1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিল্পক্ষেত্রে কার্বন নির্গমনের চাবিকাঠি হতে পারে হাইড্রোজেন

৬ এপ্রিল ২০২১

কার্বন নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রে বিশাল কারখানা ও শোধনাগারের ভূমিকা কম নয়৷ সবুজ হাইড্রোজেন সেই কাজে সহায়ক হতে পারে৷ তবে সরকারি সাহায্য ছাড়া বিপুল ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়৷

ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/dpa/M. Assanimoghaddam/

জার্মানিতে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি পুরোপুরি ত্যাগ করে শুধু পরিবেশবান্ধব উৎস কাজে লাগানোর উদ্যোগ চলছে৷ জার্মানির উত্তর-পশ্চিমের এম্সলান্ড অঞ্চল এই রূপান্তরের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চায়৷

টিম হুসমান বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে নিজস্ব ধারণা পাবার চেষ্টা করছেন৷ তিনি হাইড্রোজেনের অবকাঠামো গড়ে তোলার কাজে সমন্বয় করছেন৷ উত্তর সাগরের উপর একটি উইন্ড পার্ক এবং আরও কয়েকটি বায়ুচালিত বিদ্যুৎ প্লান্টের সবুজ জ্বালানি কাজে লাগিয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছাড়া হাইড্রোজেন উৎপাদন করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে৷ লানি প্রকল্পের সমন্বয়ক হিসেবে হুসমান বলেন, ‘‘জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদনের ক্ষেত্রে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়াই হলো৷ অর্থাৎ পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে৷ প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়ামের মতো উৎস বর্জন করতে হবে৷ বায়ু অথবা সৌরশক্তি কাজে লাগাতে হবে৷''

হাইড্রোজেন যখন কার্বন নির্গমনের বিকল্প

00:00

This browser does not support the video element.

আধুনিক শিল্পশাখা ও শিল্পের জন্য চিহ্নিত এলাকার কল্যাণে এম্সলান্ড অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যথেষ্ট শক্তিশালী৷ কর বাবদ আয়ও বেড়ে চলেছে৷ ফলে উদ্বৃত্ত অর্থ কাজে লাগিয়ে বর্তমানে সেখানে জ্বালানির ক্ষেত্রে রূপান্তরের জোরালো উদ্যোগ চলছে৷

এম্সলান্ড অঞ্চলে তেল কোম্পানি হিসেবে বিপি-র বিশাল পেট্রোল শোধনাগার রয়েছে৷ এমন শোধনাগার শিল্পক্ষেত্রে হাইড্রোজেনের সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারীর মধ্যে পড়ে৷ পেট্রোল বা ডিজেল থেকে গন্ধক বের করে নিতে প্রতি ঘণ্টায় কয়েক টন হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হয়৷

কিন্তু এখনো পর্যন্ত যে জ্বালানি ব্যবহার করা হয়, সেটিকে ধূসর হাইড্রোজেন বলা হয়৷ কারণ প্রাকৃতিক গ্যাসের সাহায্যে সেটি উৎপাদন করা হয়৷ সেই প্রক্রিয়ায় বিশাল পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নির্গমন ঘটে৷ ভবিষ্যতে সবুজ হাইড্রোজেন ব্যবহারের লক্ষ্যে কারখানায় অনেক রদবদল করা হচ্ছে, অনেক পুরানো প্লান্ট সরিয়ে নতুন প্লান্ট বসানো হচ্ছে৷ লিঙেনের বিপি রিফাইনারির প্রতিনিধি ফ্রানৎস হাকিং বলেন, ‘‘মনে রাখতে হবে, এমন প্লান্টের মধ্যে বিশাল ওভেন এবং এনার্জি বারের প্রয়োজন হয়৷ এখানে সেই মাত্রা ১২০ মেগাওয়াট৷ ১২৮টি পাইপে ক্যাটালিস্ট ভরা রয়েছে৷ বিশাল এই কর্মযজ্ঞের কারণে অনেক পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড সৃষ্টি হয়৷ নতুন প্লান্টে শুধু ইলেকট্রোলিসিস ইউনিট থাকবে৷ অনেক কম উদ্যোগের কারণে প্রায় কোনো কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের হবে না৷'' 

তবে এমন কর্মযজ্ঞের বিশাল ব্যয়ভার রয়েছে৷ রাষ্ট্রীয় সহায়তা ছাড়া এই পরিকল্পনা কার্যকর করা অত্যন্ত কঠিন৷ সেই প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে টিম হুসমান বলেন, ‘‘সবুজ হাইড্রোজেন ধূসর হাইড্রোজেনের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া চলবে না৷ এ ক্ষেত্রে মুনাফার কোনো আকর্ষণ নেই৷ বাজারে সক্রিয় কোনো কোম্পানি কেন সবুজ হাইড্রোজেন কাজে লাগাবে? ক্রেতারা মোটেই বাড়তি ব্যয়ভারের ভাগীদার হবে না৷ তাই সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন৷ জার্মানির ফেডারেল সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেই লক্ষ্যে কোটি কোটি ইউরো ব্যয় করতে প্রস্তুত৷''

বিশাল কারখানার প্লান্টগুলিকে আরও পরিবেশবান্ধব করে তুলতে বিশাল ব্যয় হয়৷ এম্সলান্ডের একবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অদূর ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক গ্যাসের বদলে সবুজ হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হতে পারে৷

জার্মানির অন্যতম বড় জ্বালানি কোম্পানি হিসেবে আরডাব্লিউই বিশ্বের অন্যতম বড় উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করছে৷ সবুজ হাইড্রোজেন ব্যবসাবাণিজ্যের নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করছে৷ কল্পের ম্যানেজার হাইকো আইসার্ট জানালেন, ‘‘আমাদের নিজেদের বিশাল ক্যাভার্ন স্টোরেজ থাকায় সত্যি সুবিধা হচ্ছে৷ বায়ুশক্তি দিয়ে তৈরি বিশাল পরিমাণ হাইড্রোজেন সেখানে জমা রাখা যেতে পারে৷ শিল্পক্ষেত্র ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির আধুনিকীকরণের চাহিদা অনুযায়ী সেখান থেকে আমরা হাইড্রোজেন সরবরাহ করতে পারি৷ জমা রাখার সেটাই সুবিধা৷''

অদূর ভবিষ্যতেই গ্রিন হাইড্রোজেন প্রয়োগের সম্ভাবনা সম্পর্কে টিম হুসমান আশাবাদী৷ কারণ প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন প্রণালী কাজে লাগিয়ে সেই উপকরণ সরবরাহ করা যেতে পারে৷ এভাবে দেশের সব প্রান্তে হাইড্রোজেন সরবরাহ করা সম্ভব৷ সমান  কারণে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করেন,যে অনেক ক্ষেত্রেই সবুজ হাইড্রোজেন অপরিহার্য৷ অনেক বছর আগেই এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ শুরু করা উচিত ছিল৷

দেরিতে হলেও এখন পুরোদমে সেই উদ্যোগ শুরু হয়ে গেছে৷ আগামী বছরই প্রথম প্লান্টগুলির কাজ শুরু হবার কথা৷ তখন এম্সলান্ডে হাইড্রোজেন উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে৷

কার্ল হারেনব্রক/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ