1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মুসলমান বলে না নেয়াটা ঠিক না’

২৯ আগস্ট ২০১৬

অভিবাসন নীতি নিয়ে আবারও প্রশ্নের মুখোমুখি আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ এবং আবারও তাঁর কণ্ঠে সেই প্রত্যয়৷ জার্মান টেলিভিশন চ্যানেল এআরডি-কে ম্যার্কেল আবারও বলেছেন, ‘‘অনেক কিছু অর্জন করেছি আমরা, তবে এখনো অনেক কিছু করার বাকি৷''

Deutschland Bundeskanzlerin Angela Merkel im ARD-Interview
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen

শরণার্থী সংকট নিরসনে ম্যার্কেল যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন সেসবের অধিকাংশই ‘বুমেরাং' হয়ে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে আঘাত করেছে – এমন জনমত দিন দিন জোরালো হচ্ছে৷ ইউরোপ এবং ইউরোপের বাইরে বিভিন্ন দেশে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গিদের হামলার কারণেই মূলত জনমনে দেখা দিয়েছে সংশয়, বেড়ে চলেছে আতঙ্ক৷ এমনই এক পরিস্থিতিতে আবার জার্মান টেলিভিশন চ্যানেল এআরডি-র মুখোমুখি হয়েছিলেন চ্যান্সেল আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

সাম্প্রতিক সময়ের সাক্ষাৎকারগুলোর মতো এআরডির উপস্থাপকের প্রশ্নের মুখেও একই রকমের অবিচল মনোভাব দেখিয়েছেন তিনবার জার্মানির চ্যান্সেলর হওয়া ম্যার্কেল৷ সরকারের অভিবাসন নীতির সমর্থনে তাঁর একটাই কথা, ‘‘আমি গত বছরই বলেছিলাম, শরণার্থী সংকট মোকাবিলা করা খুব কঠিন হবে৷ সেই থেকে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি, তবে আমাদের অনেক কিছুই এখনো করার বাকি৷''

তবে তিনি মনে করেন, সংকট নিরসনে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সব দেশের সমানুপাতিক উদ্যোগ থাকা দরকার, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সব দেশ এখনো উদ্যোগী নয়৷ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব সদস্য দেশ এখনো শরণার্থী গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলেছে, তাদের সমালোচনা করে ম্যার্কেল বলেছেন, প্রত্যেক সদস্য দেশকেই দায়িত্ব নিতে হবে৷ কোনো দেশ শরণার্থীরা মুসলমান বলেই তাদের প্রত্যাখ্যান করবে, তা হতে পারে না৷

এছাড়া গত এক বছরে শরণার্থী সংকট নিরসনের জন্য নেয়া বেশ কিছু পদক্ষেপের উল্লেখ করে জার্মান চ্যান্সেলর বলেছেন, জার্মানিতে আগত শরণার্থীদের নিশ্চয়ই জার্মান সমাজের অংশ হওয়ার জন্য ভাষা শিখতে হবে৷ তিনি জানান, যারা জার্মানিতে থাকার উপযুক্ত নন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনেক কঠোর করা হয়েছে এবং সেসব আইন প্রয়োগও করা হচ্ছে৷

আরেক প্রশ্নের জবাবে ম্যার্কেল বলেন, তিনি জার্মানিতে বসবাসরত ‘তুর্কিদেরও চ্যান্সেলর'৷ কিন্তু তুরস্কে এর্দোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ ‘কু' বা সামরিক অভ্যুত্থানের সময় যে তুর্কিরা জার্মানির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু করেছিল – সেই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তুরস্কের বিরোধ জার্মানিতে নিয়ে না আসাই ভালো৷''

সাক্ষাৎকারে ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর পদের প্রার্থী হবেন কিনা তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ ম্যার্কেল অবশ্য এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি৷

সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, জার্মানিতে ম্যার্কেলের জনপ্রিয়তা অনেক কমেছে৷ জরিপে অংশ নেয়া শতকরা ৫০ ভাগ জার্মানই বলেছেন, ম্যার্কেল আবার চ্যান্সেলর প্রার্থী হন, তা তাঁরা চান না৷

এদিকে আরেক বড় দুশ্চিন্ত হয়ে উঠছে জার্মানিতে আসা শরণার্থী শিশুদের খুব বড় একটি অংশের উধাও হয়ে যাওয়া৷ জার্মানির কেন্দ্রীয় পুলিশ বলছে, গত এক বছরে শরণার্থী শিশুদের নিখোঁজ হওয়ার হার দিগুণ বেড়েছে৷ তাদের মতে, গত ১ জুলাইয়ে নিখোঁজ শরণার্থী শিশুর সংখ্যা ৮ হাজার ৯৯১-তে ঠেকেছে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ, ইপিডি, কেএনএ)

জার্মানির শরণার্থী নীতি নিয়ে আপনার মতামত জানতে আগ্রহী আমরা৷ তাই লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ