1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমালোচনার মুখে মাক্রোঁ

২০ জুলাই ২০১৮

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর শীর্ষ নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্যারিসে মে দিবসের বিক্ষোভের সময় তিনি এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছিলেন৷

Frankreich - Sicherheitsmitarbeiter Benalla und  Macron
ছবি: picture alliance/AP Photo/C. Ena

চলতি বছরের পহেলা মে বিক্ষোভ চলাকালে এক যুবককে পিটিয়েছিলেন মাঁক্রোর শীর্ষ নিরাপত্তারক্ষী আলেকজান্দ্রে বেনাল্লা৷ সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে বরখাস্ত করেন মাক্রোঁ৷ এই ঘটনাকে তাঁর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি মনে করা হচ্ছে৷

এক তদন্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, কেবল বেনাল্লা নন,  দুই উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ আরও তিনজনকে বরখাস্ত করেছেন মাক্রোঁ৷ বেনাল্লার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সহিংস আচরণ, পুলিশের পোশাকের অবৈধ ব্যবহার এবং অনুমতি ছাড়া নজরদারি ভিডিও ফুটেজের ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে৷

ফরাসি পত্রিকা লে মঁদে চলতি সপ্তাহে তাদের ওয়েবসাইটে স্মার্টফোনে তোলা একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে৷ সেখানে দেখা যায়, বেনাল্লা এক বিক্ষোভকারী যুবককে পেটাচ্ছেন৷ মে দিবসের ঐ বিক্ষোভের সময় তার মাথায় ছিল পুলিশের হেলমেট৷ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ভিডিওটি প্রকাশ করে ঐ পত্রিকা, যেখানে তাকে পুলিশের পোশাকে এক নারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায়৷

এসব ফুটেজ প্রকাশ হওয়ার পর মাক্রোঁর অফিস থেকে বলা হয়েছিল, বেনাল্লাকে পুলিশের বিভিন্ন অভিযান পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়া আছে৷ তবে এরপর বেনাল্লাকে দুই সপ্তাহের জন্য ‘বিনা বেতনে' বরখাস্ত করার খবর জানা যায়৷ পাশাপাশি তাকে মাক্রোঁর বিভিন্ন সফরের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে প্রশাসনিক কাজে লাগানো হয়৷  তবে বিএফএম টিভি চ্যানেল তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, বেনাল্লা চলতি সপ্তাহেই তার কাজে ফিরেছেন৷ এমনকি বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি ফুটবল দলকে যে বাসে করে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই বাসে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷

মে দিবসে এক ছাত্রকে পেটাচ্ছেন বেনাল্লাছবি: picture alliance/AP Photo/N. Lescaut

শুক্রবার ফরাসি আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ‘‘পহেলা মে বিক্ষোভের সময় বেনাল্লা একা ছিলেন না, তাকে সহযোগিতা করেছেন আরও একজন নিরাপত্তা সহযোগী ভিনসেন্ট ক্রেজ৷ তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে৷''

তবে এই কেলেঙ্কারিতে মাক্রোঁর জনপ্রিয়তায় বেশ ভাটা পড়েছে৷  বুধবার ও বৃহস্পতিবার জনমত জরিপে মাক্রোঁর পক্ষে মাত্র ৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে৷ পহেলা মে'র বিক্ষোভের পরদিনই মাক্রোঁ টুইটারে লিখেছিলেন, ‘‘যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ ''

শুক্রবার বেশিরভাগ সংবাদপত্র লিখেছে, বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মাক্রোঁর এক সফরের সময় এই ঘটনা সম্পর্কে তাঁকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷ পত্রিকাগুলো লিখেছে, লে মঁদে'র অনুসন্ধান ছাড়া এই ঘটনা কেউ জানতেই পারতো না৷ আইনজীবীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছেন৷ বিরোধী দল দাবি করেছে, মাক্রোঁকে পার্লামেন্টে এর জবাব দিতে হবে৷ তবে ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, শিক্ষার্থীদের এ ধরনের বিক্ষোভে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার বেনাল্লার নেই৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ