বাংলাদেশে আরো একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টকে হত্যা করা হয়েছে৷ নিহত ‘ব্লগার’ নাজিমুদ্দিন সামাদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ছিলেন৷ বুধবার রাতে পুরনো ঢাকায় তাঁকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷
বিজ্ঞাপন
ঢাকার সূত্রাপুর থানার পুলিশ জানায়, ‘‘লক্ষ্মীবাজারের একটি মেসে থাকতেন সামাদ৷ বুধবার রাতে তিন বন্ধুকে নিয়ে পুরনো ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের উদ্দেশ্যে বের হলে, ঋষিকেশ দাশ লেনে অজ্ঞাত যুবকরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে৷ শুধু তাই নয়, খুব কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলিও করে তারা৷ এরপর হাসপাতালে নেয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়৷ সামাদের সঙ্গে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাউথ ইস্টের শিক্ষার্থী নাজিবের ওপরও আক্রমণ করে দুর্বৃত্তরা৷ তবে সৌভাগ্যক্রমে নাজিব বেঁচে যান৷''
নাজিমুদ্দিন সামাদ নিহত হওয়ার আগে সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন৷ সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘সরকার, এবার একটু নড়েচড়ে বসো বাবা৷ দেশের যা অবস্থা, আইন-শৃঙ্খলার যা অবনতি, তাতে গদিতে বেশি দিন থাকা সম্ভব হবে না৷ জনরোষ বলে একটা কথা আছে৷ এটার চূড়ান্ত পরিণতি দেখতে না চাইলে এক্ষুনি কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে৷ নতুবা দিন ফুরিয়ে আসবে দ্রুত৷'
ইমরান এইচ সরকার
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার এ ঘটনার পর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নাজিমুদ্দিন সামাদ যে শুধু মৌলবাদের বিরুদ্ধেই লিখতেন, তা নয়৷ তিনি অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করতেন৷ তনু হত্যার বিচারের দাবিতেও তিনি ছিলেন সোচ্চার৷ এছাড়া তিনি নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত পোস্ট দিতেন তাঁর ফেসবুক পাতায়৷''
ডা. সরকার বলেন, ‘‘আমরা যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুটের প্রতিবাদ, তনু হত্যার বিচারের দাবি এবং বাঁশখালিতে পাঁচজনকে হত্যার প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছি, তখন আবার আরেকজন ব্লগারকে হত্যা করা হলো৷ তাই এখন আমার মনে হচ্ছে যে, মানুষের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্যই আবারো ব্লগার হত্যা করা হলো৷''
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা জানান, ‘‘মোটর সাইকেলে ৩-৪ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে সামাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং মাথায় গুলি করে হত্যা করে৷ ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের গুলির এক রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে জড়িত সন্দেহে শনাক্ত কিংবা আটক করা যায়নি৷''
২০১৫ সালে নিহত ১৮ ব্লগার
‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে অন্তত ১৮ জন নেটিজেন এবং সিটিজেন জার্নালিস্ট বা ব্লগার প্রাণ হারিয়েছেন৷ এদের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশে খুন হন চারজন ব্লগার, তবে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন সিরিয়ায়৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abbas
সবচেয়ে বেশি সিরিয়ায়
বর্তমানে গৃহযুদ্ধের কবলে থাকা সিরিয়ায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশি নেটিজেন এবং সিটিজেন জার্নালিস্ট খুন হয়েছেন৷ প্যারিসভিত্তিক ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ বা আরএসএফ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম হত্যাকাণ্ড ঘটে পহেলা জানুয়ারি, খুন হন দিরার মুসা আল জাহিদ৷ আর সর্বশেষ ২৭ অক্টোবর জুম্মা আল-আহমেদ৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Lawler
বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে
বাংলাদেশে সিরিয়ার মতো গৃহযুদ্ধ না চললেও খুন হয়েছেন চার ব্লগার, আহত কয়েকজন৷ এদের সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে৷ চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় খুন হন লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায়৷ সর্বশষে সাত আগস্ট খুন হন ব্লগার নিলয় চট্টোপাধ্যায়৷ নিহতরা সবাই নাস্তিক এবং ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
ব্রাজিলে নিহত এক
ব্রাজিলে ১৮ মে খুন হন ব্লগার ইভানি জোসে মেৎসকার৷ ধারণা করা হয়, তাঁকে হত্যার আগে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছিল৷ নিহত হওয়ার আগে শিশু পতিতাবৃত্তি নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন তিনি৷
ছবি: Facebook
ইসলামিক স্টেট-এর হাতে খুন জুহায়ের
ইরাকের মসুলের সিটিজেন জার্নালিস্ট জুহায়ের কিনান আল-নাহাস৷ আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিমান হামলায় দগ্ধ তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’-এর একটি গাড়ির ছবি তোলায় তাঁকে হত্যা করে জঙ্গি গোষ্ঠীটি৷
ছবি: picture alliance/dpa/T. Felber
পাকিস্তানে নিহত মানবাধিকার কর্মী
পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী সাবিন মাহমুদ গত ২৪ এপ্রিল করাচিতে খুন হন৷ অজ্ঞাত বন্দুকধারী তাঁকে গুলি করে হত্যা করে৷ এ সময় ব্যক্তিগত গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি৷ পাকিস্তানের বালুচিস্তানে সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মাহমুদ৷ এ কারণে একাধিকবার হুমিকও পান তিনি৷
ছবি: DW/R. Saeed
তরুস্কে নিহত সিটিজেন জার্নালিস্ট
গত ৩০ অক্টোবর তুরস্কে খুন হন সিটিজেন জার্নালিস্ট ইব্রাহিম আব্দ আল-কাদের৷ তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’-এর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন সিরিয়ার এই ব্লগার৷ তাঁর জবাই করে হত্যা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিহত ৬৫ সাংবাদিক
আরএসএফ-এর ওয়েবসাইটে নিহত সাংবাদিকদের তালিকা আলাদাভাবে দেয়া হয়েছে৷ সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট সংগঠনটির হিসেব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫ সাংবাদিক, কারাবন্দি আছেন ১৫৩ জন৷ এছাড়া ১৬২ নেটিজেনও কারাবন্দি রয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abbas
7 ছবি1 | 7
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডক্টর নূর মোহাম্মদ জানান, ‘‘নাজিমুদ্দিন সামাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্সের এলএলএম-এর ছাত্র ছিলেন৷ তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে৷ তবে তাঁর পরিবারের সবাই লন্ডন প্রবাসী৷''
হত্যাকাণ্ডের কয়েকঘণ্টা পর কিছু ফেসবুক পোস্টে নাজিমুদ্দিন সামাদকে ‘নাস্তিক' বলে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে৷
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলায়ের ছাত্ররা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে৷ দাবি জানিয়েছে হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার জন্য৷ এছাড়া বিকেলে শাহবাগে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে গণজাগরণ মঞ্চ৷
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার, মুক্তমনা, প্রকাশক এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা হত্যার শিকার হলেও অপরাধীরা আটক হচ্ছে না৷ ডা. ইমরান এইচ সরকারের কথায়, ‘‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ এখানে হত্যা, ধর্ষণ কিছুরই বিচার পাওয়া যায় না৷''
ওদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সামাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি৷ পুলিশ জানায়, ‘‘আমরা তাঁর নিকটাত্মীয়দের অপেক্ষায় আছি৷''
‘আমি কোনো ধর্মে বিশ্বাসী নই’ – এমনটাই নিজের ফেসবুক পাতায় লিখেছিলেন সামাদ৷ এই কি তাঁর অপরাধ ছিল? এর জন্যই কি তিনি খুন হলেন? জানান আপনার মতামত, নীচের ঘরে৷
বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার শিকার যারা
চলতি বছর ইসলামপন্থিরা একের পর এক হামলা চালিয়ে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে৷ এতে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ চলুন জানা যাক ২০১৫ সালের কবে, কারা হামলার শিকার হয়েছেন...৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্লগার খুন
একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে খুন হন ব্লগার এবং লেখক অভিজিৎ রায়৷ কমপক্ষে দুই দুর্বৃত্ত তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ এসময় তাঁর স্ত্রী বন্যা আহমেদও গুরুতর আহত হন৷ বাংলাদেশি মার্কিন এই দুই নাগরিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’৷ পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
বাড়ির সামনে খুন
ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে হত্যা করা হয় ঢাকায়, গত ৩০ মার্চ৷ তিন দুর্বৃত্ত মাংস কাটার চাপাতি দিতে তাঁকে কোপায়৷ সেসেময় কয়েকজন হিজরে সন্দেহভাজন দুই খুনিকে ধরে ফেলে, তৃতীয়জন পালিয়ে যায়৷ আটকরা জানায়, তারা মাদ্রাসার ছাত্র ছিল এবং বাবুকে হত্যার নির্দেশ পেয়েছিল৷ কে বা কারা এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছে জানা যায়নি৷ বাবু ফেসবুকে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে লিখতেন৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
সিলেটে আক্রান্ত মুক্তমনা ব্লগার
শুধু ঢাকায় নয়, ঢাকার বাইরে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ গত ১২ মে সিলেটে নিজের বাসার কাছে খুন হন নাস্তিক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস৷ ভারত উপমহাদেশের আল-কায়েদা, যাদের সঙ্গে ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর সম্পর্ক আছে ধারণা করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷ দাস ডয়চে ভেলের দ্য বব্স জয়ী মুক্তমনা ব্লগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/EPA/Str
বাড়ির মধ্যে জবাই
ব্লগার নিলয় চট্টোপাধ্যায়কে, যিনি নিলয় নীল নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন, হত্যা করা হয় ঢাকায় তাঁর বাড়ির মধ্যে৷ একদল যুবক বাড়ি ভাড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ৮ আগস্ট তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ নিজের উপর হামলা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলেন নিলয়৷ কিন্তু পুলিশ তাঁকে সহায়তা করেনি৷ ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’ এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে, তবে তার সত্যতা যাচাই করা যায়নি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
জগিংয়ের সময় গুলিতে খুন বিদেশি
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে জগিং করার সময় ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় খুন হন ইটালীয় এনজিও কর্মী সিজার তাবেলা৷ তাঁকে পেছন থেকে পরপর তিনবার গুলি করে দুর্বৃত্তরা৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে জিহাদিদের অনলাইন কর্মকাণ্ডের দিকে নজর রাখা একটি সংস্থা৷ তবে বাংলাদেশে সরকার এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে ‘এক বড় ভাইয়ের’ তাঁকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/ A.M. Ahad)
রংপুরে নিহত এক জাপানি
গত ৩ অক্টোবর রংপুরে খুন হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও৷ মুখোশধারী খুনিরা তাঁকে গুলি করার পর মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়৷ ইসলামিক স্টেট এই হত্যাকাণ্ডেরও দায় স্বীকার করেছে, তবে সরকার তা অস্বীকার করেছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না যে তাঁর দেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীটির উপস্থিতি রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
হোসনি দালানে বিস্ফোরণ, নিহত ১
গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী হোসনি দালানে শিয়া মুসলমানদের আশুরার প্রস্তুতির সময় বিস্ফোরণে এক কিশোর নিহত এবং শতাধিক ব্যক্তি আহত হন৷ বাংলাদেশে এর আগে কখনো শিয়াদের উপর এরকম হামলায় হয়নি৷ এই হামলারও দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট, তবে সরকার সে দাবি নাকোচ করে দিয়ে হামলাকারীরা সম্ভবত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবি-র সদস্য৷ সন্দেহভাজনদের একজন ইতোমধ্যে ক্রসফায়ারে মারা গেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Zaman
ঢাকায় প্রকাশক খুন
গত ৩১ অক্টোবর ঢাকায় দু’টি স্থানে কাছাকাছি সময়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়৷ এতে খুন হন এক ‘সেক্যুলার’ প্রকাশক এবং গুরুতর আহত হন আরেক প্রকাশক ও দুই ব্লগার৷ নিহত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের সঙ্গে ঢাকায় খুন হওয়া ব্লগার অভিজিৎ রায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসার-আল-ইসলাম’ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
প্রার্থনারত শিয়াদের গুলি, নিহত ১
গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশের বগুড়ায় অবস্থিত একটি শিয়া মসজিদের ভেতরে ঢুকে প্রার্থনারতদের উপর গুলি চালায় কমপক্ষে পাঁচ দুর্বৃত্ত৷ এতে মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত হন এবং অপর তিন ব্যক্তি আহত হন৷ তথকথিত ইসলামিক স্টেট-এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা দাবি করা স্থানীয় একটি গোষ্ঠী হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷