ফেসবুকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ হচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷ রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা এই পর্তুগিজ তারকার ফেসবুক ভক্তের সংখ্যা দশ কোটির বেশি৷ টুইটারে তাঁর অনুসারী তিন কোটি৷

আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি গত বছর ফিফার বিশ্বসেরা খেতাবটি জিততে পারেননি৷ সেটা নিয়েছেন রোনাল্ডো৷ ফেসবুকেও মেসি তাঁর পেছনে রয়েছেন৷ ভক্তের সংখ্যা সাড়ে সাত কোটির মতো৷ তবে টুইটারে মেসির ভক্ত মাত্র ২০ লাখ৷

রোনাল্ডো বা মেসির পর্যায়ে না পৌঁছালেও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন নেইমার৷ ২২ বছর বয়সি এই ব্রাজিলীয় ফুটবল তারকার ভক্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি৷ টুইটারে চতুর্থ জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ তিনি৷

ফুটবল ক্যারিয়ারের ভালো সময়গুলো সম্ভবত ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন কাকা (ছবিতে স্ত্রী ক্যারোলিনের সঙ্গে কাকা)৷ ৩২ বছর বয়সি এই তারকার টুইটার অনুসারীর সংখ্যা দুই কোটির বেশি৷ মাইক্রো ব্লগিং সাইটটিতে দ্বিতীয় জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ তিনি৷ আর ফেসবুকে তাঁর ভক্তের সংখ্যা প্রায় চার কোটি৷

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়দের তালিকায় শুরুর দিকে অধিকাংশই ফুটবলার৷ ব্যতিক্রম শুধু এনবিএ সুপারস্টার লিব্রন৷ ফেসবুকে তাঁর ভক্তের সংখ্যা সোয়া দুই কোটির মতো, আর টুইটারে দেড় কোটির বেশি৷

প্রথমে খারাপ ছিল ফর্ম, এখন ইনজুরির কবলে৷ বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান দলের তারকা মেসুত ও্যজিল বর্তমানে সম্ভবত কঠিন সময় পার করছেন৷ তবে সময়টা তিনি দিব্যি কাটিয়ে দিতে পারেন অনলাইন ভক্তদের সঙ্গে৷ ফেসবুকে তাঁর ভক্তের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি, টুইটারে প্রায় ১ কোটি৷

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম মানব ইউসেইন বোল্ট অনলাইন জগতে বেশ পিছিয়ে আছেন৷ ফেসবুকে তাঁর ভক্তের সংখ্যা মাত্র ১৬ মিলিয়ন! আর টুইটারে সাড়ে তিন মিলিয়নের মতো৷

ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়ের বেশে এখন আর দেখা যাচ্ছে না ডেভিড বেকহামকে৷ তবে তাই বলে ইংল্যান্ড দলের সাবেক এই অধিনায়কের ফেসবুক জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি৷ ফেসবুকে পাঁচ কোটি ভক্ত রয়েছে তাঁর৷

ইতিমধ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন এই দম্পতি৷ দাতব্য কাজের জন্য তাঁদের প্রতিষ্ঠিত বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের নাম বিশ্ব জোড়া৷ তাঁরা তাদের সম্পত্তির ৯৫ শতাংশ দাতব্য কাজে ব্যয়ের পরিকল্পনা করছেন৷ বর্তমানে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার৷

‘ক্রনিকল অফ ফিলানথ্রপি’ জানিয়েছে, ২০০৬ সালে বাফেট বিল ও মেলিন্ডা গেটস সহ আরও তিন ফাউন্ডেশনকে ৪৩.৬ বিলিয়ন ডলার দান করার অঙ্গীকার করেন৷ বিল গেটস ও ওয়ারেন বাফেট মিলে ‘গিভিং প্লেজ’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করেন৷ এর আওতায় এখন পর্যন্ত ১৩৮ জন বিলিওনেয়ার তাদের সম্পত্তির বেশিরভাগ অংশ দান করার অঙ্গীকার করেছেন৷

প্রথম কন্যাসন্তান ম্যাক্স-এর জন্ম হবার পর ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গ জানিয়েছেন যে, তিনি ফেসবুকে থাকা তাঁর শেয়ারের ৯৯ শতাংশ দাতব্য কাজে দিয়ে দেবেন৷ এর অর্থমূল্য প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছেন সাকারবার্গ৷

চিকিৎসা গবেষণা ও শিক্ষার উন্নয়নে ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন এখন পর্যন্ত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন৷ তিনি তাঁর সম্পত্তির কমপক্ষে ৯৫ শতাংশ দাতব্য কাজে ব্যয় করবেন বলে জানিয়েছেন৷ ফোর্বসের হিসেবে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫৬.২ বিলিয়ন ডলার৷ তিনি বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি৷

ভারতের আইটি কোম্পানি উইপ্রোর চেয়ারম্যান প্রেমজি ২০১৩ সালের এপ্রিলে জানান, তিনি তাঁর সম্পত্তির ২৫ শতাংশের বেশি দান করেছেন৷ পরবর্তী পাঁচ বছরে আরও প্রায় ২৫ শতাংশ সম্পত্তি দান করার পরিকল্পনার কথাও তিনি সে সময় জানিয়েছিলেন৷ ফোর্বস-এর হিসাবে প্রেমজি বর্তমানে ১৬.৩ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক৷