Mickey Mouse, the eternal infant, turns 80
১৮ নভেম্বর ২০০৮আর মিকি নিজেও বান্ধবী মিনিকে নিয়ে ঘটা করে উত্সব করছে জাপানী শহর উরায়াসুর ডিজনিল্যান্ড হোটেলে৷
নিউ ইয়র্ক থেকে ট্রেনে লস এঞ্জেলেস শহরে যাচ্ছিলেন ওয়াল্ট ডিজনি৷ সেই সময়েই ফিগারটা তাঁর মাথায় আসে৷ অবশেষে ১৯২৮ সালে এনিমেটেড এই কার্টুন চরিত্রটি তৈরি করেন ওয়াল্ট ডিজনি ও আব আইওয়ের্কস৷ প্রথমে অবশ্য কার্টুনটির নাম দেয়া হয়েছিলো মর্টিমার মাউস৷ কিন্তু ওই নাম পছন্দ হয়নি ডিজনির স্ত্রী লিলির৷ তাই নাম বদলে রাখা হয় মিকি মাউস৷
স্টিমবোট উইলি ছবির মধ্য দিয়ে মিকিকে প্রথম পর্দায় আনেন ডিজনি৷ ১৯২৮ সালের ১৮ নভেম্বর মুক্তি পায় ছবিটি নিউ ইয়র্কের কলোনি থিয়েটারে৷ প্রথম ছবিতেই সুপারহিট মিকি৷ ডিজনির মতে, ১৯২৯ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যেই মিকি মাউসের ফ্যানক্লাবের সদস্য হয় ১০ লাখ শিশু৷ শুধু তাই নয় একটা সময় অভিনেত্রী মেরি পিকফোর্ড কিংবা প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন রুজেভেল্টের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামের মতো মিকি মাউসও মার্কিনিদের কাছে হয়ে ওঠে প্রিয় একটি নাম৷ আর আজতো দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির আইকন এই কার্টুনটি৷
মিকির বয়স বেড়েছে৷ তাই তার গায়ের গঠনেও পরিবর্তন আনা হয়েছে কিছুটা৷ ভুঁড়ি হয়েছে মিকির৷ তাই বলে চরিত্র কিন্তু বদলায়নি একটুও৷ মজার মজার সব কান্ড কীর্তি করে ৮০ বছর ধরেই বিশ্ববাসীকে আনন্দ দিয়ে আসছে মিকি মাউস৷
বিশ্বজুড়ে ডিজনি সাম্রাজ্যের প্রতীক মিকি মাউস৷ ডিজনির কেবল টিভি চ্যানেলের কল্যাণে বিশ্বব্যাপী কার্টুনভক্তদের কাছে মিকি রীতিমতো তারকা৷ টি-শার্ট, টেলিফোন, কম্পিউটার, ভিডিও গেমস সব কিছুই দখল করে নিয়েছে হলুদ জুতো, দুই বোতামের বিখ্যাত লাল প্যান্ট আর হাস্যোজ্জ্বল চেহারার কার্টুনটি৷
বয়স ৮০ হলেও অবসর নিচ্ছে না কিন্তু মিকি মাউস৷ মানুষকে আনন্দ দিয়ে যাবে সে৷ ডিজনি কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই চরিত্রটি আমাদের জন্য অন্তহীন এক সম্পদ৷ মিকি প্রথম দিন যেমন ছিলো ৮০ বছর পরও তেমনই আছে৷