সকাল বেলায় লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মীর হাতে একজন প্রধান শিক্ষকের মার খাওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত খবর পড়ে কিছু লিখব ভাবছিলাম৷ এরই মধ্যে চোখে পড়ল দু’দিনের পুরনো আরেকটি খবর৷ সেটি আরও দুঃখজনক৷
বিজ্ঞাপন
সোমবার প্রকাশিত ঐ খবর বলছে, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন সহকারী শিক্ষককে নাকি গাছে বেঁধে পিটিয়েছেন তাঁরই স্কুলের প্রধান শিক্ষক! সংবাদটি পড়ে প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না৷ তাই আবার পড়েছি৷ কারণ আমি নিজে একজন শিক্ষকের সন্তান হওয়ায় একজন শিক্ষক তাঁর সহকর্মীকে পেটাতে পারেন, তা আমার কল্পনাতেও ছিল না৷ হয়ত এই ‘ট্রেন্ড’ আগেই চালু হয়েছে৷ আমি জানতাম না৷
ঠাকুরগাঁওয়ে যে শিক্ষককে পেটানো হয়েছে তাঁর দোষ ছিল যে, তিনি নাকি চলতি শিক্ষাবর্ষের ক্লাস রুটিন তৈরির সময় প্রধান শিক্ষককে (যাঁর বিরুদ্ধে ঐ শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে) ইংরেজির ক্লাস দিয়েছিলেন৷ এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন ঐ প্রধান শিক্ষক৷ কী অদ্ভুত কারণ রে বাবা!
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কেমন চোখে দেখেন? ঢাকার কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে সেটিই জানতে চেয়েছিলেন আলোকচিত্রী মুস্তাফিজ মামুন৷
ছবি: DW/M. Mamun
অনন্ত সাদ
ঢাকা নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী অনন্ত সাদ একজন শিক্ষকের ছেলে৷ তাঁর মতে, ‘‘মাতা-পিতার পরেই যাঁদের স্থান তাঁরাই হলেন শিক্ষক৷ আর এটা আমরা শিখেছি পরিবার থেকেই৷ শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে যতই রাগারাগি করেন না কেন সেটা আমাদের ভালোর জন্যই করে থাকেন৷ আমার বাবাও একজন শিক্ষক এবং তিনিই আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে শিক্ষকদের সম্মান করতে হয়৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
কাজী ফয়সাল আরেফিন
তিনিও ঢাকার নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী৷ তিনি মনে করেন, শিক্ষকদের সম্মান সবার উপরে৷ তাই শুধু ছাত্রদের নয়, সবারই উচিত শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান করা৷
ছবি: DW/M. Mamun
মোহাম্মদ নাঈম
ঢাকার নটরডেম কলেজের আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাঈম৷ তাঁর মতে, ‘‘শিক্ষক হলেন আমাদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার কারিগর৷ সেই শিক্ষকদের যদি সম্মান করা না হয় তাহলে আমাদের উন্নতি সম্ভব নয়৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
সুজানা জাহিদ
ঢাকার আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী সুজানা জাহিদ মনে করেন, শিক্ষকরা বাবা-মায়ের মতোই৷ সুজানা জানালেন, বাবা মা-কে যতটা সম্মান করেন, ঠিক ততটাই সম্মান করেন তিনি শিক্ষকদের৷
ছবি: DW/M. Mamun
মুনিয়া
ঢাকার মতিঝিল মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনিয়া শিক্ষকদের পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবেই দেখেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
সারজিমা হোসেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী সাহিত্যের শিক্ষার্থী সারজিমা হোসেন তৃমার বাবা-মা দুজনই শিক্ষক৷ তাঁর মতে, ‘‘আমাদের সমাজে বর্তমানে শিক্ষকদের সম্মান অনেক কমে গেছে৷ তবে আমরা সবসময়ই শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দিয়ে থাকি৷ আরেকটা বিষয় হলো, রাজনৈতিকভাবে শিক্ষদের অনেক হেয়, অসম্মান করা হয় যেটা বন্ধ হওয়া উচিত৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
মেহনাজ জাহান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী সাহিত্যের আরেক শিক্ষার্থী মেহনাজ জাহান বলেন, ‘‘শিক্ষকরা আমাদের গুরুজন৷’’ তাঁর মতে, শিক্ষকরা একেকজন পিতা-মাতা৷ সুতরাং তাঁরা যদি কোনো ভুলও করে থাকেন সেজন্য তাঁদের কোনোভাবেই অসম্মান করা যাবে না৷ ‘‘আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে সামান্য কিছু হলেও আমরা তাঁদের কাছে শিখেছি,’’ বলেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
ইফতেখার ইসলাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডি বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখার ইসলাম৷ তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের হাত ধরে এতদূর এসেছি, তাঁরাই হলেন আমাদের শিক্ষক৷ তাই তাঁদের সম্মান সবার আগে৷’’
ছবি: DW/M. Mamun
মাহবুবুর রহমান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান৷ তাঁর মতে, বাবা-মা কোনো ভুল করলে যেমন আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে যেতে পারিনা, তেমনি শিক্ষকরাও ভুল করলে তাঁদের অসম্মান করতে পারিনা৷
ছবি: DW/M. Mamun
তাহমিদ ইবনে আলম
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি সাহিত্যের শিক্ষার্থী৷ তাঁর মতে, শিক্ষকরা হাতে ধরে সবকিছু শিক্ষা দেন, সুতরাং তাঁদের সম্মান সবার আগে৷ কোনো শিক্ষার্থীরই উচিত হবে না শিক্ষকদের অসম্মান করা৷
ছবি: DW/M. Mamun
10 ছবি1 | 10
এতক্ষণ লেখার পর ভাবছি কীভাবে শিক্ষকদের অবস্থা এই পর্যায়ে নেমে এল৷ একমাত্র শ্যামল কান্তি স্যারের ঘটনায় নাগরিকদের দেখেছি সোচ্চার হতে, অন্তত সামাজিক মাধ্যমে৷ কিন্তু অন্য ঘটনাগুলো শুধু খবর হয়েই শেষ হয়েছে৷ হয়ত এর একটি কারণ হতে পারে, শ্যামল স্যারের ঘটনার ভিডিও দেখা গেছে সামাজিক মাধ্যমে৷ আর অন্যগুলোর কোনো কোনোটির ক্ষেত্রে শুধু স্থিরচিত্রই পাওয়া গেছে৷ সংবাদের বাইরেও নিশ্চয় শিক্ষক পেটানোর ঘটনা ঘটেছে, যা আমরা জানতে পারি না৷
এই সব ঘটনায় মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে, শিক্ষক পেটানো আসলে তেমন কোনো বিষয় নয়৷ এটা আর অন্য দশটা ঘটনার মতোই ‘মামুলি’ ব্যাপার৷ কিন্তু একটা সময় ছিল, শিক্ষক মানেই ছিলেন অসম্ভব সম্মানিত কেউ একজন৷ এখন সেই ব্যাপারটি আর নেই৷
কেন এমন হলো? কারণ অনেকগুলো৷ এর জন্য শিক্ষকরাও কিছুটা দায়ী৷ কেননা বর্তমানে শিক্ষকরা শিক্ষা দান ছাড়াও সরাসরি রাজনীতি করেন, নয়ত রাজনীতি সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য হয়ত এসব প্রয়োজন৷ কিন্তু এতে করে যা হচ্ছে তাতে শিক্ষকের সম্মান দিন দিন কমে যাচ্ছে৷ আগে যেখানে রাজনীতিবিদরা শিক্ষকদের সম্মান করতেন, এখন শিক্ষকরাই যেহেতু বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন, তাই রাজনীতিকরাও আর আগের মতন শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ কেউ মনে করছেন না৷ এছাড়া রাজনৈতিক কর্মীরাও এখন ক্ষমতার জোরে শিক্ষক হচ্ছেন, অযোগ্য লোকরাও টাকা দিয়ে শিক্ষকতা পেশায় আসছেন৷ অর্থাৎ শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা না থাকলেও অনেকে এখন শিক্ষক হচ্ছেন৷ ফলে তাঁরা শিক্ষকতা পেশার যে ‘ওজন' তা ধরে রাখতে পারছেন না৷ উপরন্তু নিজেরা নিজেরা মারামারি করে শিক্ষার্থীদের সামনে খারাপ উদাহরণ তুলে ধরছেন৷ এছাড়া কোনো শিক্ষককে পেটানো হলে যে প্রতিবাদ করতে হবে, সেটিও করতে দেখা যায় না বিভিন্ন দলের অনুসারী এসব শিক্ষকদের৷
এবার আসি শিরোনামের কথায়৷ আপনার কী মনে হচ্ছে যে, এমন শিরোনাম দিয়ে আমি ‘অন্যদের’ দোষ ঢাকার চেষ্টা করছি? আসলে খুব দুঃখ পেয়ে কথাটি লিখেছি৷ চোখের সামনে শিক্ষকদের সম্মানিত হতে দেখেছি এই মাত্র কয়েক বছর আগেও (নির্দিষ্ট করে বললে নব্বইয়ের দশকে)৷ কিন্তু এখন তাঁদের এই অবস্থায় দেখতে কষ্টই লাগছে৷ আমি চাই, যেভাবেই হোক শিক্ষকরা আবার তাঁদের সেই আগের মর্যাদাকর অবস্থানে ফিরে যান৷ সেটা সম্ভব কিনা, তা অবশ্য জানা নেই৷
বন্ধু, আপনি কি লেখকের সঙ্গে একমত? আমাদের লিখে জানান, নীচের ঘরে৷
শিশুদের নানা রকমের ক্লাসরুম
বর্ণমালার সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে শুরু হয় শিক্ষাজীবন৷ সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য শিশুদের শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই৷ চলুন দেখা যাক, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রেণিকক্ষে শিশুদের কীভাবে লেখাপড়া শেখানো হয়৷
ছবি: picture-alliance/landov
বেশির ভাগ দেশের শ্রেণিকক্ষে যা থাকে...
বিশ্বের প্রায় সব দেশের শ্রেণিকক্ষেই চক আর ব্ল্যাক বোর্ড থাকে৷ শিক্ষক বা শিক্ষিকা সেই ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে শিক্ষার্থীদের বোঝান৷ শিক্ষার্থীরা বেঞ্চে বসে বসে শোনে৷ তবে অনেক দেশই এই সাবেকি ব্ল্যাকবোর্ড এবং চক ছেড়ে দিয়েছে৷ আবার এমন দেশও আছে, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের মাথার ওপরে কোনো ছাদ নেই৷ মাটিতে বসেই লেখাপড়া করতে হয় তাদের৷
ছবি: AP
দক্ষিণ কোরিয়ায় ডিজিটাল বই...
দক্ষিণ কোরিয়ার স্কুলে এসে গেছে কম্পিউটার৷ ইন্টারনেট সংযোগও দেয়া হয়েছে প্রতিটি ক্লাসরুমে৷ অর্থাৎ ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের হাতে কোনো বই-খাতা থাকবে না৷ বইয়ের পরিবর্তে ‘ই-বুক’ দেয়া হবে তাদের৷ সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার৷ সবাইকে ডিজিটাল শিক্ষাদান পদ্ধতির আওতায় নিতে দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েদের বিনামূল্যে ‘ট্যাবলেট পিসি’ দেয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে৷
ছবি: AP
ঘানার শিশুদের অবস্থা
অনেক দেশের স্কুলে আবার কম্পিউটার তো দূরের কথা, ক্লাসরুমই নেই৷ আফ্রিকার দেশ ঘানার এই স্কুলটি দেখুন৷ ভবনই নেই! তাই গাছের ছায়াতেই নেয়া হচ্ছে ক্লাস৷ শিক্ষিকা পড়াচ্ছেন আর ছোটমনিরা বেঞ্চে বসে মন দিয়ে শুনছে তাঁর কথা৷
ছবি: Fotolia/Living Legend
জার্মানির অত্যাধুনিক ক্লাসরুম
জার্মানিতে কিন্তু ছোট ছোট বাচ্চারাও ক্লাসে পেন্সিল ব্যবহার করে না৷ নোট লেখার বইও নয়৷ টাচ প্যাড, স্মার্টবোর্ড, নেটবুক – এই সমস্ত আধুনিক জিনিসপত্র এ বয়সেই এসে গেছে তাদের হাতে৷
ছবি: AP
যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল
শিল্পোন্নত দেশগুলোতে শিশুদের শিক্ষা যেন বাড়তি চাপ৷ ছবির এই চার বছর বয়সি শিশুগুলোর মতো সব শিশুকেই বলতে গেলে মায়ের কোল থেকে নেমে ঢুকে পড়তে হয় স্কুলে৷ চাপ যে তখন থেকেই শুরু!
ছবি: AP
কেনিয়ার স্কুল এবং ক্লাসরুম
কেনিয়ায় শিক্ষাজীবনের প্রথম আট বছর শিক্ষার্থীদের কোনো বেতন দিতে হয় না৷ তারপরও লেখাপড়া করা সবার জন্য খুব সহজসাধ্য নয়৷ দরিদ্র পরিবারের বাবা-মায়েরা বই-খাতা, পেন্সিল, পোশাক, জুতো ইত্যাদির খরচ জোগাতে পারেন না বলে অনেক শিশুকেই লেখাপড়া ছেড়ে দিতে হয়৷
ছবি: DW/J.Bruck
ব্রিটেনের স্কুলে ‘ইউনিফর্ম’ বাধ্যতামূলক
ইংল্যান্ডের প্রায় সব স্কুলেই শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত পোশাক পরতে হয়৷ সবাই এক রকম পোশাক পরলে শিক্ষার্থীদের চিনতে সুবিধা হয় এবং তাদের পড়াশোনাতেও মন বসে – এমন কিছু যুক্তিতেই শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট পোশাক পরার নিয়ম মানছে স্কুলগুলো৷ তবে ব্রিটেনে একটা সুবিধা আছে৷ দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ হিসেবে অনুদান দেয়া হয়৷ ফলে দরিদ্ররা চাইলেই ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb
পাকিস্তিনে অবহেলিত শিক্ষাখাত
পাকিস্তানে গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমিয়ে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে৷ ফলে শিক্ষার হার আরো কমছে, কমছে স্কুলও৷ ওপরের ছবিতে একটি পার্কে লেখাপড়া করতে দেখা যাচ্ছে শিশুদের৷ পাকিস্তানে এমন দৃশ্য অপরিচিত নয়৷
ছবি: AP
দক্ষিণ সুদানে মেয়েরা বিপদে...
দক্ষিণ সুদানেও প্রায় একই অবস্থা৷ গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে রীতিমতো সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে৷ সে দেশের মাত্র ১৬ ভাগ নারী এখন কোনো রকমে পড়তে এবং লিখতে পারে৷ যুদ্ধের ধ্বংসলীলা থেকে হাতে গোনা যে কয়েকটি স্কুল রক্ষা পেয়েছে, তার মধ্যে অনেকগুলোতে চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চ নেই৷ বই-পত্রও নেই কিছু স্কুলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উন্নতিশীল ব্রাজিলেরও করুণ অবস্থা
দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে ব্রাজিলে৷ কিন্তু তাতে দরিদ্রদের ভাগ্যের খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না৷ গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে তাই খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করতে হয় শিশুদের৷
ছবি: dapd
উন্নতিশীল ব্রাজিলেরও করুণ অবস্থা
দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে ব্রাজিলে৷ কিন্তু তাতে দরিদ্রদের ভাগ্যের খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না৷ গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে তাই খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করতে হয় শিশুদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এবং বাংলাদেশ...
২০১৩ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের সময় অসংখ্য স্কুলের ক্ষতি সাধন করা হয় বাংলাদেশ৷ এ বছর দীর্ঘদিন হরতাল, অবরোধ চলায় স্কুলগুলোও অনেক দিন বন্ধ ছিল৷ এক পর্যায়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্লাস নিতে শুরু করে কিছু স্কুল৷ হরতাল-অবরোধের কারণে সপ্তাহের ৫-৬ দিন গৃহবন্দী, তারপর ছুটির দিনে স্কুলবন্দী৷ বাংলাদেশের শিশুদের অসহায়ত্ব ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন৷