জিপিএ-৫
২৮ ডিসেম্বর ২০১২কিন্তু সম্প্রতি বাংলা দৈনিক ‘প্রথম আলো'-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস নম্বরই পায়নি৷ অর্থাৎ, ১২০-এর মধ্যে তারা ৪৮ নম্বরই পায়নি৷
এর কারণ সম্পর্কে গাংনী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এনামুল আযীম বললেন, দিন দিন শিক্ষার্থীদের মান কমছে৷ কেননা তারা মুখস্থবিদ্যা আর কোচিং-এর উপর নির্ভরশীল৷ ফলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটছে না৷
তিনি বলেন, সরকার প্রাইভেট পড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঠিকই৷ তবে সঙ্গে এও বলে দিয়েছে যে, প্রয়োজন হলে স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে সপ্তাহে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রাইভেট পড়াতে পারবেন শিক্ষকরা৷ কিন্তু যেহেতু এই বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার কেউ নেই, তাই কোনো কোনো শিক্ষক নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও প্রাইভেট পড়িয়ে যাচ্ছেন৷
জিপিএ-৫ এর ছড়াছড়ি প্রসঙ্গে এনামুল আযীম বলেন, খাতা দেখার সময় শিক্ষকদের উদার হওয়ার পরামর্শ দেন বোর্ড কর্মকর্তারা৷ অর্থাৎ তাঁদেরকে বেশি বেশি নম্বর দিতে বলা হয়৷ কোনো বোর্ডের ফল ভালো, কোনটার খারাপ – এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা থাকার কারণে বোর্ড কর্মকর্তারা ভালো ফল দেখানোর প্রতিযোগিতায় থাকেন৷ শিক্ষকরা তাই বেশি বেশি নম্বর দেন৷ এতে করে অনেক মধ্যমানের শিক্ষার্থীও সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়ে যাচ্ছে৷
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় এবার দুই লাখ ৩৩ হাজার ১৪০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, যেটা গতবারের তুলনায় প্রায় এক লাখ ২০ হাজার বেশি৷ আর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়াদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ হাজার ৯৪২ জন শিক্ষার্থী৷