1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষাকেন্দ্রে হামলার হুমকি ছিল পাকিস্তানে, গলদ নিরাপত্তায়

২১ অক্টোবর ২০০৯

পাকিস্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ৷ খবর ছিল হামলা হওয়ার সম্ভাবনা স্কুলগুলিতে৷ সেইমত স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্তও ছিল৷ কিন্তু হামলা হল বিশ্ববিদ্যালয়ে৷

ওয়াজিরিস্তানে সোনা অভিযানের জবাব দিতেই হামলাছবি: AP

দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে যখন সেনা হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, সে সময় পাল্টা বদলা নিতে পাকিস্তানের শিক্ষাক্ষেত্রগুলিতে হামলা চালাবে তালেবান৷ এই খবর গোয়েন্দাদের কাছে আগাম ছিল৷ সে কারণেই লাহোর, মুজাফফরাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি সহ গোটা দেশের প্রায় সব সেনা পরিচালিত স্কুলগুলি বন্ধের নির্দেশ জারি করা হয়ে যায় সোমবার৷ বন্ধও হয়ে যায় বহু স্কুল, কেউ তিন কেউ বা সাতদিনের জন্য৷

কিন্তু হামলা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারে এ ব্যাপারে নিরাপত্তা বিভাগ আদৌ সতর্ক ছিল কী ? পাকিস্তানের মিডিয়া এই প্রশ্ন তুলেছে৷ সেনা পরিচালিত স্কুলগুলিতে হামলা চালিয়ে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল জঙ্গিদের৷ সন্তানদের কথা ভেবে সেনাবাহিনী যুদ্ধ করতে পারবে না, এটাই তাদের অভিলাষ৷ কিন্তু হামলার জন্য শেষ পর্যন্ত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়াটা, তাও আবার একইসঙ্গে দুটো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অনেকটা সন্ত্রাস আর আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করার ব্যাপারটা কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদেরও৷

তবে ইসলামাবাদের যে ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যলয়টিতে হামলা হয়েছে, তালেবানি হামলার জন্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়াটা স্বাভাবিক, মন্তব্য লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম বিশেষজ্ঞ, একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত অধ্যাপক ডঃ হোসেনুর আদেল রহমানের৷ ডঃ রহমান বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি আইন আর ইতিহাস পড়তে আসেন অসংখ্য ছাত্রছাত্রী৷ এরকম একটা জায়গায় হামলা চালানোর দু'টি অর্থ৷ এক, সহজে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ আর দুই, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বারো হাজার পড়ুয়াদের শতকরা প্রায় পঞ্চাশভাগই যেহেতু ছাত্রী, অতএব স্ত্রী শিক্ষা বিস্তার বিরোধী তালেবানের সেখানে হামলা চালাবার অধিকার রয়েছে৷ অন্তত পাকিস্তানের কট্টরপন্থী তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠী ‘তেহরিক ই তালেবান' তেমনটাই মনে করে৷ কিছুদিন আগে তারা এমন একটা বিবৃতিও প্রচার করেছিল৷

ওয়াজিরিস্তান থেকে আদিবাসী বাসিন্দাদের সরানো হচ্ছেছবি: AP

ঘটনাচক্রে মঙ্গলবারের জোড়া বিস্ফোরণে নিহত পাঁচজনের মধ্যে দুজন ছাত্রীও রয়েছেন৷ হামলাটির ক্ষেত্র ইউনি কাফে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাফেটেরিয়া৷ সেখানেই দুই ছাত্রীর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় আত্মঘাতী বোমারুর সঙ্গেই৷ ছাদে লটকে যায় মানববোমার দেহাংশ৷ এতটাই ছিল বিস্ফোরণের তীব্রতা৷ প্রায় সঙ্গে সঙ্গে অন্য বিস্ফোরণটি ঘটেছে শরিয়া ব্লকে৷ ক্লাসরুমে ঢুকে নিজেকে উড়িয়ে দেয় মানববোমা, ভেঙে পড়ে যায় ঘরের ছাদ, তিনজনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই৷

কেউ দায় স্বীকার করেনি তবুও হামলার ধরণ থেকে বোঝাই যাচ্ছে নেপথ্যে রয়েছে তালেবান৷ তবে ওয়াজিরিস্তানে সেনা আগ্রাসন থামাবে না পাকিস্তান৷ জানিয়েছেন এক সেনা কর্মকর্তা৷ ওদিকে জাতিসংঘ এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে৷ বিবৃতি দিয়েছেন মহাসচিব বান কি মুন৷

প্রতিবেদন-সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা-হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ