শিশুর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন কমছে না বাংলাদেশে৷ বরং শিশু হত্যাসহ ধর্ষণ, বলাৎকার এবং শ্লীলতাহানির ঘটনা যেন বেড়ে চলেছে৷ সহিংসতার শিকার এই শিশুদের বড় অংশই নিম্নবিত্ত পরিবারের অথবা গৃহকর্মী৷
বিজ্ঞাপন
সিলেটে সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ এছাড়া আগেই গ্রেপ্তার চৌকিদার ময়না মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত৷ চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের বা ডিবি-র হাতে৷
ওদিকে রাজন হত্যার নির্মম ভিডিও প্রকাশের পর, এবার অন্য আর একজন শিশুকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে৷ এ ঘটনা ঘটেছে খোদ রাজধানী ঢাকার ক্ষিলখেত এলাকায়৷ শিশুটিকে পিটিয়ে বালু নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছিল বলে খবর৷ এর তিনদিন পরে তার লাশ ভেসে ওঠে৷ কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে নাজিমুদ্দিন (১৫) নামের শিশুটিকে মাস তিনেক আগে পিটিয়ে হত্যার দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করা হয়, যা এখন প্রকাশ পেয়েছে৷
যশোরে গত ১৯শে মে লাদেন (৯) নামের এক শিশুকে এ রকমই চুরির অপবাদ দিয়ে শিকলে বেঁধে ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয় কয়েকদিন৷ তার ওপর সেখানে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়৷ পরে অবশ্য পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে৷
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিন বছরে এক হাজার ৭৩০টি শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে বংলাদেশে৷ তবে কতজন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তার হিসেব এই মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই৷
তবে ব়্যাব-এর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, গত বছরের তিন মাসে সারাদেশে শতাধিক শিশু হত্যার শিকার হয়েছে৷ এর মধ্যে গত আগস্ট মাসে ৩৫, সেপ্টেম্বরে ৪০, অক্টোবর মাসে ২৫ জন শিশু হত্যার তথ্য জানায় ব়্যাব৷ ব়্যাব-এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নিহত শিশুদের একাংশ ধর্ষণ ও বলাৎকারের শিকার হয়েছে৷'' তাঁর কথায়, ‘‘এরা মূলত পারিবারিক কলহ, মুক্তিপন আদায় এবং চুরিসহ নানা অপবাদে হত্যার শিকার হয়৷''
শিশুদের বিষণ্ণতার ৬টি কারণ
বিষণ্ণতা কিশোর-কিশোরীদের আত্মহননের পথেও ঠেলে দেয়৷ তাই সন্তানকে শুধু ভালোবাসলেই চলবে না, খেয়াল রাখতে হবে বিষণ্ণতায় ডুবে যাওয়ার মতো কারণ থেকেও তাদের যাতে দূরে রাখা যায়৷ ছবিঘরে থাকছে শিশুদের বিষণ্ণতার কিছু কারণ৷
ছবি: Fotolia/Nicole Effinger
অতিরিক্ত প্রত্যাশার চাপ
বাংলাদেশে পরীক্ষায় ভালো না করায় কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনা প্রতি বছরই ঘটে৷ বাবা-মা, পরিবার, সমাজ অনেকক্ষেত্রেই বোঝে যে ছোটদের খুব চাপে ফেলা মানে বিপদ বাড়ানো৷ লেখাপড়া, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড – সব জায়গাতেই তীব্র প্রতিযোগিতা৷ অনেক সময় প্রত্যাশার চাপে শিশুরা দিশেহারা হয়ে পড়ে৷ বিষণ্ণতা গ্রাস করে তাদের৷ বয়ঃসন্ধিকালে এ অবস্থায় অনেকে এমন চাপ থেকে মুক্তির পথ খোঁজে আত্মহত্যায়৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel
ভাঙা পরিবার
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ সন্তানের জন্য খুব বড় আঘাত৷ এই আঘাত তাদের জীবনযাপন, আচার-আচরণ সবকিছুতেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে৷ ‘ম্যারিজ অ্যান্ড ফ্যামিলি’ জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক নিবন্ধ বলছে, ডিভোর্সি বাবা-মায়ের সন্তানদের অবসাদগ্রস্থ হওয়া এবং আত্মহত্যার ঝুঁকি অনেক বেশি৷
ছবি: goodluz - Fotolia
কম খেলাধুলা
শিশুদের সুস্থ জীবনের জন্য খেলাধুলা খুবই দরকার৷ খেলাধুলা বেড়ে ওঠা, মেধার বিকাশ, শেখার আগ্রহ এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ানো – বলতে গেলে স্বাভাবিক জীবনের জন্য অপরিহার্য অনেক গুণ তৈরিতেই বড় ভূমিকা রাখে৷ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পেটার গ্রে জানিয়েছেন, যেসব শিশু খেলাধুলা কম করে তারা দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো সমস্যা সমাধানেও বহুক্ষেত্রে কম দক্ষ হয়৷ বিষয়টি তাদের একসময় হতাশাগ্রস্ত করে আর হতাশা ডেকে আনে বিষাদ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Schlesinger
ইলেক্ট্রনিক গেমের নেশা
আপনার সন্তান খুব বেশি কম্পিউটার গেম খেলে? কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট হাতে পেলেই গেম খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে? তাহলে সন্তানকে একটু সময় দিন৷ অ্যামেরিকান জার্নাল অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেডিসিন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেসব শিশু দিনে পাঁচ ঘণ্টা বা তার বেশি গেম খেলে, তারা অবসাদগ্রস্তও হয় বেশি৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, দীর্ঘদিন সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি গেম খেললে শিশুদের মস্তিষ্কের কোষ সংকুচিত হতে শুরু করে৷
ছবি: dpa
বেশি চিনি খাওয়া
ব্রিটিশ মনস্তত্ত্ববিদ ম্যালকম পিট গবেষণা করে দেখেছেন, বেশি চিনি, কেক, মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং কার্বোনেটেড পানীয় বেশি পান করার অভ্যাসও অনেক সময় শিশুদের অবসাদগ্রস্ত করে৷ চিনি বেশি খেলে মস্তিষ্কে বৃ্দ্ধি হরমোনের কার্যক্রমেও সমস্যা তৈরি করে৷
ছবি: Colourbox
বেশি অ্যান্টিবায়োটিক
বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো অনেক কারণেই খারাপ৷ বেশি অ্যান্টিবায়োটিকও শিশুদের মনস্তত্ত্বে কুপ্রভাব ফেলে৷ ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা কিছু ইঁদুরের দেহে দীর্ঘদিন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. May
6 ছবি1 | 6
শিশু নির্যাতন ও হত্যার আরেকটি চিত্র পাওয়া যায় গৃহকর্মী নির্যাতন ও হত্যার চিত্র দিয়ে৷ এর কারণ, গৃহকর্মীদের ২৫ ভাগেরও বেশি শিশু৷ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব মতে, ২০১৩ সালে অন্তত ১০০ জন গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ এঁদের মধ্যে ৩৮ জন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ২০ জনের বয়স ৭-১২ বছরের মধ্যে৷ শারীরিক নির্যাতনের পর মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের৷ অন্যান্য নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের৷ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৩ জনকে৷ আত্মহত্যা করেছেন ৮ জন এবং গর্ভপাতকালে মৃত্যু হয় একজনের৷ এছাড়া পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের শেষ চারমাসে ১০৭ জন গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেন৷ যদি বর্তমান আইন অনুযায়ী ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু হিসাব করা হয়, তাহলে শিশু গৃহকর্মীর সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগের বেশি হবে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান মানবাধিকার নেত্রী এলিনা খান৷
সিলেটে নিহত শিশু রাজনকে বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে৷ তাঁর বাবা আজিজুর রহমান আলম এই অভিযোগ করেছেন৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, ঘটনার রাতে স্থানীয় থানা থেকে তার মামলা নেওয়া হয়নি৷ বরং উল্টে তাকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এসআই আমিরুল৷ সে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সমঝোতার চেষ্টা করে৷
দুর্ঘটনা থেকে শিশুদের যেভাবে বাঁচাবেন...
বাংলাদেশের মতো অনেক দেশেই সড়ক দুর্ঘটনার হার খুব বেশি৷ দুর্ঘটনায় অনেক শিশুও মারা যায়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) পথদুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর হার নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ শিশুদের বাঁচানোর কিছু উপায়ও জানিয়েছে সংস্থাটি৷
নজর রাখুন
রাস্তার কাছে কোনো শিশু দেখলে তাঁর দিকে বড়দের নজর রাখা উচিত৷ শিশুরা অবুঝ বলেই অনেক সময় ব্যস্ত রাস্তাও পার হতে যায়৷ এ কারণে অনেক শিশু মারাও যায়৷ ডাব্লিউএইচও বলছে, বড়রা সতর্ক হলে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শিশুদের রক্ষা করা সম্ভব৷
ছবি: Colourbox/D. Pereiras
ধীরে চলুন
যানবাহন বেশি দ্রুত চালালে দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ে৷ তাই নিয়ন্ত্রিত গতিতে চালানো সবার জন্যই মঙ্গলজনক৷ শিশুদের জন্য তা আরো বেশি দরকার৷ দ্রুত চালালে কোনো শিশু যদি হঠাৎ গাড়ির সামনে চলে আসে, চালক চট করে গাড়ি থামাবেন কী করে!
ছবি: picture-alliance/dpa
মদ্যপান করে রাস্তায় নয়...
মদ্যপান করে গাড়ি চালালে চালক গাড়ির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না৷ তাই বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মদ্যপান করে গাড়ি চালানো আইনত দণ্ডনীয়৷ তারপরও অনেকেই মাতাল অবস্থাতেও গাড়ি চালান৷ শিশুদের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সবার প্রতি মদ্যপান না করে গাড়ি চালানোর অনুরোধও জানিয়েছে ডাব্লিউএইচও৷
ছবি: picture-alliance/CPA Media/Pictures From History
হেলমেটে সুরক্ষা
শুধু মোটর সাইকেলে নয়, শিশুদেরকে বাইসাইকেলেও হেলমেট ব্যবহার করতে বলেছে ডাব্লিউএইচও৷ শিশুদের মাথা বড়দের চেয়ে অনেক নরম৷ তাই সব অবস্থাতেই তাদের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Felix Kästle
শিশুদের শেখানো
পথে নামলে কী কী দিকে খেয়াল রাখতে হয়, তা শিশু যত তাড়াতাড়ি শিখবে ততই ভালো৷ বিশেষ করে শিশু যেন রাস্তার কোনদিক থেকে যানবাহন আসছে তা দেখতে শেখে এবং রাস্তা ফাঁকা না হলে পার হওয়ার চেষ্টা না করে – এইটুকু সব বাবা-মা, আত্মীয়স্বজনেরই শিশুদের জরুরি ভিত্তিতে শেখানো উচিত৷
ছবি: picture-alliance/Markus C. Hurek
সড়কের সার্বিক উন্নয়ন
রাস্তাঘাট ভালো না হলেও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে৷ তাই রাস্তাঘাট ভালো করাটা দুর্ঘটনার রোধের খুব গুরুত্বপূর্ণ উপায়৷ তাছাড়া প্রতিটি রাস্তায় সতর্কতা সংকেত, রাস্তা পারাপারের চিহ্ন, জেব্রা ক্রসিং – এ সব থাকা জরুরি৷ শিশুদের জন্য চিহ্নগুলো বেশি দরকার, কেননা, ছবি দেখে তারা যেমন সব কিছু দ্রুত শিখতে পারে, সেভাবে নানা রংয়ের সংকেত দেখেও নিজেকে নিরাপদ রাখতে শেখে শিশুরা৷
ছবি: picture-alliance/AP/V.R. Caivano
উপযুক্ত চালক
যানবাহন চালানো খুব দায়িত্বশীল কাজ৷ একজন চালকের ওপর অনেকের জীবন নির্ভরশীল৷ তাই অবশ্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেই যানবাহন চালানোর সুযোগ দিতে বলেছে ডাব্লিউএইচও৷ এর সঙ্গে মানবিক শিক্ষার ওপরও জোর দিতে বলা হয়েছে৷ নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনের গুরুত্ব না বুঝলে লাইসেন্সধারী চালকও তো কারো জন্য নিরাপদ নয়!
ছবি: Nobilior/Fotolia
দ্রুত চিকিৎসা
সড়ক দুর্ঘটনার পর খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় না বলেও অনেক শিশু মারা যায়৷ তাই রাস্তার কাছেই প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা এবং শিশুদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল বাড়ানোর দিকে প্রতিটি দেশকে নজর দিতে বলেছে ডাব্লিউএইচও৷
8 ছবি1 | 8
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এসআই আমিরুলকে ‘ক্লোজড' করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে৷'' বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘এই অভিযোগেরও তদন্ত হচ্ছে৷ তবে এখনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷''
তিনি জানান, ‘‘রাজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কামরুল-মুহিতের আরেক সহোদর দুলালকেও বুধবার আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী৷''
মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট এলিনা খান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমাদের রাষ্ট্র এবং সমাজে শিশু ও নারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে, কারণ তারা দুর্বল৷ তাই তারা সহিংসতার শিকার হয় বেশি৷ শিশুদেরও নানা কাজে বাধ্য করা হয়৷ এতে তারা রাজি না হলে তাদের নির্যাতন ও হত্যা করা হয়৷ বিশেষ করে গরিব ও নিম্নবিত্ত পরিবারে শিশুরা সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়৷''
তিনি বলেন, ‘‘আইনে এখন ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু৷ ৯ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু কোনো অপরাধই করতে পারে না৷ আমাদের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে শিশুদের বড় একটি অংশকে কাজ করতে হয়, বাইরে বের হতে হয় একা একা৷ বলা বাহুল্য, শিশুরা দুর্বল বলে অপরাধীদের সহজ টার্গেটে পরিণত হয় তারা৷''