1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষার্থীরা জামিন পেলেও শহীদুল, নওশাবা কারাগারে

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২০ আগস্ট ২০১৮

নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও কোটা আন্দোলনের ঘটনায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত দুই দিনে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন মোট ৬৪ জন শিক্ষার্থী৷ কিন্তু খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ড. শহীদুল আলম এবং অভিনেত্রী নওশাবা এখনো জামিন পাননি৷

Bangladesch Dhaka Verhaftung Aktivist Shahidul Alam
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman

রবিবার নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ঘটনায় আটক ৪২ জন শিক্ষার্থীকে আদালত জামিন দেয়৷ আরো পাঁচজনকে জামিন দেয়া হয় সোমবার৷ সোমবার দুপুরের পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় আটক ১৭ জনকে জামিন দেয়া হয়৷ তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় জামিন দেয়া হয়েছে বলে আদালতের কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে৷ নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের সময়ের ঘটনায় আটকদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা আছে৷ আর বাকিদের ধানমন্ডিসহ ঢাকার কয়েকটি থানায় ভাংচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে করা মামলায় আটক করা হয়েছিল৷

তাঁদের আইনজীবীদের একজন অ্যাডভোকেট আইনুন নাহার সিদ্দিকা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা আদালতের কাছে জামিন চেয়েছি৷ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় তাঁরা জামিন পেয়েছেন৷ তাঁদের মূলত সন্দেহের বশে আটক করা হয়েছিল৷ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য-প্রমাণ ছিল না৷ আইনগত প্রক্রিয়ার বাইরে আর কোনো প্রক্রিয়া এই জামিনে কাজ করেছে বলে আমাদের জানা নেই৷ তবে আমরা ঈদকে গুরুত্ব দিয়েছি৷ আমরা আদালতে বলেছি, এই বাচ্চারা যেন ঈদের আগে জামিন পায়, কারাগারে না থাকে৷ আদালত আমাদের আবেদন আমলে নিয়েছেন৷''

‘কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় তাঁরা জামিন পেয়েছেন’

This browser does not support the audio element.

কিন্তু নিরাপদ সড়ক আন্দেলনের সময় গ্রেপ্তার আলোকচিত্রী ড. শহীদুল আলম এবং অভিনেত্রী নওশাবা এখনো জামিন পাননি৷ ঈদের আগে তাঁদের জামিন পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন না তাঁদের আইনজীবীরা৷

ড. শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নিরাপদসড়ক আন্দোলনের সময় ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে৷ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করেছে৷ মামলার পরবর্তী তারিখ সেপ্টেম্বরে৷ তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন জানান, ‘‘আমরা রবিবার শহীদুল আলমের জামিন শুনানির জন্য মামলার তারিখ এগিয়ে আনার অবেদন করেছিলাম, কিন্তু আদালত আমাদের আবেদনে সাড়া দেননি৷''

তিনি বলেন, ‘‘একই ঘটনায় অন্য সবাইকে জামিন দেয়া হলেও তাঁকে দেয়া হচ্ছে না৷ এটা উদ্বেগজনক ও দুঃখজনক৷ তাঁকে একটা বক্তব্যের কারণে আটক করা হয়েছে৷ আর যে বক্তব্যের কথা বলা হচ্ছে, সেটা তিনি পুরোপুরি দেন নাই৷ আমাদের এর আগে আদালত থেকে বলা হয়েছে, আইন সবার জন্য সমান৷ কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি সবার ক্ষেত্রে আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না৷ ওনার ব্যক্তিস্বাধীনতা এভাবে কেড়ে নেয়া গ্রহণযোগ্য নয়৷''

‘শহীদুল আলমের ব্যক্তিস্বাধীনতা এভাবে কেড়ে নেয়া গ্রহণযোগ্য নয়’

This browser does not support the audio element.

শহীদুল আলমের মুক্তির দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পীরা সোচ্চার৷ সর্বশেষ তাঁর মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন ১০ নোবেলজয়ীসহ ২৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি৷ তাঁরা শহীদুল আলমের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডকে ‘বিধিবহির্ভূত ও বেআইনি' আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলাকে ‘নিপীড়নমূলক' আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন৷

এদিকে অভিনেত্রী  নওশাবা আহমেদকে রিমান্ড শেষে জামিন না দিয়ে সোমাবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ তাঁকে মাফ করে দিয়ে মুক্তি দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন অভিনয়শিল্পী ও সহকর্মীরা৷

শিক্ষার্থীদের জামিন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘‘আটক শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সরকার সহানুভূতি দেখিয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন তারা যেন ঈদের আগে জামিনে মুক্তি পায়৷ আমরা প্রসিকিউশনকে বলেছি, জামিন আবেদনের বিরোধিতা না করে যেন সহযোগিতা করা হয়৷ সেটাই করা হয়েছে৷অনেকের আইনজীবী ছিল না, আমরা তাদের সেদিক দিয়েও সহযোগিতা করেছি৷''

‘শহীদুল আলম ও নওশাবার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে, মামলা আছে’

This browser does not support the audio element.

শহীদুল আলম ও নওশাবার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে, মামলা আছে৷ তাঁদের জামিন পেতে হলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে৷ আইন যে সিদ্ধান্ত নেবে, আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই হবে৷''

সরকার এইসব বিষয় নিয়ে কোনো চাপে আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘কিসের চাপ! কোনো চাপের প্রশ্ন আসে না৷ আমরা গণতান্ত্রিক সরকার৷ আমরা মনে করি, এইসব বাচ্চারা মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করবে, এটাই হিউম্যানেটেরিয়ান অ্যাপ্রোচ৷ তাই  শিক্ষার্থীরাদের মানবিক কারণে ঈদের আগে জামিন দেয়া হয়েছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ