1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুর পুষ্টিহীনতা

১০ জুন ২০১৩

মায়ের পেটে থাকতেই খাওয়াতে হয় শিশুকে৷ জানেন? পরেই বা শিশুর পুষ্টি নিয়ে ক’জন বাবা-মা ভাবেন? রাষ্ট্রই বা কতটা সজাগ? কোথাও তেমন ‘বন্ধু’ নেই বলে বিশ্বের সাড়ে ১৬ কোটি শিশুর বিকাশ রুদ্ধ, জীবনে বিপর্যয় নামা শুধু সময়ের ব্যাপার৷

ছবি: ALEXANDER JOE/AFP/Getty Images

অপুষ্টির কুপ্রভাব নিয়ে কথা হয় অনেক৷ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল (ইউনিসেফ)-এর নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক কথায় কথায় দেখালেন ভয়াবহতার বিস্তার কতটা৷ যে শিশুটি মা গর্ভাবস্থায় ভালো খাবার পায়নি বলে মস্তিষ্কেও দুর্বলতা নিয়ে জন্ম নেয় তার অসম্ভব কঠিন এক যুদ্ধ চলে আজীবন৷ কারো কারো জীবনই শেষ হয়ে যায় শুরুতে৷ বিশ্বে এই মুহূর্তে সাড়ে ১৬ কোটি শিশুর শুধু অপুষ্টির কারণেই বিকাশ রুদ্ধ, পাঁচ বছরের কম বয়সে যত শিশু মারা যায় তাদের অর্ধেকের মৃত্যুর কারণ অপুষ্টি৷ হিসেব করলে বছরে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৩১ লক্ষ৷ এত শিশুর অকাল মৃত্যুর একমাত্র কারণ সময়মতো ঠিক খাবারটি না খাওয়া৷

অথচ বেশিরভাগ মানুষই খাদ্যাভাবকে অপুষ্টির কারণ বলে ভুল করেন৷ পরিনাম – চোখের সামনে নিজের শিশুর মৃত্যু কিংবা স্বল্প বিকশিত মেধা এবং অপুষ্ট দেহ নিয়ে, লেখাপড়ায় খারাপ হয়ে, কম আয়ের কাজে প্রাণাতিপাত করে, গরিব হয়ে ধুঁকে ধুঁকে বাঁচতে দেখা৷ খাদ্যের অভাব অনেক দেশের শিশুর জন্যই কোনো সমস্যা নয়৷ ভারতের কথাই ধরুন৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে কত অহঙ্কার৷ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার গর্বও তো আছে৷ অথচ দেশের ৪৮ ভাগ শিশুর বিকাশ ওই একটি কারণেই রুদ্ধ৷ ইয়েমেনের শিশুদের শতকরা ৬০ ভাগই এমন৷ এই শিশুরা হয়ত অকালে মারা যাবে, নয়ত বেঁচে থাকবে অভাবের যন্ত্রণা নিয়ে, দেশও হতে থাকবে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর৷ সুতরাং সমস্যাটা শুধু পরিবারের নয়, রাষ্ট্রের এবং রাষ্ট্র হয়ে বিশ্বেরও৷

পুষ্টিহীনতায় ভোগা এক শিশুছবি: Malcolm Brabant

এমন শিশুদের বিকাশ নিশ্চিত করতে কাজে নামছে ইউনিসেফ৷ শুরুতে কাজ চলবে ২০টি দেশে৷ বেশির ভাগ দেশই এশিয়া এবং আফ্রিকার৷ এই দুই মহাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কারণ জানেন? এ মুহূর্তে অপুষ্টির কারণে বিকাশ রুদ্ধ হয়ে যাওয়া বিশ্বে যত শিশু আছে তার শতকরা ৭০ ভাগই এশিয়া এবং আফ্রিকার৷

আপনার অনাগত সন্তানের সুস্থতা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে? তাহলে স্ত্রীর দিকেও একটু নজর রাখবেন, কারণ, গবেষণা বলছে, প্রথম এক হাজার দিন, অর্থাৎ ভ্রুণাবস্থা থেকেই শিশুর চাই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার৷ তা পেতে হলে মা-কে সুস্থ-সবল থাকতেই হবে৷ সে জন্য তাঁকে দিতে হবে এমন খাবার যা শরীরে ভিটামিন ‘এ', ফলিক অ্যাসিড, জিংক এবং আয়রনের চাহিদা মেটায়৷ শিশুর জন্মের পরও মা-কে কিন্তু সুস্থ থাকতেই হয়৷ দুর্বল শরীর নিয়ে তো তিনি বাচ্চার বুকের দুধের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন না৷ ইউনিসেফ বছরে ৭ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প নিয়ে মাঠে নামবে – খুব ভালো কথা, সেই মাঠের আওতায় আপনার ঘরতো না-ও আসতে পারে!

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ