1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা, সরকার নিরব

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩১ আগস্ট ২০১৫

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার পর সরকার ও প্রশাসন রহস্যজনভাবে নিরব রয়েছে৷ এটাকে শিক্ষকদের বাড়াবাড়ির ফল বলে প্রচারণাও চালানো হচ্ছে৷ এমনকি ভিসি এই হামলার সমর্থনেই কথা বলেছেন৷

Symbolbild - Gewalt gegen Frauen
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa/M. Gambarini

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আমিনুল হকের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ গত এপ্রিল মাস থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন৷ সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবেই রবিবার তাঁরা ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করতে যান৷ তখন তাঁদের ওপর হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা৷ এই হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘‘এখন আমার গলায় দড়ি দেয়া উচিত৷''

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ অবশ্য দাবি করেন, ‘‘ছাত্রলীগ এই ঘটনায় জড়িত নয়, তবে কেউ ব্যক্তিগতভাবে জড়িত থাকতে পারে৷''

শিক্ষকদের ওপর এই হামলায় ডয়চে ভেলের কাছে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ৷ তিনি বলেন, ‘‘এটি অত্যন্ত জঘন্য বিষয়৷ যারা শিক্ষকদের বেইজ্জত করে তাদের ছাত্র বলা যায় না, তারা সন্ত্রাসী৷ সরকারের উচিত ঘটনার সাথে জড়িতদের শক্ত হাতে দমন করা এবং কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা৷ তা না হলে এটি সমাজে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়বে৷ সমাজে আগে থেকেই পচন ধরেছে৷ এখন এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছে৷''

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘‘এটি অনাক্ষিত ঘটনা৷ ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করবে এমনটা কখনো কাম্য নয়৷ ছাত্রদের লেজুড়বৃত্তি সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ তা না হলে ছাত্ররা জ্ঞান-দক্ষতা অর্জন করতে পারবে না৷ ফলে দেশের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিদেশিদের শরণাপন্ন হতে হবে৷ এটা কোনো অবস্থায় প্রত্যাশিত নয়৷''

ছাত্রলীগের এই হামলার পর ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘‘এখন আমার গলায় দড়ি দেয়া উচিত৷''ছবি: cc-by-sa-3.0/Nazmush Shams

তবে এই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো জানাননি৷ তাঁর নিরবতার সমালোচনা কওে সাবেক মন্ত্রী ও সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সোমবার বলেন, ‘‘এর আগেও মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান করেছিল৷ এখনও শিক্ষামন্ত্রীর উচিত তড়িৎ গতিতে সিলেট গিয়ে সমস্যার সমাধান করা৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিজের স্বার্থে ছাত্রদের ব্যবহার করে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকার কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই৷''

সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘শিক্ষকদের ঘটনায় ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে পড়ায় আমরা বিব্রত৷ আমি মনে করি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদেও উচিত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া৷''

জানা গেছে, ভিসি ছাত্রলীগ নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিরোধী শিক্ষকদের ‘শায়েস্তা' করতে বলেন৷ এ বিষয়ে তাঁর সরাসরি বক্তব্য জানা না গেলেও, তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা আমার জানা নেই৷ কোনো শিক্ষক আমার কাছে কোনো অভিযোগও করেননি৷''

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও, সোমবার তিনি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘‘ছাত্রলীগকে একটি আগাছামুক্ত সংগঠনে পরিণত করতে হবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘যে জমিতে আগাছা আছে, সে জমিতে ফসল হয় না৷ আগাছা তুলে ফেলতে হয়৷ আগাছা তুলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ