1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুমনের বিকাশে পাঠক্রম: সংগীত বনাম ধর্মীয় শিক্ষা বিতর্ক

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশ্বের অনেক দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা সমান্তরালভাবে চালু রয়েছে। বাংলাদেশেও স্কুলগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংগীত ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার গুরুত্বও অপরিসীম৷

বাংলাদেশের একটু স্কুলের ক্লাসরুম
"শিশুদের নিজের যত্নের জায়গা থাকা উচিত এবং তা যদি হয় তার স্কুলে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ, তবে তার থেকে ভালো আর কিছু নেই',' বলেন নাদিয়া নাসরিন।ছবি: Habibur Rahman/abaca/picture alliance

বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায়সম্প্রতি সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী ও কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংগীত শিক্ষার গুরুত্ব অস্বীকার শিশুমনের সৃজনশীল বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

বিশ্বের অনেক দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা সমান্তরালভাবে চালু রয়েছে। বাংলাদেশেও স্কুলগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংগীত ও সাংস্কৃতিক শিক্ষারগুরুত্বও অপরিসীম৷

শিশুমনের সার্বিক বিকাশের জন্য এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ, যার মধ্যে থাকে ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম,  বিতর্ক, শরীর চর্চা ইত্যাদি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

এসব কার্যক্রম শিশুর আবেগ, মনোযোগ, সামাজিক দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাঠক্রমে ধর্মীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার সমন্বয় শিশুমনের সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করতে পারে।

মানসিক বিকাশে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির গুরুত্ব

" আগের প্রজন্মের অনেকেই হয়তো শিশুর মানসিক বিকাশের বিষয়টি বুঝতো না বা গুরত্ব দিতো না। কিন্তু এখন অনেকেই বোঝেন। শিশুদের জন্য তাদের পাঠ্যক্রম ছাড়াও যে কোনো ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ, অর্থাৎ ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও আরো কিছু কার্যক্রম চর্চা প্রয়োজন',' ডয়চে ভেলেকে বলেন ব্র্যাক-এর সাইকোলজিস্ট নাদিয়া নাসরিন।

নাদিয়া নাসরিন আরা বলেন, ‘‘শিশুদের ভাব প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম পরীক্ষা বা পড়াশুনা নয় - এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, " শিশুরা মানসিক ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা বা কোনো কিছু প্রকাশের বিভিন্ন ধরণ নিজেই বের করে নিতে পারে, যা সে স্কুলের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ এর মধ্যে পায়। এ ধরনের শিক্ষার মাধ্যমে শিশুর মানসিক সৃজনশীলতা বাড়ে। এছাড়া শিশুরা কোন কোন মাধ্যমে সৃজনশীল বোঝা যায় এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ শিক্ষার মাধ্যমে।”

‘‘শিশুরা সৃজনশীল যে কোনো কাজই তাদের ভালো লাগা থেকে করে। আর যে কাজগুলো করলে খুব ভালো লাগে বা আনন্দ অনুভব হয়- সে কাজের পরে শরীরে ডোপামিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই আনন্দের হরমোন নিঃসৃত হলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এ ধরনের চর্চা শিশুদের ভিন্নদিক দিয়ে চিন্তা করার যোগ্যতাও তৈরি করে।''

বিষণ্ণতায় ভোগা মানসিক সহায়তার জন্য আসা রোগীদের সম্পর্কে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নাদিয়া নাসরিন বলেন, "এমন অনেকে আসেন, যারা হয়তো ছোট বেলায় গান করতে বা নাচ করতেন, কিন্তু পারিবারিক বা অন্য চাপে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। এটি তাদের বিষণ্ণতার একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাদের বিষণ্ণতা দূর করতে এ ধরনের সৃজনশীল কাজে আবার ফিরে যেতে পরামর্শ দেই। কারণ, এটি প্রমাণিত যে, আনন্দ দেয় এমন সৃজনশীল চর্চা মানসিক বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে।”

শিশুদের ক্ষেত্রে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ শিক্ষাকে সেলফ কেয়ার বা নিজের যত্নের একটি সময় বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে, "শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ ও এখানের পরিবেশ একেবারেই আলাদা, যা শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক।”

মা-বাবার সাথে ‘অমসৃণ' সম্পর্ক, যোগাযোগের অভাব, শিশুর উপর কর্তৃত্ব বা শাসন ইত্যাদি কারণে শিশুরা বেশি মানসিক সমস্যায় ভোগে। এমন অবস্থায় স্কুলে নিজের যত্নের সময় ও ভালো লাগা প্রকাশের চর্চা তার জন্য উপকারী হবে উল্লেখ করে "শিশুদের নিজের যত্নের জায়গা থাকা উচিত এবং তা যদি হয় তার স্কুলে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ, তবে তার থেকে ভালো আর কিছু নেই',' বলেন নাদিয়া নাসরিন।

শিশুমনের সার্বিক বিকাশের জন্য এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ, যার মধ্যে থাকে ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম,  বিতর্ক, শরীর চর্চা ইত্যাদি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এসব কার্যক্রম শিশুর আবেগ, মনোযোগ, সামাজিক দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পাঠক্রমে ধর্মীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার সমন্বয় শিশুমনের সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করতে পারে।ছবি: Mortuza Rashed/DW

ধর্মীয় ও সংগীত শিক্ষার সমন্বয়

অ্যানুয়েল প্রাইমারি স্কুল সেনসাস (এপিএসসি) বা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক গণনার ২০২২ সালের হিসাব বলছে, বাংলাদেশের প্রায় ৬৫,৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রায় সকল বিদ্যালয়েই ধর্মীয় শিক্ষা মূল শিক্ষাক্রমের অংশ, যা শিশুদের নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক আচরণ গড়ে তোলার জন্য পড়ানো হয়।

শিশুদের নৈতিক বিকাশ ও সমাজ সচেতনতা বাড়াতে ধর্মীয় শিক্ষা অপরিহার্য। তবে একমাত্র ধর্মীয় শিক্ষায় মনোনিবেশ করলে কি শিশুমনের সৃজনশীলতা ও মানসিক বিকাশে সীমাবদ্ধতা আসে? অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সংগীত, নাটক, চিত্রকলা এবং ক্রীড়া কার্যক্রমও পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘাটতি দেখা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইম রানা ডয়চে ভেলেকে বলেন, " সরকারি, বেসরকারি স্কুলগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা কিন্তু কোনো দিনই বন্ধ ছিল না এবং ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাংলাদেশে বহু আগে থেকে রয়েছে। সে তুলনায় বরং সংগীত বিষয়ক শিক্ষকের সংখ্যা খুবই সামান্য। প্রাইমারি স্কুলে সরাসরি সংগীত বিষয়ক শিক্ষকের নিয়োগের পদও ছিল না। ”

ধর্মীয় শিক্ষা বা নৈতিক শিক্ষার দরকার আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "নৈতিক শিক্ষা কিন্তু দর্শন থেকেও আসে, শিল্প থেকে আসে, সংগীত থেকেও আসে, আবার ইতিহাস থেকেও আসে। শুধু ধর্মীয় শিক্ষাই নৈতিক শিক্ষা নয়। ধর্মের সাথে রাজনীতি, সংস্কৃতি ও অন্য সব কিছুর সম্পর্ক আছে। তাই শিশুকে সব কিছুই জানতে হবে।”

" সারা দেশের স্কুলগুলোর বর্তমান অবস্থা দেখলে বোঝা যায় সংগীতের শিক্ষক ও শিক্ষার বিষয়টি কিন্তু অপশনাল বা ঐচ্ছিক অবস্থায় আছে, অর্থাৎ, এটি বাধ্যতামূলক নয়। অপরদিকে ধর্মীয় শিক্ষা কিন্তু বাধ্যতামূলকই।”

বর্তমানে সমাজে সংগীত বিকাশ না হওয়ার কারণ হিসেবে সাইম রানা সংগীতকে শিক্ষার আওয়তায় না আনার কথা উল্লেখ করেন।

" সংগীতকে একটি বিনোদন বা শুধুমাত্র গুণ হিসেবে দেখা হয়, তাই সংগীতের প্রকৃত শিক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। আর প্রকৃত শিক্ষার সাথে ধর্মের কোথাও কোনো বাধা নেই। ইতিহাস বা সংগীতের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে ধর্ম ও সংগীত এই বিষয় দুইটি একে অপরের সাথে জড়িত। মুসলিম রাজ দরবারেও সংগীতের স্থান ছিল, সুফি, উচ্চতর ধর্মীয় চিন্তানায়ক, অলি আওলিয়া যারা এখানে ধর্ম প্রচারে এসেছেন, তারা কিন্তু সংগীতকে নিয়েই ধর্ম প্রচার করেছেন। ধর্ম এবং সংগীত আসলে সম্পূরক শিক্ষা।”

সংগীতের মাধ্যমে নৈতিক স্খলনের তথাকথিত অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, " এই বিষয়টি আসলে বরং বিপরীত। সংগীতের চর্চার অভাবে নৈতিকতার জায়গা থেকে শিশুদের মানসিক বিকাশ ও উন্নতি হবে না। এমনকি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও সংগীত মানুষের চিন্তা ও চিত্তের বিকাশকে যতটা দৃঢ় করে, সেটা একজন প্রাইমারি শিক্ষার্থীসহ সকলের জন্যই প্রয়োজন।”

ভারতের যে সরকারি স্কুল সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষায় এগিয়ে

03:14

This browser does not support the video element.

কেমন হওয়া উচিত আদর্শ পাঠক্রম?

এই সময়ে এসে পাঠক্রমকে আরো বিজ্ঞানভিত্তিক করা উচিত বলে মনে করেন সাইম রানা।

তার মতে "শুধুমাত্র গান করাটাইসংগীতের কারিকুলাম হতে পারে না।” বরং এরসঙ্গে আরো কিছু বিষয় যুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।

" সংগীতের ইতিহাস, তত্ত্ব পালাক্রমে কারিকুলামের সাথে যুক্ত করতে পারলে বোঝা যাবে, যারা বিরোধিতা করছেন তারা আসলে কোন অর্থে বিরোধিতা করছেন এবং আসল বাস্তবতা কী৷ সঠিক সমন্বয়ে বিরোধীরাও সম্মতি জানাবেন বলে মনে করি।”

অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তনের সংগীত শিক্ষক লায়েকা বশীর ডয়চে ভেলেকে বলেন, " বিশ্বায়নের এই সময়ে আদর্শ পাঠ্যক্রমে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ, যেখানে গান নাচ, কবিতা, খেলাধুলা, ধর্মীয় শিক্ষা ও একটি সম্মিলিত নৈতিক শিক্ষা থাকা উচিত, যেখানে শিশুরা আনন্দের সাথে শিখতে পারবে। স্কুলগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা সব সময়েই ছিল এবং সামনেও থাকতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রতিটি ধর্মের শিশুদের জন্যই ধর্মীয় শিক্ষক থাকা উচিত। শুধুমাত্র মুসলিম, কিংবা হিন্দু নয়, বরং বৌদ্ধ ,খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মের শিশুদের জন্যও এই ব্যবস্থা রাখা উচিত।”

এমন পাঠক্রম দেশের মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইম রানা বলেন, "মাদ্রাসা শিক্ষা অনেকটাই বিশেষায়িত শিক্ষা। এই বিশেষায়িত শিক্ষায় সংগীতকে যুক্ত করা কিছুটা কঠিন হতে পারে। তবে সুর সাধনা বা সংগীত সাধনা সবার জন্যই প্রয়োজন। আমার অনেক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আছেন, যারা অসাধারণ গান করেন। তারা হয়তো পরিবারের বা ব্যক্তিগতভাবেই চর্চা করছেন। তাদের কিন্তু সমস্যা হচ্ছে না। ধর্মীয় শিক্ষাও যদি আরো সুরেলা করে তুলতে হয়, যেমন কুরআন তিলওয়াত, আজান, গজল, হামদ নাথসহ আরো অন্যান্য মাধ্যমের সাথে সুরের সম্পর্ক আছে। অন্ততপক্ষে এটুকু মাদ্রাসা শিক্ষায় থাকা প্রয়োজন।”

এর জন্য একটি সুনিদিষ্ট কালিকুলাম থাকতে পারে বলে মনে করেন এই সাইম রানা। তিনি বলেন, " পাশাপশি যদি আরো কিছু সুর-চর্চা হয় এবং সংগীতের সঠিক ইতিহাস পড়লে কিন্তু তারা সুবিবেচনা করতে পারবে। কিন্তু বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থায় তারা কতটুকু গ্রহণ করবেন বা বর্জন করবেন, সেটা একান্ত নিজস্ব ব্যাপার।”

গান দিয়ে সমাজের বেড়াজাল ভাঙছে দিল্লির শিশুরা

03:54

This browser does not support the video element.

বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ

শিশুদের সৃজনশীল বিকাশে ক্রীড়া, সংগীত, নাটক বা চিত্রাঙ্কনের মতো কার্যক্রম অপরিহার্য হলেও এগুলো বাস্তবায়নে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। শিক্ষক সংকট একটি বড় সমস্যা। সংগীত শিক্ষকের ঘাটতির কারণে শিশুদের হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পাওয়া কঠিন হবে।

শিক্ষক লায়েকা বশীর বলেন, "অনেক এলাকায় শিক্ষক থাকলেও, কিছু এলাকায় একেবারেই নেই। তাই সব স্কুলে সংগীত শিক্ষকের জোগান দেওয়া কঠিন হতে পারে। সংগীত চর্চা বাড়ানো, সংগীত চর্চার পরিবেশ ধরে রাখা ও সামাজিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা বড় একটি চ্যালেঞ্জ হবে।”  

লায়েকা বশীর মনে করেন, সংগীত চর্চার প্রতি সামাজিক চাপ আসছে কিছু মানুষের বিরূপ মানসিকতার কারণে। " ছায়ানটের সংগীত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইসলাম ধর্মের যারা আছেন, তাদের সংখ্যা হিন্দু বা অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের তুলনায়উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে” বলে জানান তিনি।

" বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা সংগীত বিষয়ে সচেতন আছেন বা চর্চা করেন, তাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। সংগীত টিকিয়ে রাখতে চর্চার সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং দায়িত্ব বাড়াতে হবে” বলে মত দেন তিনি।

সাইম রানা বলেন,  " অধিকাংশ মানুষ, যারা ধর্মের প্রতি মানসিকভাবে দৃঢ়, তারা একই সাথে সংগীতের প্রতি আস্থাশীল। এই ধরনের মানুষের সংখ্যাই বেশি।”

তিনি মনে করেন, ‘‘যারা সংগীতকে নিষিদ্ধ বা এ বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করতে চান, তাদের এক ধরনের দর্শন আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এই দর্শনকেই বেশি প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু সব মিলিয়ে দেখা যাবে এদের সংখ্যা খুব বেশি নয়।'' হিসেব করলে সংগীত চর্চার পক্ষের মানুষের সংখ্যা বেশি হবে বলে মনে করেন তিনি। 

বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ কমাতে সংগীত বিশেষজ্ঞদের অনেক করণীয় আছে - এমনটিই বলছেন সাইম রানা।

"যারা বরোধিতা করছেন, তারা যেমন তাদের মতবাদ ব্যাখ্যা করছেন, সংগীত বিশেষজ্ঞদেরও তাদের মতামত ব্যাখ্যা করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে এক সঙ্গে আলোচনার বসা যেতে পারে। কারণ, ধর্ম ও সংগীতের মধ্যে আসলে কোনো বিরোধ নেই।”

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ