকাংশ উত্তরদাতা৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশরা নিজেরাই ঘুস চায়৷ কখনও বা মানুষ যেচে তাদের অর্থ দেয়, যাতে কাজটা তাড়াতাড়ি হয়ে যায় বা কোনো সমস্যা দূর হয়৷

কয়েকজন উত্তরদাতা জানিয়েছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে ঘুস দিতে হয় তাদের৷ এমনকি পানি ও জমিজমার ব্যাপারেও টাকা না দিলে কাজ হয় না৷ ‘‘আমরা কয়েকটি দেশে বিশেষ সমিতি গড়ে তুলেছি, যেখানে দুর্নীতির শিকার ব্যক্তিরা আইনি সহায়তা পেতে পারে৷ পাশাপাশি ঘুসের বিরুদ্ধে লড়াইতেও সক্রিয় হতে পারে৷ আমরা বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছি৷ ক্যামেরুনে অনেক বছর ধরে আমরা সক্রিয়'', জানান শান্টাল উয়িমানা৷

শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি

ক্যামেরুনে প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনার জন্য কোনো ফি দিতে হয় না৷ কিন্তু কিছু স্কুল এই আইন উপেক্ষা করে টিউশন ফি আদায় করে থাকে৷ জনসাধারণ বিষয়টি সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না বলেই নির্বিকারে এই অবৈধ কাজটি চালিয়ে যায় তারা৷ এছাড়া বই-পত্রও যে নিখরচায় পাওয়া যায়, সে সম্পর্কেও ধারণা নেই অনেকের৷

শান্টাল জানান, ‘‘আমরা এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে চাই৷ এছাড়া আফ্রিকান দেশগুলির সরকারদের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি, এমন ধরনের আইন প্রণয়ন করতে, যাতে এই সব তথ্য পাওয়ার পথটা সুগম হয়৷''

আফ্রিকাতে রুয়ান্ডার মতো দেশও রয়েছে, যারা দুর্নীতিকে সাফল্যের সাথে দমন করছে৷ প্রশ্ন উঠতে পারে, তাদের এই সাফল্য হচ্ছে কী ভাবে? এর উত্তরে শান্টাল উয়িমানা বলেন, ‘‘দেশটিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব নেই৷ এছাড়া জনগণকে দুর্নীতির খবরাখবর জানাতে উৎসাহিত করা হয় সেখানে৷ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে শাস্তিও পেতে হয়৷ মানুষ অনেক বেশি সচেতন৷ যেমন তারা জানে, স্কুলের জন্য কত খরচ হবে এবং টাকাটা কোন খাতে ব্যয় করা হবে ইত্যাদি ইত্যাদি৷ একটা দেশে যত বেশি স্বচ্ছতা থাকবে, তত কম দুর্নীতি হবে সেখানে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ