1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী?‌ সম্ভাবনা কতটা

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২১ ডিসেম্বর ২০২০

২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসকে হটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে ভেবে যাঁরা অতি উৎসাহী, তাঁদেরই একাংশ ভাবছেন শুভেন্দু অধিকারী হবেন রাজ্যে বিজেপির নতুন মুখ।

BJP Rally
ছবি: DW/P. Samanta

অমিত শাহ–র বাংলা সফর উপলক্ষ্যে কলকাতার রাস্তায় বিজেপির যত হোর্ডিং লেগেছিল, সেগুলোর পাশে আরও একটা হোর্ডিং সবার নজর কেড়েছিল। সদ্য দল বদল করে তৃণমূল থেকে বিজেপি–তে আসা, পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতা, প্রাক্তন সাংসদ, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বিরাট মাপের ছবি–সহ সেই হোর্ডিংয়ের মূল বক্তব্য ছিল— বাংলা এবার নতুন নেতার হাতে। অমিত শাহ ফিরে যাওয়ার পরই অবশ্য বেছে বেছে শুভেন্দুর হোর্ডিংগুলো খুলে নেওয়া হয়েছে। ব্যানার টেনে ছিঁড়ে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে কোথাও, রাস্তার ধারে পড়ে আছে ভাঙাচোরা ফ্রেম। তৃণমূল নেত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির খাস তালুক দক্ষিণ কলকাতায় এই ছবি নির্ভুল বুঝিয়ে দিচ্ছে, দলত্যাগী শুভেন্দুর রাজনৈতিক লড়াইটা ঠিক কী রকম হতে চলেছে।

অবশ্য এর পরেও আলোচনা বন্ধ হচ্ছে না, যে জননেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা শুভেন্দুই কি আগামীতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের নতুন মুখ?‌ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের একাংশ এই প্রশ্ন তুলছে। এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বা ক্লাবের নামে যারা শুভেন্দুকে বাংলার নতুন নেতা হিসেবে তুলে ধরছে, তারা তো এটাই ভাবছে যে ভবিষ্যতের কাণ্ডারী শুভেন্দুই। মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা ব্যানার্জির ‘‌চ্যালেঞ্জার'‌ তিনিই হবেন। বিজেপি ভোটে জিতে এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে শুভেন্দুই সর্বোচ্চ প্রশাসনিক দায়িত্ব পাবেন। এই আশা–আকাঙ্খা এতই প্রবল যে খোদ অমিত শাহ–কে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন শুনতে হয়েছে— কে হবে আপনাদেরমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী?‌ স্বাভাবিক প্রত্যাশা ছিল, শাহ শুভেন্দুর নাম বলবেন। কিন্তু শাহ বলেছেন, সেটা উনি বলতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেটা বিজেপির সংসদীয় পর্ষদ ঠিক করে। সেটা ঠিক হলেই সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। শাহর সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ফেরার পথে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে ফোনে ধরা হলে, তিনি এটুকুই জানাতে পেরেছেন। আর পোস্টার–হোর্ডিংয়ে শুভেন্দুকে আগামী দিনের বাংলার নেতৃত্ব দিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে শমীকবাবুর বক্তব্য, ‘‌‘‌এটা অতি উৎসাহী কিছু লোক লাগাচ্ছে। কিছু লোক বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্যও লাগাচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের দলীয় স্তরে কোনও চর্চা নেই। পার্টি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এই সিদ্ধান্ত নেয় সংসদীয় বোর্ড। প্রতিপক্ষের কিছু লোকজন বিভ্রান্তি তৈরির জন্য এগুলো লাগাচ্ছে।'‌'‌

আর বিজেপির রীতিনীতি এবং গঠনতন্ত্র সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, সাংগঠনিক পর্যায়ে চূড়ান্ত শৃঙ্খলা মেনে চলা বিজেপি সঙ্ঘ পরিবারের উপদেশের বাইরে এক পাও যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মতো কোনও মুখ নেই, এটা তাদের পক্ষে আদৌ কোনও সমস্যা না। উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে অনেকে তাঁর নামও শোনেনি। কাজেই পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা ভোটে যদি বিজেপি শেষ পর্যন্ত জিতেও যায়, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোক নিশ্চিতভাবে তৈরি আছেন। শুভেন্দু অধিকারী, বা মুকুল রায়ের মতো তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতারা সেই বিজেপি সরকারে নিজস্ব গুরুত্ব অনুযায়ী হয়ত জায়গাও পাবেন। কিন্তু ওইটুকুই। জোট সরকারের বাধ্যতা না থাকলে বিজেপি এমন কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করবে, যিনি সঙ্ঘ পরিবারের পতাকা বয়ে নিয়ে যাবেন।

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ