শিক্ষা ওয়েবসাইট তৈরি করছেন মুসা ইব্রাহীম
২৯ নভেম্বর ২০১০এভারেস্ট জয়ের বিপত্তি!
অবশ্য ২৩ মে এভারেস্ট জয়ের পর বেশ খানিকটা কঠিন সময় পার করতে হয়েছে মুসাকে৷ কেউ কেউ প্রমাণ করতে চাইছিলেন, তিনি আসলে এভারেস্ট জয় করেননি৷ আশার কথা হচ্ছে, নানাবিধ বৈজ্ঞানিক বিচার বিশ্লেষণ আর তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এখন আর কারো মনে মুসার জয় নিয়ে সন্দেহ নেই৷
নতুন মিশন
মুসা এখন ব্যস্ত নিত্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে৷ সাত মহাদেশের সাতটি সবচেয়ে উঁচু পর্বত জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি৷ আরো চাইছেন, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার জলপথ সাঁতরে পাড়ি দিতে৷ এভারেস্ট জয়ী মুসা এই বিষয়ে জানান, আগামী জানুয়ারি মাসে বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পার হবো বলে আশা করছি৷
শিক্ষা ওয়েবসাইট
মুসা অবশ্য এভারেস্ট জয়ের পরপরই বলেছিলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাখাত নিয়ে কিছু করতে চান তিনি৷ কিন্তু এখন কি ভুলে গেলেন সেকথা? একথা মনে করিয়ে দিতেই মুসার মন্তব্য, ‘‘এটা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ করছি৷ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার সুবিধা পৌঁছে দিতে একটি অনলাইন কাঠামো তৈরি করছি আমরা৷ আশা রাখছি আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ এটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু করতে পারবো৷''
খানএকাডেমি ডটঅর্গ
মুসা'র এই ওয়েবসাইটের ধরণ হবে অনেকটাই খানএকাডেমি ডটঅর্গ এর মতো৷ অনেকেই হয়তো, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ সালমান খান'এর এই ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে অবহিত৷ গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন সমস্যার সহজ সমাধান দিয়ে ওয়েবসাইটটি সাজিয়েছেন সালমান৷ তার এই কাজের প্রশংসা করেছেন খোদ বিল গেটস৷ এমনকি তাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও দিয়েছে গুগল৷
মাল্টিমিডিয়া
মুসা ইব্রাহীমের ওয়েবসাইটটিও হবে খান একাডেমির আদলে৷ তবে, সেটির লক্ষ্য শুধুই বাংলাদেশ৷ তাই এর বিষয়বস্তু থাকবে স্থানীয় ভাষায় এবং স্থানীয় মানুষের উপযোগী৷ থাকবে কমগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ সংস্করণ৷ সঙ্গে অডিও, ভিডিও বিষয়বস্তু যাকে এককথায় বলে মাল্টিমিডিয়া ওয়েবসাইট৷
নাম এখনো পাওয়া যায়নি
এখনো অবশ্য নিজের এই ওয়েবসাইটের নাম চূড়ান্ত করেননি মুসা৷ তিনি চাইছেন একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভিতর এই কাজটি করতে৷ জোরেশোরে চলছে সেকাজ৷ আগামী বছরের শুরুতেই নাকি দেখা মিলবে নতুন এই শিক্ষা ওয়েবসাইটের৷ শিশু কিশোরদের শিক্ষাভীতি কাটানোই হবে যার মূললক্ষ্য৷ এই বিষয়ে সাংবাদিক মুসা'র মন্তব্য, এই ওয়েবসাইটের ব্যপ্তিটা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই আমরা৷
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্য প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছে৷ এজন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে কম্পিউটার ল্যাব৷ প্রত্যন্ত পল্লিতে চালু হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র৷ এতসব ল্যাব আর কেন্দ্রের সঙ্গে মুসার ওয়েবসাইটটি জুড়ে দিলে বেশ ভালোই সাড়া পাওয়া যাবে৷ তাছাড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাভীতিও অনেকটা কাটাবে এই ওয়েবসাইট৷ এখন শুধু অপেক্ষার পালা৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক