1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুদের কাছে ‘জবাবদিহি’ করেন মন্ত্রীরা : শারমিন

৫ অক্টোবর ২০১১

আরিফা এস শারমিন৷ বাংলাদেশের অনেক উজ্জ্বল নারীদের মধ্যে একজন৷ পেশায় রেখেছেন নিজস্ব স্বাক্ষর৷ ইউনিসেফের জনসংযোগ আধিকারিক তিনি৷ সেইসঙ্গে সাফল্য তাঁকে ছুঁয়ে আছে ব্যক্তিজীবনেও৷

Caption : Arifa S Sharmin, Communications Manager, UNICEF , Bangladesh. Please include this foto to our system for our use.
আরিফা এস শারমিনছবি: UNICEF Bangladesh

নতুন প্রজন্মের সামনে যাঁর মত মানুষ আলোর দিশারি হতে পারেন, তাঁদেরই একজন আরিফা এস শারমিন৷ ইউনিসেফ বাংলাদেশ-এর কম্যুনিকেশন ম্যানেজার পদে তিনি কাজ করছেন৷ এই পেশায় আসা অবশ্য সাংবাদিকতার হাত ধরেই৷ পড়াশোনা করেছেন, সাংবাদিকতা নিয়ে৷ কিন্তু এই জনসংযোগটাই ছিল শারমিনের পছন্দ৷ বর্তমানে তিনি ইউনিসেফ বাংলাদেশ-এর কম্যুনিকেশন ম্যানেজার পদে রয়েছেন৷

কিন্তু শুধুই চাকরি করে সুখে থাকার মত মানুষ শারমিন নন৷ তাঁর রয়েছে অন্য একটি দিক৷ শিশুদের নিয়ে বিটিভি একটা অন্যজাতের অনুষ্ঠান করে৷ যেটার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন শারমিনও৷ পথশিশু, বা ড্রপ ইন সেন্টারে যেসব শিশু বসবাস করে, তাদের জন্য ইউনিসেফের আয়োজনে একটি টিভি অনুষ্ঠানের যোগাড়যন্ত্র করেন শারমিন৷

ইউনিসেফের লোগোছবি: AP

এই পছন্দের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে শারমিন বললেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশুরা, যাদের অনেকেই আবার শিশু সাংবাদিকতার সঙ্গেও জড়িত, তারা সরাসরি ক্যামেরার সামনে মাননীয় মন্ত্রীদের কিছু প্রশ্ন করে থাকে৷ তাদের পথের ভাষা, যে ভাষায় তারা কথা বলতে স্বচ্ছন্দ, তাতেই তারা কথা বলে৷ মন্ত্রীরা তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন৷ এবং পুরো অনুষ্ঠানটি তেমনভাবে সম্পাদনা না করেই, টিভির পর্দায় দেখানো হয়৷ যার অর্থ, এতে সেই অনুষ্ঠানের নিজস্বতাটি দিব্যি স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে৷ শারমিন-এর বক্তব্য, এই কাজটা করে তিনি অন্তর থেকে একটা আনন্দ পান৷ এবং বলা নিস্প্রয়োজন যে এ ধরণের কাজের মধ্যে দিয়ে সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে সকলের সামনেই৷ অনুষ্ঠানটির নাম ‘আমাদের কথা’৷শিশুদের কাছে এটাকে বাংলাদেশের নেতাদের জবাবদিহি বলে ব্যাখ্যা করছেন শারমিন৷

পরের প্রজন্মের যেসব মেয়েরা এই জনসংযোগের পেশায় আসতে চান, তাদের জন্য শারমিনের পরামর্শ আছে৷ তবে, খুবই ছোট্ট৷ বলতে চান, যে কাজটিই করুন না কেন, নিজের সম্পূর্ণটা দিয়ে তা করতে হবে৷ কোন ফাঁকি যেন সেখানে না থাকে৷ পথ তখন আপনিই খুলে যায় বলে মনে করেন শারমিন৷ যা নিজের ক্ষেত্রেও দেখেছেন তিনি৷

পরিবারে রয়েছে, তাঁর এক পুত্র এবং এক কন্যা৷ স্বামী পেশায় শিক্ষক৷ সঙ্গে থাকেন শারমিনের মা-ও৷ সব মিলিয়ে পরিপূর্ণতার সবগুলি দিক ধরে রেখেছেন শারমিন৷ পেশা এবং পরিবার, দুইদিকেই সমান স্বাচ্ছন্দ্যে৷ সুস্থ সমাজ গঠনের জন্য এমন মানুষদেরই তো চারপাশে আরও বেশি করে প্রয়োজন৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ