তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হয়েছেন শি জিনপিং। তার এই তৃতীয়-শাসনে চীনারা কি খুশি?
বিজ্ঞাপন
তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শি তার আরো বেশি অনুগামীকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির উঁচু পদে বসিয়েছেন।
কোনো সন্দেহ নেই, পরিস্থিতি পুরোপুরি শি-র নিয়ন্ত্রণে। তা সত্ত্বেও ক্ষোভ আছে। চীনে অনেক মানুষ দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। কিছু মানুষ মনে করেন, শি-র শাসনে গত এক দশকে জিনিসের দাম প্রচুর বেড়েছে। কিন্তু মজুরি বাড়েনি। যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার গত জুলাইয়ে ছিল প্রায় ২০ শতাংশ। ২০১৮-র পর থেকে সবচেয়ে বেশি।
পূর্ব চীনের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সি চেন বলেছেন, ''গত কয়েক বছরে কলেজ থেকে বেরিয়ে প্রচুর পড়ুয়া চাকরি পাচ্ছে না। আমি চাকরির খোঁজ করছি। পাচ্ছি না। হতাশ হয়ে পড়ছি। আর যে চাকরি আছে, তাতে মজুরি খুবই কম।'' ডিডাব্লিউকে তিনি বলেছেন, ''কর্তৃপক্ষ এখন সামাজিক মাধ্যমের উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। আমি তাই সেখানে পোস্ট দেয়াও বন্ধ কের দিয়েছি।''
চেন একা নন, আরো অনেক মানুষ তার মতো ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছেন।
শি জিনপিং ও তাঁর রাজনীতি
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। ছবিঘরে দেখুন তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার৷
ছবি: Reuters/Jason Lee
দেরিতে শুরু
কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা শি ঝংজুন ছিলেন তাঁর পিতা৷ পিতার কীর্তি তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়তে শুরুর দিকে বাধা তৈরি করে৷ ১৯৬২-তে দল থেকে বহিষ্কৃত হন ঝংজুন৷ কয়েক বছর পর চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় নিপীড়িত হন, এমনকি জেলেও যেতে হয় তাঁকে৷ সেই পিতার ছেলের আবেদন বারবার প্রত্যাখ্যান করে অবশেষে ১৯৭৪-এ সদস্য হিসেবে গ্রহণ করে কমিউনিস্ট পার্টি৷ সেই থেকে শুরু শি জিনপিংয়ের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার৷
ছবি: picture-alliance/CPA Media/Pictures From History
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন
রসায়ন প্রকৌশলের ছাত্র শি আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে৷ কঠিন পরিশ্রম করেন৷ আট বছর পর দলের পক্ষে প্রথম বড় পদটি পান৷ ১৯৮২ সালে নির্বাচিত হন দলের হের্বেই রাজ্যের সম্পাদক৷ এরপর একে একে বেশ কয়েকটি প্রদেশের গভর্নর নির্বাচিত হন৷ এমনকি চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য ও ব্যবসাকেন্দ্র সাংহাই রাজ্যদলের প্রধানের পদটিও ঝুলিতে পুরে নেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/CPA
রাষ্ট্রপ্রধান শি
শি’র ক্যারিয়ারে ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন৷ যে দল তাঁর পিতাকে বহিষ্কার করেছে সেই কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি৷ এমন কি কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁকে সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত করে, যার অর্থ হলো, অলিখিতভাবে তিনি হয়ে ওঠেন চীনের নেতা৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও-এর দু’বারের মেয়াদ শেষ হবার পর চীনের জাতীয় কংগ্রেস তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে৷
ছবি: GOH CHAI HIN/AFP/Getty Images
দ্য চাইনিজ ড্রিম
নির্বাচনের পর শি-এর রাজনৈতিক শ্লোগান হয় ‘চাইনিজ ড্রিম’৷ অনেকে একে আমেরিকান ড্রিমের সঙ্গে মিলিয়ে ফেললেও আসলে এর অর্থ চীনের নবউত্থান৷ শি একে ‘চীনা জাতির মহাউত্থান’ হিসেবেই উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, চীনকে পৃথিবীতে এর ‘প্রাপ্য জায়গা’ নিশ্চিত করতে হবে৷ তাঁর মতে, সেই জায়গা করতে গিয়ে ‘শত্রুর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে’ যেতেও পিছপা হবে না চীন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Wong
ঐতিহাসিক বৈঠক
১৯৪৯ সালের চীনের গৃহযুদ্ধের পর শি’ই প্রথম কোনো চীনা নেতা যিনি তাইওয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ ২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইয়িং-জু’য়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি৷ তার মানে এই নয় যে তিনি ছাড় দিতে রাজি আছেন৷ ২০১৮ সালের মার্চে তিনি তাইওয়ানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি আলাদা হবার চিন্তা আসে মাথায়, তাহলে ‘ইতিহাসের শাস্তি’ জুটবে তাদের কপালে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/W. Maye-E
মূল নেতা
২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর শি কমিউনিস্ট পার্টির মূল নেতার স্বীকৃতি পান৷ এ স্বীকৃতি এর আগে কেবল আধুনিক চীনের স্থপতি, দলের সাবেক চেয়ারম্যান মাও সেতুং এবং আরেক সাবেক চেয়ারম্যান দেং জিয়াওপিং ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন পেয়েছেন৷
ছবি: Getty Images/Feng Li
সামরিক প্রভাব
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে চীনের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীকে কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের (যেটি মূলত সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে) নিয়ন্ত্রণাধীন করা হয়৷ এতে করে ৬ লাখ ৬০ হাজার শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
ক্ষমতায় অনির্দিষ্টকাল
একনায়কতন্ত্রের খড়গ হতে দেশকে বাঁচাতে ১৯৮২ সালে জিয়াওপিং নিয়ম করেন যে, একজন দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না৷ ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ, চীনের সংসদ শি’কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে এবং ভোটের মাধ্যমে সংশোধনী প্রস্তাব পাশ করে যে, একজন প্রেসিডেন্টের দু’বার নয়, বরং অনির্দিষ্টবারের জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন৷ তাই শি-এর সামনে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রেসিডেন্ট থাকার পথ খোলা৷
ছবি: Reuters/Jason Lee
8 ছবি1 | 8
মধ্য চীনে থাকেন দুই সন্তানের মা লিন। কথা বলার আগে জানালেন, তার শুধু পদবিটুকুই ব্যবহার করা যাবে। নাম দেয়া যাবে না। ডিডাব্লিউকে তিনি বলেছেন, ''তৃণমূল স্তরের মানুষ শি-র দুর্নীতি বিরোধী অভিযান সমর্থন করেন। যেভাবে শি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, তাকে সমর্থন করেন। কিন্তু যে সব নাগরিক রাজনীতি সচেতন তারা শি-র তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ায় হতাশ।''
কেন এই হতাশা? লিনের ব্যাখ্যা, ''শি পার্টির শীর্ষ নেতাদের সরিয়ে দিয়ে নিজের অনুগামীদেরই শুধু বসিয়েছেন। তাতে আমাদের মতো অনেকেরই মনে হয়েছে, আমরা আবার কালচারাল রেভলিউশনের জমানায় চলে যাচ্ছি। সরকার অর্থনীতির চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।''
বিদেশে যাওয়ার ভাবনা
চেন এবং লিনের মতো অনেকেই ভাবছেন, তারা দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে বসবাস করবেন। চীনে এখন একটা বাক্যবন্ধ ট্রেন্ড হয়েছে, 'রান শুই' মানে পালানোর দর্শন।
চেন জানিয়েছেন, ''আমি অল্পস্বল্প জাপানি জানি, আমি জাপানে যেতে চাই। কিন্তু আমার উপর প্রবলভাবে আর্থিক চাপ আছে। চীন ছাড়তে গেলে প্রচুর ঋণ নিতে হবে।''
লিন আগে থেকেই বিদেশে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। এখন তিনি তার দুই সন্তানকে আগে বিদেশে পাঠাতে চান। লিনের দাবি, ''বিদেশে গিয়ে তারা ভালো পরিবেশ পাবে। আমি চাই, তারা অন্য দেশে থাকার অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করুক। যখন কোনো দেশে আইনের শাসন থাকে না, তখন সেই দেশ ছাড়ার কথাই চিন্তা করা উচিত।''
শতবর্ষে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি
১৯২১ থেকে ২০২১, শতবর্ষে পৌঁছে কীভাবে ভাবছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, দেখুন এই ছবিঘরে...
ছবি: Thomas Peter/Reuters
যেভাবে উদযাপন করবে চীন
বৃহস্পতিবার শতবর্ষে পা রাখলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিসিপি৷ এই উপলক্ষে সাজ সাজ রব গোটা চীনজুড়ে৷ দলের নেতৃত্বের সাফল্যের কাহিনী আঁকা নানা ফেস্টুন=ব্যানারে ছেয়ে গেছে গোটা দেশ৷ সোমবার থেকে বেইজিঙের জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে নানা ধরনের অনুষ্ঠান৷
ছবি: Noel Celis/AFP/Getty Images
দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল
ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির পরেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল চীনের সিসিপি৷ ২০১৯ সালে এই দলের সদস্য সংখ্যা ছিল নয় কোটি ১৯ লাখ৷ ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পর থেকেই দেশটির শাসনে রয়েছে এই দল৷
ছবি: Ng Han Guan/AP/picture alliance
সিসিপির হাতে চীন
সিসিপির আমলে চীন প্রত্যক্ষ করেছে বহু যুদ্ধ, অনাহার ও সামাজিক বদল৷ গত ২০ বছরে লাখ লাখ চীনা নাগরিক দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন৷ আর্থসামাজিক ভাঙাগড়া চীনকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করে তুলেছে৷
ছবি: Aly Song/REUTERS
সমালোচনা
সাফল্যের স্বীকৃতি এলেও বিশ্বজুড়ে বারবার সমালোচিত হয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃত্বের নানা সিদ্ধান্ত৷ সাম্প্রতিক সময়ে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে দেখা গেছে এই প্রবণতা৷
ছবি: Aly Song/REUTERS
সিসিপির সমালোচিত কিছু ইস্যু
হংকঙে গণতন্ত্রপন্থিদের প্রতি সিসিপির মনোভাব, উইগুর মুসলিমদের প্রতি রাষ্ট্রের আচরণ, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা নজরদারী - সব ক্ষেত্রেই সিসিপির ভূমিকা বিশ্বে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে৷ কিন্তু তা আদৌ আমল পায়নি পার্টির অন্দরমহলে৷
ছবি: Thomas Peter/Reuters
ইতিহাসের পুনর্গঠন
ফেব্রুয়ারিতে জিনপিং ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ দ্য কমিউনিস্ট পার্টি অফ চাইনা’ প্রকাশ করেন যা ৫০০ পাতা দীর্ঘ পার্টির ইতিহাসের দলিল৷ বিশেষজ্ঞদের মত, এই দলিল আসলে সরকারের দুর্বলতা লুকিয়ে সাফল্যের দিকে জোর দেয়৷ তিয়েনআনমেন স্কয়ার বা অনাহারের মতো সময়ের উল্লেখ সেখানে খুবই কম, বরং শি জিনপিঙের দৃঢ় নেতৃত্বের কথাই বেশি৷
ছবি: Thomas Peter/Reuters
বিশ্বে চীনকে উপস্থাপন যেভাবে
বিশেষজ্ঞদের মতে, শি জিনপিঙের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে চীনকে এমনভাবে উপস্থাপন করা, যাতে করে বিশ্বে দেশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে বিবেচিত হয়৷ এমন শক্তি, যাকে কোনো অর্থনৈতিক ধাক্কা বা অতিমারি, কোনো কিছুই নোয়াতে পারে না৷ বিশেষ করে, পশ্চিমা দেশগুলির চীন সম্পর্কিত ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে নিজের বিকল্প ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে সিসিপির শতবর্ষকে ব্যবহার করছে সরকার, বলছেন তারা৷
ছবি: Thomas Peter/Reuters
7 ছবি1 | 7
হুং সাংহাইতে থাকেন। তার বক্তব্য, ''চীনে অনেকে মনে করছেন, তৃতীয় পার্টি কংগ্রেসের পর চীনের সামাজিক উন্নতিতে আরো ভাটার টান দেখা যাবে। মানুষ ক্ষুব্ধ। কিন্তু তাদের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। চীনে প্রবল সেন্সরশিপ চালু আছে। তাই অনলাইনে কেউ সেভাবে মুখ খোলেন না।''
বিদেশের চীনারা যা করছেন
গত দুই সপ্তাহ ধরে বিদেশে বসবাসকারী চীনের অনেক মনুষই শি-র বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। গত ১৩ অক্টোবর বেজিংয়ে শি-র বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানান পেং। তিনি একটা ব্যানার লাগিয়েছিলেন, সেখানে বলা ছিল, 'স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র হলো চীনের মানুষের প্রাথমিক চাহিদা'। অনেকে বাস স্টপে, পাবলিক ইউরিনালে স্লোগান লিখে রাখছেন।
নিউ ইয়র্কে থাকেন তেং বিয়াও। তার মতে, ''মানুষ যে শি-র উপর বীতশ্রদ্ধ তা এর থেকে বোঝা যাচ্ছে। চীনে ন্যূনতম অধিকারও দেয়া হয় না। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে।''
বিদেশে বসবাসকারী প্রচুর চীনা পড়ুয়াও সামাজিক মাধ্যমে এই প্রতিবাদের কথা বলছেন। স্লোগান তুলে ধরছেন। ক্যানাডায় থাকা চীনা ছাত্র আভা বলেছেন, ''পেং আমাদের মন থেকে ভয় দূর করতে সাহায্য করেছেন। তিনি যদি বেজিংয়ে এই প্রতিবাদ জানাতে পারেন, তাহলে আমরা কেন পারব না?''
ইনস্টাগ্রামে সিটিজেনস ডেইলি বলে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সমানে প্রতিবাদের ছবি ছাপা হচ্ছে। তেং বিয়াও-এর মতে, চীনে অল্প কিছু মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস দেখাতে পারছেন। এখন তাদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে সোচ্চার হতে হবে। না হলে, চীনে ভবিষ্যতের সংগ্রামের ছবিটা খুব একটা উজ্জ্বল হবে না।