1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিমন পেরেস চলে গেলেন

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে শেষ জীবিত ব্যক্তিত্ব শিমন পেরেস নোবেল শান্তি পুরস্কারও লাভ করেছিলেন৷ ৯৩ বছর বয়সে তেল আভিভে পরলোকগমন করলেন তিনি৷

শিমন পেরেস
ছবি: Reuters/B. Ratner

দু'সপ্তাহ আগে মস্তিষ্কে বড় রকম রক্তক্ষরণ হয়েছিল৷ এ বছরই ব্যাপক হার্ট সার্জারির পর পেসমেকার বসাতে হয়৷ শিমন পেরেস-এর মরদেহ ক্নেসেটে সাজিয়ে রাখা হবে, সমাধিস্থ করা হবে শুক্রবার, জেরুসালেমে৷ সারা বিশ্ব থেকে বিশিষ্ট অতিথিরা আসবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে – তাঁদের মধ্যে থাকবেন পোপ ফ্রান্সিস ও হিলারি ক্লিন্টন৷

সারা বিশ্ব থেকে পেরেস-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার টুইট করেছেন, ‘‘আমরা সকলেই শিমন পেরেস-এর অভাব অনুভব করব৷ আমরা এক সাহসী ও বিচক্ষণ কণ্ঠের জন্য শোক করছি৷ বিশ্ব এক মহান রাষ্ট্রপরিচালককে হারিয়েছে৷''

শিমন পেরেসকে ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিকদের মধ্যে গণ্য করা যায়৷ ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই তিনি ইসরায়েলি রাজনীতির একটি স্তম্ভ৷ সে বছর আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় ডেভিড বেন গুরিয়ন পেরেসকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন অস্ত্র কেনার জন্য: পেরেস-এর বয়স তখন ছিল ২৫৷ অবশ্য সরাসরি ফ্রন্টে যুদ্ধ না করার জন্য পেরেস-কে তাঁর প্রজন্মের ইসরায়েলিদের বিরূপ সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে৷

১৯৫৬ সালে সুয়েজ যুদ্ধের পরিকল্পনায় পেরেস-এর অবদান ছিল৷ ১৯৫৭ সালের একটি গোপন চুক্তি অনুযায়ী ফরাসি প্রধানমন্ত্রী গি মোলে পেরেসকে নেগেভ মরুভূমিতে দিমোনা-র কাছে একটি আণবিক চুল্লি তৈরিতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন  যে কারণে পেরেসকে প্রায়শই ‘‘ইসরায়েলি পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভারের জনক'' বলা হয়ে থাকে৷

অধিকৃত পশ্চিম জর্ডানে কেদুমিম নামধারী প্রথম ইহুদি বসতি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন শিমন পেরেস৷ কিন্তু সেই শিমন পেরেসই ১৯৮২ সালে ইসরায়েলের লেবাননে অনুপ্রবেশের বিশিষ্ট সমালোচক হয়ে উঠেছিলেন৷ ফিলিস্তিনি সমস্যার সমাধান যে সামরিক উপায়ে সম্ভব নয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক পদ্ধতিতে করা সম্ভব, এ মনোভাবের সোচ্চার সমর্থক হয়ে ওঠেন তিনি৷

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ১৯৯৩ সালের অসলো শান্তি চুক্তির একজন স্থপতি ছিলেন শিমন পেরেস, যে কারণে তিনি ইটঝাক রাবিন ও ইয়াসের আরাফাত-এর সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন ১৯৯৪ সালে৷

পোল্যান্ডের (বর্তমানে বেলারুসের) ভিজনিয়েভো গ্রামে জিমন পের্স্কি নামে যে শিশুটির জন্ম হয়েছিল ১৯২৩ সালে, সে ১১ বছর বয়সে প্যালেস্টাইনে আসে তার বাবা-মায়ের হাত ধরে৷ গোড়ায় তার হওয়ার কথা ছিল কৃষিজীবী৷ দেশান্তরের পর তাকে পাঠানো হয় (বর্তমান) উত্তর-পূর্ব ইসরায়েলের বেন শেমেন কৃষি বিদ্যালয়ে৷ কিশোর শিমন-এর কিন্তু রাজনীতি আর ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়গুলিতেই বেশি আগ্রহ ছিল...৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, ডিডাব্লিউ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ