খেলাধুলার পেছনে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করছে৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেট ছাড়া অন্য খেলার তেমন সাফল্য নেই৷ সমস্যা কোথায়? ডয়চে ভেলের সঙ্গে এ নিয়েই কথা বলেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট ড. বীরেন সিকদার৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলে: বাংলাদেশে কয়টি ফেডারেশন আছে?
অ্যাডভোকেট ড. বীরেন সিকদার: দেশে আমাদের অনুমোদন দেয়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন আছে ৪৯টি৷
এর মধ্যে ক্রিকেটকেই কেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়?
ক্রিকেটকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই না৷ আমাদের অনুমোদিত ৪৯টি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে যারা সবচেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করে, মানুষ তাদের দিকে আগ্রহ দেখায়৷ গুরুত্ব তারা নিজেরাই তৈরি করে৷ যারা বেশি সাফল্য নিয়ে আসে, তাদের দিকে মানুষের আগ্রহ বেশি থাকে৷
অনেক খেলার নাম আমরা জানলেও তা নিয়ে প্রতিযোগিতার কথা শুনি না৷ কারণ কী?
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট ড. বীরেন সিকদার
আমাদের যে ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশন আছে, তারা তাদের মতো করে কর্মকাণ্ড চালায়৷ এর মধ্যে অনেক খেলা জনপ্রিয় না বলে মানুষ সেগুলো জানতে পারে না৷ তারা কিন্তু কোনো-না-কোনো কর্মকাণ্ড করে৷
গ্রামের অনেক খেলা অবহেলার শিকার হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে৷ এগুলো রক্ষার কোনো উদ্যোগ আছে?
এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আমাদের দেশে অনেক খেলা আছে, যা একেবারেই আমাদের নিজস্ব৷ ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত৷ আমাদের পূর্বপুরুষদের মাঝ থেকে অনেক খেলাই উঠে এসেছে৷ সেই খেলাগুলোর মধ্যে অনেক খেলারই বর্তমানে অনুশীলন নেই৷ সেগুলো তুলে আনার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আমাদের বলেছেন যে, ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে, সেগুলো আবার তুলে আনা দরকার৷ এই খেলাগুলো রক্ষায় আমরা জাতীয়ভাবে এখন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি৷ যেমন, লাঠিখেলা, দাঁড়িয়াছুট আছে৷ আমরা নৌকাবাইচকে আরো জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছি৷
নামকাওয়াস্তে অনেক ফেডারেশনের নাম শোনা যায়৷ এগুলোকে আর্থিক বরাদ্দও দেয়া হয়, তাদের অর্থ দেয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?
নামকাওয়াস্তে কিছুফেডারেশন আছে সত্য৷ দেশে সেইসব খেলা জনপ্রিয় না হলেও আন্তর্জাতিকভাবে তাদের কিছু তৎপরতা আছে৷ আন্তর্জাতিকভাবে তাল মিলিয়ে চলতে, ওই খেলাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়৷ যেসব খেলা জনপ্রিয়, তাদের আমরা বেশি গুরুত্ব দেই এবং অর্থ বরাদ্দও তাদের বেশি দেয়া হয়৷ যে খেলাগুলো ভালো করে না, আমরা তাদের সেভাবেই বিবেচনা করে অর্থ বরাদ্দ দেই৷ সবাইকে সমানভাবে অর্থ বরাদ্দ দেই না৷
বাংলাদেশের কম জনপ্রিয় খেলার তারকারা
একসময় বাংলাদেশে ফুটবলারদের তারকাখ্যাতি ছিল৷ এখন সেটি পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা৷ তবে অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় খেলা খেলেও স্বমহিমায় উজ্জল হয়েছেন, তারকার মর্যাদাও পেয়েছেন কয়েকজন৷
ছবি: Khandakar Tarek
জোবেরা রহমান লিনু
এক-দুইবার নয়, মোট ১৬ বার জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন লিনু৷ তাই ২০০৩ সালে গিনেস বুকে নাম ওঠে তাঁর৷
ছবি: Khandakar Tarek
রানী হামিদ
তিনি দাবায় বাংলাদেশের প্রথম মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার৷ জাতীয় মহিলা দাবায় ১৮ বার সেরা হয়েছেন ৭৩ বছর বয়সি রানী হামিদ৷ এখনও খেলছেন তিনি৷ ২০১৮ সালে মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন রানী হামিদ৷ দাবার প্রসারেও ভূমিকা রেখেছেন তিনি৷ তাঁর লেখা ‘মজার খেলা দাবা’ বইটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে৷ রানী হামিদের সন্তান কায়সার হামিদ আশির দশকের তারকা ফুটবলার৷
ছবি: Khandakar Tarek
বিদ্যুৎ কুমার রায়
তাঁকে বাংলাদেশের কিংবদন্তি ভারোত্তোলক বলা যায়৷ কারণ, জাতীয় প্রতিযোগিতায় টানা ২৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ময়মনসিংহের এই ছেলে৷ ২০১৪ সালে তিনি অবসর নেন৷
ছবি: Khandakar Tarek
মাবিয়া আক্তার সীমান্ত
২০১৬ সালের দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে মেয়েদের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণির ভারোত্তলনে স্বর্ণ জয় করেন মাবিয়া৷ সেই সময় পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত বাজার সময় তাঁর কান্না কাঁদিয়েছিল অনেককে৷
ছবি: Khandakar Tarek
নিয়াজ মোরশেদ
১৯৮৭ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দাবাড়ু হিসেবে মাত্র ২১ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেছিলেন বাংলাদেশের নিয়াজ মোরশেদ৷ মাত্র নয় বছর বয়সে জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি৷ মোট পাঁচবার তিনি জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়ন হন৷ আর ছয়বার দাবা অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন৷
ছবি: Khandakar Tarek
জিয়াউর রহমান
বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার তিনি৷ ২০০২ সালে এই খেতাব পান৷ ছেলে ১২ বছর বয়সি তাহসিন তাজওয়ার জিয়াও প্রতিযোগিতামূলক দাবা খেলছে৷ গত বছর প্রিমিয়ার দাবা লিগে বাবার মুখোমুখি হয়েছিল সে৷
ছবি: Khandakar Tarek
সাবরিনা সুলতানা
১৯৯৭ সালে কমনওয়েলথ গেমসের শ্যুটিংয়ে সোনা জেতেন সাবরিনা৷ এছাড়া সাফ গেমসে তিনটি ও সাফ শ্যুটিংয়ে দুটি সোনা জেতেন বাংলাদেশের শ্যুটিংয়ের এই অন্যতম তারকা৷ তাঁর স্বামী সাইফুল আলম রিংকিও সাফ গেমসে ব্যক্তিগত ও দলীয় মিলে পাঁচটি আর সাফ শ্যুাটিংয়ে ছয়টি সোনার পদক জেতেন৷
ছবি: Khandakar Tarek
কামরুন নাহার ডানা
জাতীয় ব্যাডমিন্টনে তিন বার সেরা হন তিনি৷ ব্যাডমিন্টন খেলা ছাড়ার পর থেকে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ ২০০৪ সালে মৌলবাদীদের আন্দোলনের ভয়ে যখন কেউ মহিলাদের ফুটবল মাঠে নামানোর সাহস পাচ্ছিলেন না, মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্বে থাকা ডানা তখনই মেয়েদের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল চালু করেন৷
ছবি: Khandakar Tarek
ঈসা মিয়া
বড় ভাই মুসা মিয়াকে নিয়ে একসময় হকিতে ঢাকার মাঠ কাঁপিয়েছেন ঈসা মিয়া৷
ছবি: Khandakar Tarek
9 ছবি1 | 9
ফেডারেশনগুলোর বাজেট সম্পর্কে যদি বলেন...
পৃথীবির কোনো দেশেই শুধু সরকারি অর্থ দিয়ে খেলা পরিচালনা করা যায় না৷ এখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর দিয়ে সহযোগিতা করে৷ যাঁরা ভালো করতে পারে তাঁদের প্রতি স্পন্সররা ঝুঁকে পড়েন, আর যাঁরা ভালো করতে পারেন না, তাঁদের কেউ স্পন্সর দিতে চান না৷ শুধু সরকারি বাজেট নিয়ে এটা চলবে, এই ধারণা ঠিক না, সেটা সম্ভবও না৷ আমরা শুধু উৎসাহিত করতে বাজেট দিয়ে থাকি, তার মধ্যে কম-বেশি আছে৷
বাংলাদেশে ফুটবল একসময় জনপ্রিয় খেলা ছিল, এখনো জনপ্রিয়৷ কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে ফুটবল ভালো কিছু করতে না পরার কারণ কী?
ফুটবল নিঃসন্দেহে জনপ্রিয়৷ গ্রাম-গঞ্জে এখনো জনপ্রিয়৷ সেখানে ফুটবল খেলা হলে হাজার হাজার মানুষ খেলা দেখতে হাজির হন৷ এটার মান পড়ে গেছে এটাও সত্যি৷ তবে ফুটবলে প্রতিযোগীও এখানে বেশি৷ বিশ্বের ২০০ এর বেশি দেশ ফুটবল খেলে৷ অন্যদিকে দেখেন মাত্র ১৪টি দেশ ক্রিকেট খেলে৷ ফলে এখানে প্রতিযোগিতা কম৷ ফুটবলে কিন্তু এত দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে উঠে আসা কঠিন৷ এমনকি আমাদের এশিয়াতেই ভালো করাও কঠিন৷ স্কুলগুলোতে ফুটবল টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আমরা সেটা চালু করেছি৷ আমাদের মেয়েরা ফুটবলে ভালো করছে৷ এখানে ফেডারেশনের আরো বেশি যোগ্য ভূমিকা পালন করা দরকার৷ এবার ফুটবলে ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা করতে ৩১টি ফেডারেশনকে টাকা দিয়েছিলাম৷ তারা সারাদেশ থেকে ২২ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে ২০০ প্লেয়ারকে তুলে আনে৷ এর মধ্যে ৫০ জনকে বাছাই করে বিকেএসপিতে সার্বক্ষণিক ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আন্তর্জাতিক মানের কোচ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে৷ আমরা আশা করছি, শিগগিরই ফুটবলের উন্নতি হবে৷
খেলার অঙ্গন থেকে রাজনীতিতে
এমন ঘটনা কিন্তু নতুন নয়৷ খেলোয়াড় থেকে রাজনীতিবিদ হিসেবেও সফল– এমন দৃষ্টান্ত অনেক আছে৷ দেখুন...
ছবি: picture alliance/dpa/B. von Jutrczenka
জর্জ উইয়াহ: গণদাবির মুখে আবার রাজনীতিতে
লাইবেরিয়ার ফুটবলার হয়েও সেই ১৯৯৫ সালে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন উইয়াহ৷ ফুটবলকে বিদায় জানানোর কিছুদিনের মধ্যেই নাম লেখান রাজনীতিতে৷ ২০০৫ এবং ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন৷ কিন্তু দু’বারই হেরে যান৷ গণদাবির মুখে আবারও প্রার্থী হন ক্লাব ফুটবলের এই সাবেক বিশ্বতারকা৷ হয়ে যান প্রেসিডেন্ট৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Jallanzo
ভিতালি ক্লিচকভ: বক্সার থেকে মেয়র
ভ্লাদিমির ক্লিচকভের মতো তাঁর ভাই ভিতালিও ছিলেন ইউক্রেনের হেভিওয়েট বক্সার৷ তবে প্রায় এক দশক ধরে তিনি রাজনীতিবিদ৷ কিয়েভের মেয়র হয়েছেন তিনি ২০১৪ সালে৷
ছবি: picture alliance/dpa/B. von Jutrczenka
মানি পাকিইয়াও: ফিলিপাইন্সের ভবিষ্যৎ নেতা?
তিনিও সাবেক তারকা বক্সার৷ বক্সিং গ্লাভস তুলে রাখার পর থেকে তিনিও রাজনীতিতে সক্রিয়৷ ফিলিপাইন্সের প্রেসিডেন্ট দুতার্তের ঘোর সমর্থক তিনি৷ রাজনীতিবিদ হিসেবে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল৷ ইতিমধ্যে স্বয়ং দুতার্তে একাধিকবার বলেছেন, তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে পাকিইয়াওকে দেখতে চান তিনি৷
ছবি: Getty Images/M.Dejeto
ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতানো সেই রোমারিও
১৯৯৪ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন তিনি৷ পেলে আর রোনাল্ডো ছাড়া ব্রাজিলের বাকি সব ফুটবলারের চেয়ে দেশের হয়ে তাঁর গোল এখনো সবচেয়ে বেশি৷ ফুটবলের মতো তিনিও রাজনীতিতে সফল৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ-এর সোশ্যালিস্ট পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী তিনি৷ রিও ডি জানেরোর সেনেটর তিনি৷
ছবি: Getty Images/E.Sa
আর্নল্ড শোয়ার্ৎসেনেগার: দ্য টার্মিনেটর
হ্যাঁ, শোয়ার্ৎসেনেগার হলিউডের সুপারহিট মুভি ‘দ্য টার্মিনেটর’-এর নায়ক হিসেবেই বেশি পরিচিত৷ পরবর্তী জীবনে যে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার মেয়র হয়েছিলেন তা-ও অনেকের জানা৷ কিন্তু শোয়ার্ৎসেনেগার যে বডিবিল্ডার হিসেবে মাত্র ২৩ বছর বয়সে ‘মিস্টার অলিম্পিয়া’ হয়েছিলেন, সেটা কি জানেন?
ছবি: picture-alliance/dpa
বিল ব্র্যাডলি: এনবিএ-র চেয়েও যেন রাজনীতিতে সফল
এনবিএ-র ‘হল অফ ফেম’-এ নাম আছে তাঁর৷ ছিলেন নিউ ইয়র্ক নিক দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য৷ রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পরও সাফল্য পিছু নেয়৷ ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে নির্বাচন জিতে প্রায় দু দশক ছিলেন নিউ জার্সির মেয়রের দায়িত্বে৷ ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের মনোনয়নও চেয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/P.Newcomb
সেবাস্টিয়ান কো: অলিম্পিক সোনাজয়ী থেকে....
১৯৮০-র অলিম্পিকে ব্রিটেনের হয়ে ১৫০০ মিটার দৌড়ের সোনা জিতেছিলেন সেবাস্টিয়ান কো৷ রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে সেই ১৯৯২ সালেই হয়েছিলেন সংসদ সদস্য৷ ব্রিটেনের উচ্চ কক্ষের ‘লর্ড’ হয়েছেন ২০০০ সালে৷ তাঁর সাম্প্রতিক সাফল্য অবশ্য ক্রীড়ঙ্গনেই৷ ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সেবাস্টিয়ান কো এখন আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি৷
ছবি: Getty Images/S. Powell
জেরাল্ড ফোর্ড: কলেজ ফুটবলার থেকে প্রেসিডেন্ট
রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগ করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন জেরাল্ড ফোর্ড৷ খেলাধুলার সঙ্গে তাঁরও একটা যোগাযোগ ছিল৷ ১৯৩২ থেকে ১৯৩৪ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের কলেজ ফুটবল দলে ছিলেন তিনি৷
ছবি: Public Domain/Gerald R. Ford Library
ইমরান খান: ক্রিকেটার থেকে প্রধানমন্ত্রী
ক্রিকেটের ভালো অনুসারীরা ইমরান খানকে অবশ্যই চেনেন৷ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক, বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার – এ সবের বাইরেও যে পরিচয়টি বড় হয়ে উঠেছে তা হলো, ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি৷ ক্রিকেট ছাড়ার পরই গড়ে তোলেন ‘তেহরিক-ই ইনসাফ’৷ এ দলের নেতা হিসেবে পাকিস্তানের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা শুরু করেছেন সে-ও অনেক দিনের কথা৷
ছবি: DW/S. Khan Tareen
9 ছবি1 | 9
ক্রিকেট ছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের আর কোন খেলা বেশি পরিচিত?
আমাদের শুটিং ভালো করছে, আর্চারি ভালো করছে, হকি মোটামুটি ভালো করছে৷ হকিতে তো আমরা একটা এশীয় টুর্নামেন্ট করে ফেললাম৷ অপ্রচলিত খেলা হলেও রোলার স্কেটিংয়ে আমরা ভালো করছি৷ ফুটবল, ক্রিকেটে আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে৷ এখন কথা হলো যারা ভালো করতে পারবে, তাদের আমরা সহযোগিতা দেবো৷
বলা হয়, যে খেলায় সরকার যত বেশি বরাদ্দ দেয়, সেই খেলা তত বেশি ভালো করে – এমন ধারণা কি ঠিক?
এটা মোটেই ঠিক না৷ যারা ভালো করে, তারা নিজেদের প্রচেষ্টায় ভালো করে৷ আমি আগেও বলেছি, শুধু সরকারি অর্থায়নে খেলা পরিচালনা করা সম্ভব নয়৷ পৃথিবীর কোথাও সেটা হয় না৷ এরজন্য স্পন্সর দরকার৷ যারা ভালো করে, তাদের পেছনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করে থাকে৷ সুখের বিষয়, আমাদের স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসছে৷
যেসব অখ্যাত ফেডারেশনে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়, সেগুলো কি দুর্নীতির উৎস?
তাদের যে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়, তার অডিট করা হয়, খরচের হিসাব নেয়া হয়৷ তারা ইচ্ছে করলেই নিজেদের মতো খরচ করতে পারে না৷ আমরা সব সময় তাদের মনিটরিং করি যাতে আমাদের দেয়া অর্থ মিসইউজ না হয়৷
বাংলাদেশে বিকেএসপি একমাত্র ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ এই ধরনের আর কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠার কারণ কী?
বিকেএসপিএকমাত্র না৷ আমাদের সবগুলো বিভাগে বিকেএসপির শাখা আছে৷ আমাদের বিভাগীয় শহরে যে আটটি বিকেএসপি আছে, সেগুলোকে আরো অত্যাধুনিক করে ঢাকার মতো সব সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন৷ আমরা সেদিকে নজর দিচ্ছি এবং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি৷ আমরা জনবল কাঠামো তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে দিয়েছি৷ সেটা পাশ হলে এই ৮টি বিকেএসপিতে পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ শুরু হবে৷ এগুলো কিন্তু এখনো আছে৷ কিন্তু তাদের কার্যক্রম তেমন নেই৷ আমরা অর্থ এবং জনবল দিলেই তারা স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে কাজ শুরু করতে পারবে৷ তখন আমাদের একটা না, আটটা বিকেএসপি হয়ে যাবে৷