শিল্পের সংমিশ্রণে ফ্যাশনের নতুন রূপ
১০ জুন ২০২২ফ্লোরেন্স শহরে মাঝে একটি দৃশ্যকে ঘিরে জোরদার জল্পনাকল্পনা চলছে৷ সেটা যে আসলে কী, মানুষ তা জানতে আগ্রহী৷ সুইডিশ ডিজাইনার বেয়াটে কার্লসসনের সেই সৃষ্টিকর্ম কল্পনা উসকে দেয়৷ যাবতীয় অনুমানের কিছুটা অন্তত সত্য প্রমাণিত হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘পরিধেয় ফ্যাশনের সম্ভাবনা ও লক্ষ্য তুলে ধরতে আমি সীমানা ভাঙার চেষ্টা করি৷ আমি কিন্তু শরীরের পরিচিত অংশ অস্পষ্ট ও অচেনা করে তুলে ইন্টারেস্টিং ও নতুন কিছু সৃষ্টির চেষ্টা করছি না৷’’
আসলে তাঁর সৃষ্টিকর্মের অর্ধেকটা ফ্যাশন, অর্ধেকটা শিল্প৷ প্রথাবিরোধী ও অসাধারণ সেই সৃষ্টি প্রায়ই বিতর্ক সৃষ্টি করে৷ যেমন অতিকায় এক স্যুট অথবা ড্রেস৷ হলুদ রংয়ের এই সৃষ্টি মুরগিছানার নরম পালকের মতো দেখতে৷
তবে জুতাই বেয়াটে কার্লসসনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা৷ সেই জুতা ব্যাঙয়ের পা বা অতিকায় হাতের মতো দেখতে হতে পারে৷ জুতা তাঁর কাছে শুধু জুতা নয়৷ বেয়াটে বলেন, ‘‘আমি অবশ্যই আমার তৈরি প্রাণীগুলিকে এই ব্রহ্মাণ্ডের অংশ মনে করি৷ সেগুলি জীবন্ত হয়ে নড়াচড়া করে, এমনটা ভাবতে আমার ভালো লাগে৷ আমি এমন পণ্যের কথা ভাবি, যেগুলি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বাঁচতে ও হাঁটাহাঁটি করতে পারে৷’’
বেয়াটের তৈরি অন্যতম প্রথম একজোড়া জুতার নাম ‘ক্ল বুটস’৷ এক একটি জুতার ওজন দশ কিলো৷ ডোজা ক্যাট নামের গায়িকা ২০২১ সালের এমটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে সেটি পরার পর শিল্পী হিসেবে বেয়াটের নাম ছড়িয়ে পড়ে৷ তবে সেই জুতা পরে হাঁটাহাঁটি করা সম্ভব নয়৷ মোটেই দৈনন্দিন জীবনের উপযুক্ত নয়৷ বেয়াটে কার্লসসন বলেন, ‘‘নখগুলি অবশ্যই ভাস্কর্যের পথের অংশ৷ আমার মতে, চলতি বছরে আমার জন্য বড় পরিবর্তন এসেছে, কারণ আমি আরও বেশি করে শৈল্পিক ভাস্কর্যভিত্তিক পণ্য নিয়ে কাজ করছি৷ এখন আমরা পরিধানযোগ্যতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছি৷ পরিধানযোগ্যতা ও ভাস্কর্যের ইন্টারসেকশনের মধ্যে প্রবেশ করা বেশ মজার চ্যালেঞ্জ৷’’
বেয়াটে এরই মধ্যে পরের আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন৷ ফ্যাশনের জগতে তাঁর পায়ের ছাপ আগেই থেকে গেছে৷
ক্রিস্টিয়ান ভাইবেসান/এসবি