জিপিএ-৫
২৮ ডিসেম্বর ২০১২![Schüler einer staatlichen Grundschule lernen am Mittwoch (22.06.2011) in Lohacura, einem Ort im Westen von Bangladesch, in ihrem Klassenraum. Jeder zweite Bangladeschi ist jünger als 15 Jahre. Die Analphabetenrate liegt immer noch bei 74 Prozent. Foto: Tim Brakemeier dpa](https://static.dw.com/image/15923045_800.webp)
কিন্তু সম্প্রতি বাংলা দৈনিক ‘প্রথম আলো'-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস নম্বরই পায়নি৷ অর্থাৎ, ১২০-এর মধ্যে তারা ৪৮ নম্বরই পায়নি৷
এর কারণ সম্পর্কে গাংনী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এনামুল আযীম বললেন, দিন দিন শিক্ষার্থীদের মান কমছে৷ কেননা তারা মুখস্থবিদ্যা আর কোচিং-এর উপর নির্ভরশীল৷ ফলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটছে না৷
তিনি বলেন, সরকার প্রাইভেট পড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঠিকই৷ তবে সঙ্গে এও বলে দিয়েছে যে, প্রয়োজন হলে স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে সপ্তাহে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রাইভেট পড়াতে পারবেন শিক্ষকরা৷ কিন্তু যেহেতু এই বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার কেউ নেই, তাই কোনো কোনো শিক্ষক নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও প্রাইভেট পড়িয়ে যাচ্ছেন৷
জিপিএ-৫ এর ছড়াছড়ি প্রসঙ্গে এনামুল আযীম বলেন, খাতা দেখার সময় শিক্ষকদের উদার হওয়ার পরামর্শ দেন বোর্ড কর্মকর্তারা৷ অর্থাৎ তাঁদেরকে বেশি বেশি নম্বর দিতে বলা হয়৷ কোনো বোর্ডের ফল ভালো, কোনটার খারাপ – এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা থাকার কারণে বোর্ড কর্মকর্তারা ভালো ফল দেখানোর প্রতিযোগিতায় থাকেন৷ শিক্ষকরা তাই বেশি বেশি নম্বর দেন৷ এতে করে অনেক মধ্যমানের শিক্ষার্থীও সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়ে যাচ্ছে৷
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় এবার দুই লাখ ৩৩ হাজার ১৪০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, যেটা গতবারের তুলনায় প্রায় এক লাখ ২০ হাজার বেশি৷ আর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়াদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ হাজার ৯৪২ জন শিক্ষার্থী৷