‘‘আগে শিশুদের স্কুলে বেত দিয়ে পেটানো হতো৷ কান ধরে উঠ-বস করানো হতো৷ আজকাল এমন শাস্তি না দেয়া হলেও, তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ৩৯টি বই ধরিয়ে দেয়া হয়েছে সম্প্রতি৷ এটা কিন্তু শারীরিক শাস্তির চেয়ে কোনো অংশে কম নয়৷''
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এ কথাগুলো বলেছেন এমরানুল হক চৌধুরী৷ বাংলাদেশে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা ২৬৩টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ফোরামের নাম ‘বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম'৷ এমরানুল হক চৌধুরী সেই ফোরামেরই চেয়ারপার্সন৷
ডয়চে ভেলে: স্কুলে তো এখন সব ধরনের শাস্তিই নিষিদ্ধ৷ তারপরও এই মুহূর্তে বাংলাদেশে পরিস্থিতি কেমন?
এমরানুল হক চৌধুরী: আমরা যদি তুলনা করি, ১৫ বছর আগে বাংলাদেশে শিশুদের শারীরিক নির্যাতন আর এখনকার শারীরিক নির্যাতন, তাহলে দেখা যাবে যে এখন শাস্তির ধরনটা পাল্টে গেছে৷ আগে স্কুলে সাধারণত যে ধরনের শারীরিক নির্যাতন করা হতো, সেগুলো হলো – বেত দিয়ে মারা, কান ধরে উঠ-বস করানো, থাপ্পর দেয়া অথবা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা৷ শিক্ষক তাঁর পাঠদানের পাশাপাশি শাস্তি দেয়াটাকেও একটা কাজ হিসেবে নিতেন৷ তখন প্রত্যেক স্কুলে বেত কেনার জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ দেয়া হতো৷ এখন এই বিষয়টা নেই৷ কিন্তু নির্যাতনটা অন্যভাবে বেড়ে গেছে৷ আমরা যদি আজকের শিক্ষা ব্যবস্থার দিতে তাকাই, তাহলে দেখা যাবে সাড়ে ৩ বছরের একটি শিশুকে কিন্ডারগার্ডেনে ভর্তি করা হচ্ছে আথবা ক্লাস টু-থ্রিতে বইয়ের যে বহর...৷ আমাকে ক্লাস থ্রি-র একটি শিশু বলেছিল যে, তার ৩৯টা বই৷ এখন সেই শিশুটিকে যদি ৩৯টা বই পড়তে হয়, তাহলে এটা তো এক ধরনের নির্যাতন৷ মানসিক নির্যাতন তো বটেই, শারীরিক নির্যাতনও৷ এই বইগুলো যদি তাকে রপ্ত করতে হয়, তাহলে সে শারীরিকভাবে দূর্বল হয়ে যাবে৷ তাই আমি বলবো, স্কুল বা পাঠশালাতে নির্যাতনের ধরনটা বদলেছে, কিন্তু নির্যাতন কমেনি৷
এমরানুল হক চৌধুরী
আপনাদের যে শিশু অধিকার ফোরাম, সেখান থেকে আপনারা এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেন বা কাজ করেন? আসলে আপনাদের ভূমিকাটা কী রকম?
আমাদের শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য যারা, তারা শিশু নির্যাতন বন্ধের জন্য অনেক ধরনের কাজ করেন৷ বড় ধরনের কিছু হলে আমরা ‘ক্যাম্পেইন' করি৷ মানে ‘অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন'৷ সেখানে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে সম্পৃক্ত করা হয়৷ বছরের বিভিন্ন দিনে জনগণকে শিশু নির্যাতন বিষয়ে জানানো, শিশু নির্যাতন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কী ধরনের ‘পলিসি', শিশু নির্যাতন বন্ধের জন্য কী ধরনের আইন রয়েছে দেশে, আন্তর্জাতিক আইনগুলোই বা কী কী, এ বিষয়ে কনভেনশনগুলো কী রয়েছে – এ সব সম্পর্কে সেমিনার সভার আয়োজনো করে থাকি আমরা৷ একেবারে গ্রামে-গঞ্জে আমাদের সদস্যরা কাজ করেন৷ এছাড়াও আমরা সমাজের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দকে নিয়ে নানারকম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাই৷ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসি, তথ্যগুলো তাঁদের সরবরাহ করি৷ কিভাবে নির্যাতন হচ্ছে, গোটা বাংলাদেশের শিশু নির্যাতনের প্রতিচ্ছবি আমরা প্রতি মাসে সরকারের ‘পলিসি মেকার' যাঁরা বা তার সঙ্গে সম্পৃক্ত যাঁরা, তাঁদের কাছে নিয়ে যাই৷
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে প্রণীত শিশু আইন অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকলকে শিশু বলে গণ্য করা হয়৷ শিশুদের নিয়ে ছবিঘরে থাকছে এমন কিছু তথ্য, যা পড়ে আপনার মন খারাপ হতে বাধ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সাত মাসে ৬১ গণধর্ষণ
শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন ২৬৭টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম’ এর হিসেবে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ৬১টি শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে৷ সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই তথ্য জানায় ফোরামটি৷ একই সময়ে ধর্ষণ, উত্ত্যক্তসহ যৌন সহিংসতার শিকার হয় ৩৪৭টি শিশু৷ এর মধ্যে চারটি ছেলেশিশুও রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
বয়স ১৫ হওয়ার আগেই বিয়ে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে ২৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৫ পার হওয়ার আগে৷ আর ৬৫ শতাংশের বিয়ে হয় বয়স ১৮ পার হওয়ার আগে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত৷ এর মধ্যে প্রায় ১৭ লাখেরও বেশি শিশুর বাস খোদ ঢাকা শহরে৷ বাংলাদেশ সরকার ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি কাজে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করলেও আদতে তা মানা হচ্ছে না৷ সরকারিভাবে নেই কোনো নজরদারির ব্যবস্থা৷
ছবি: Mustafiz Mamun
কিশোর অপরাধী
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর কমপক্ষে দুই হাজার শিশুকে নানা অপরাধে আটক করা হয়৷ শিশু অধিকার ফোরামের হিসেবে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২৭৬ জন শিশুকে অস্ত্র ও মাদক বহনসহ নানা অভিযোগে আটক করা হয়৷
ছবি: bilderbox
মাত্র তিনটি
আইন অনুযায়ী শিশু-কিশোর অপরাধীদের বিচার করা হয় কিশোর আদালতে৷ এরপর বিচার শেষে শাস্তি ভোগের জন্য তাদের শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর কথা৷ কিন্তু বাংলাদেশে এমন কেন্দ্র আছে মাত্র তিনটি৷ গাজীপুরে দু’টি এবং যশোরে একটি৷ এর মধ্যে গাজীপুরের একটি মেয়েদের জন্য৷ সব মিলিয়ে এই তিনটির ধারণ ক্ষমতা ৬০০৷ অর্থাৎ আটক শিশুদের বড় একটি অংশের জায়গা উন্নয়ন কেন্দ্রে হয় না৷ ফলে তাদের কারাগারে থাকতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
5 ছবি1 | 5
শিশু নির্যাতিত হলে তো আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে৷ সেক্ষেত্রে আপনারা কি আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন?
আমরা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি৷ এই মুহূর্তে হয়ত সংখ্যাটা বলতে পারব না৷ তবে মূলত আমরা দু'টি জিনিস করি৷ কোনো জায়গায় যদি শিশু নির্যাতন হয়, আমাদের সদস্য সংগঠনের লোকজন তখন সেখানে চলে যায়৷ যেমন যখন রাজন বা রাকিব হত্যাকাণ্ড হলো, তখন সেখানে আমাদের সদস্য সংগঠনগুলো সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে৷ তারা ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কিন্তু লেগে ছিল৷ দ্বিতীয়ত, আমাদের সদস্য সংগঠনগুলো তাদের নিজ নিজ এলাকায় প্রতিনিয়ত ‘মনিটরিং' করছে৷ তারা সেগুলো লিপিবদ্ধ করে আমাদের হেডকোয়ার্টারে পাঠায়৷ এছাড়া আইনগত ক্ষেত্রে আমরা যেটা করি, সেটা হলো আমরা পুলিশকে অবহিত করি৷ প্রয়োজনে যারা নির্যাতন করছে তাদের পুলিশের কাছে নিয়ে যাই৷ অনেকক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ কিছু সংস্থা আছে, যারা বিনা পয়সায় আইনগত সহায়তাও দেয়৷ তাছাড়া সরকারের একটি ফান্ডও আছে৷ আমরা ডিসিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গরিব মা-বাবার শিশু হলে তাদেরও সহায়তা দেই৷
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া বা তাদের উদ্বুদ্ধ করা – এই ধরনের কোনো কর্মসূচি কি আপনাদের পক্ষ থেকে নেয়া হয়?
হ্যাঁ, এ ধরনের কর্মসূচিও আমাদের আছে৷ শিশুদের স্কুলে ‘কর্পোরাল পানিশমেন্ট' দেয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের ‘ডাইরেকটিভ' আছে৷ এই ‘ডাইরেকটিভ'-এর কপি আমরা বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় গোটা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি স্কুলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছি৷ ‘ডাইরেকটিভ'-এ স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, শিশুদের ‘কর্পোরাল পানিশমেন্ট' শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷
প্রিয় পাঠক, আপনি কি মনে করেন মারধর করে সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়? আপনার উত্তর জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে...
দেশে দেশে, ক্লাসে ক্লাসে
স্কুলের ক্লাসরুম বলতে সব কিছু বোঝায়৷ এক কথায়, ছাত্রছাত্রীরা যেখানে বসে পড়াশুনো করে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের দেখাশুনো করেন, সেটাই হলো ক্লাসরুম৷
ছবি: Reuters/I. Alvarado
আফগানিস্তান: প্রগতি
মহাজেরা আর্মানি উত্তর আফগানিস্তানের জালালবাদের কাছে একটি মেয়েদের ক্লাসের শিক্ষিকা৷ ২০০১ সালে তালেবান জঙ্গিরা বিতাড়িত হওয়ার আগে এই অঞ্চলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়াই বারণ ছিল৷ আজ মেয়েদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ নিয়মিতভাবে স্কুলে যায়৷
ছবি: Reuters/Parwiz
জাপান: ডিসিপ্লিন
টোকিও-র তাকিনাগাওয়া প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়ারা দুপুরে খেতে বসেছে৷ জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বসেরাদের মধ্যে গণ্য৷ পিসা-র জরিপে জাপান নিয়মিতভাবে প্রথম দশটি দেশের মধ্যে পড়ে৷ অবশ্য বলা হয় যে, স্কুলে ভালো করার জন্য ছেলে-মেয়েদের ওপর বড় বেশি চাপ দেওয়া হয়ে থাকে৷
ছবি: Reuters/T. Hanai
ব্রাজিল: ভাসন্ত স্কুল
মানাউস-এর ‘দ্বিতীয় সাও জোসে’ স্কুলটি বস্তুত নদীবক্ষে৷ তা-ও আবার যে কোনো নদী নয়: খোদ অ্যামাজোন! অবশ্য ব্রাজিলেও সরকারি স্কুলগুলোর বিশেষ সুনাম নেই৷ ওদিকে বেসরকারি স্কুলগুলোর মান ভালো হলেও, তাদের ফি বেশি৷
ছবি: Reuters/B. Kelly
যুক্তরাষ্ট্র: সমৃদ্ধির দেশে অসাম্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শিল্পোন্নত দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে৷ অথচ এখানকার শিক্ষাব্যবস্থায় ধনি-দরিদ্রের ফারাক আছে, বলে অভিযোগ৷ শ্বেতাঙ্গ ছেলে-মেয়েরা কৃষ্ণাঙ্গ কিংবা ল্যাটিন অ্যামেরিকান ছেলে-মেয়েদের চেয়ে ভালো ফলাফল করে থাকে৷ চিকাগোর এই প্রাইমারি স্কুলটিতে অবশ্য এখনও ফলাফল নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই৷
ছবি: Reuters/J. Young
ভিয়েতনাম: অন্ধকারে দেহ আলো
আলো নেই, বই নেই, তা সত্ত্বেও ভিয়েতনামে এই তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ারা পড়া করে চলেছে৷ মনে রাখতে হবে: বিশ্বব্যাপী পিসা জরিপে কিন্তু ভিয়েতনাম জার্মানির চেয়ে ভালো ফলাফল করেছে৷
ছবি: Reuters/Kham
ব্রিটেন: পরিপাটি
ইংল্যান্ডে স্কুলের ইউনিফর্ম চালু হয়েছে বহু যুগ আগে৷ মিডলসেক্স-এর ‘হ্যারো’ স্কুলে হ্যাট পর্যন্ত পরতে হয়৷ মজার কথা, সুদীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলটিতে কিন্তু ইউনিফর্ম সংক্রান্ত কোনো লিখিত নিয়মাবলী নেই৷
ছবি: Reuters/S. Plunkett
পাকিস্তান: পথে বসে
অথবা পার্কে বসে পড়াশোনা৷ লক্ষণীয় যে, মেয়েরা আর ছেলেরা একসঙ্গে বসেই পড়াশোনা করছে, পাকিস্তানের সর্বত্র যেটা সম্ভব নয়৷
ছবি: Reuters/C. Firouz
মরক্কো: বেগুনি রঙের ক্লাসরুম
রাবাত-এর উদাইয়া প্রাইমারি স্কুলের ক্লাসরুমটি সুন্দর করে রং করা৷ মুশকিল এই যে, গোড়ায় ৯২ শতাংশ ছেলে-মেয়ে স্কুলে গেলেও, পনেরোয় পা দেবার আগেই তাদের অর্ধেক স্কুল ছেড়ে দেয়৷ ১৫ বছরের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ লিখতে-পড়তে জানে না৷
ছবি: Reuters/Y. Boudlal
কেনিয়া: বস্তির স্কুল
কেনিয়ায় ২০০৩ সাল থেকে প্রাইমারি স্কুলে যেতে ফি লাগে না৷ তবে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বিশেষ বাড়ানো হয়নি৷ ক্লাসে ছাত্রসংখ্যা বেশি৷ নাইরোবির দক্ষিণে কিবেরা বস্তি এলাকার এই স্কুলটিতে বেঞ্চের চেয়ে পড়ুয়া বেশি৷
ছবি: Reuters/N. Khamis
মালয়েশিয়া: সুখি ছাত্রছাত্রী
পিসা জরিপে মালয়েশিয়ার ছাত্রছাত্রীরা বলেছে, তারা সুখি৷ নুরুল ইমান মাদ্রাসার পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য৷
ছবি: Reuters/O. Harris
ইউক্রেন: নানা ভাষা
ইউক্রেনে ছেলে-মেয়েরা ক্লাস ওয়ান থেকেই যে কোনো একটা বিদেশি ভাষা শিখতে শুরু করে৷ কিয়েভ-এর এই লাইসিয়াম বা হাই স্কুলটিতে পঞ্চম শ্রেণি থেকে একটি দ্বিতীয় বিদেশি ভাষা শিখতে হয়৷ ছাত্রছাত্রীদের অনেকে ইউক্রেনীয় ও রুশ ভাষা ছাড়া ইংরেজি, ফরাসি অথবা জার্মান বলতে পারে৷
ছবি: Reuters/G. Garanich
চিলি: পড়ার কি কোনো শেষ আছে?
সান্তিয়াগোর ‘লাউরা ভিকুনা’ সান্ধ্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বয়স হয়েছে বটে, তবুও তারা এককালে যে স্কুলের পড়া শেষ করতে পারেননি – সম্ভবত আর্থিক সামর্থ্য ছিল না বলে – আজ সেটাই সমাপ্ত করতে বদ্ধপরিকর৷