1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে কড়া উদ্যোগ চায় ইইউ

৩০ মার্চ ২০১০

শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে আরো কঠোর পন্থার কথা জানালো ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ কিন্তু জার্মানির তাতে সায় নেই৷ কারণ, কারিগরী দিক দিয়ে নতুন এই প্রস্তাবনা নাকি খুব একটা নিখুঁত নয়৷

প্রতীকী গ্রাফিকছবি: AP Graphics

ইন্টারনেটে শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে আরো কড়া উদ্যোগ নিতে এক নতুন প্রস্তাবনা তৈরি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ নতুন এই প্রস্তাবনায় সকল ধরণের অশোভন তথ্য-উপাত্ত প্রদর্শন বন্ধে সদস্য দেশগুলোকে বাধ্য করতে চায় ই.ইউ.৷ সোমবার ই.ইউ. স্বরাষ্ট্র নীতি কমিশনার সেসিলিয়া মাল্মস্ট্রম শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে সকল সদস্য দেশের মধ্যে সমন্বয় সাধনের এই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন৷

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, ই.ইউভুক্ত দেশগুলোতে শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত বিষয়বস্তু রাখা বা বিতরণ শুধুমাত্র অপরাধ হিসেব গণ্য হবে না, বরং এধরণের কিছু খোঁজা বা এ'সংক্রান্ত ওয়েবসাইট পরিদর্শনও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে৷ এছাড়া, যৌন নিগ্রহের উদ্দেশ্য নিয়ে ইন্টারনেটে শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে কিংবা শিশুদের অশোভন ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়লেও তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে৷

শিশু পর্নোগ্রাফিকে না বলুনছবি: picture-alliance/ dpa

নতুন এই প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে সেসিলিয়া মাল্মস্ট্রম বলেন, শিশু পর্নোগ্রাফি সমৃদ্ধ ওয়েবসাইটে প্রবেশ বন্ধে কারিগরী ব্যবস্থা তৈরি করা হবে৷ কারণ এসব সাইট যেখানে আছে সেখান থেকে তা বন্ধ করা কঠিন, বিশেষত সেগুলো যদি ই.ইউ-র বাইরে থাকে৷ এই ব্যবস্থা ই.ইউভুক্ত বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে৷ এবং তা কাজও করছে৷ এই পদ্ধতি প্রতিদিন শিশু পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটে প্রবেশের হাজার হাজার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করছে৷

এদিকে, জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন এই প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছে৷ জার্মান সরকারের দাবি, এই পন্থা খুব একটা কার্যকর হবেনা৷ কারণ কারিগরী দিক থেকে ওয়েবসাইট ব্লক করার পরও তা পরিদর্শনের আরো উপায় রয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে জার্মানির আইনমন্ত্রী সাবিনে লয়েটহয়জার-শ্নারেনবের্গার বলেন, আমরা চাই যে, এসব নিষিদ্ধ বিষয় ইন্টারনেট থেকে বেরিয়ে আসুক৷ কিন্তু আমরা ব্লক করতে চাই না৷ কেননা তা' সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায়৷

সব ধরণের শিশু পর্নোগ্রাফি রোধ করতে চায় ই.ইউ.ছবি: picture alliance/dpa

আর তাই, ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ বা বন্ধ করার চেয়ে অশোভন বিষয়বস্তু মুছে ফেলতে আগ্রহী জার্মানি৷ বিশেষত বিভিন্ন চ্যাটরুম বা পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে এধরণের অশোভন বিষয় যাতে আদান প্রদান করা না যায় সেটা বন্ধে সচেষ্ট সরকার৷ তাছাড়া এসব অবৈধ কর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারে আইন তো রয়েছেই৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ