মহাসমারোহে শুরু হচ্ছে কলকাতা বইমেলা৷ আন্তর্জাতিক সূচি মেনে ২৫ জানুয়ারি মেলা শুরু, চলবে ১০ দিন, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷
বিজ্ঞাপন
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার এবারের থিম দেশ কোস্টারিকা৷ মধ্য অ্যামেরিকায়, পানামা আর নিকারগুয়ার মাঝে এই ছোট দেশটি সম্প্রতি ‘হ্যাপিনেস ইনডেক্স'-এ সবার ওপরে জায়গা করে নিয়েছে৷ অর্থাৎ কোস্টারিকা বিশ্বের সবথেকে সুখি দেশ৷ সরকারিভাবে কোস্টা রিকার কোনো সেনাবাহিনী নেই৷ শিক্ষিতের হার ৯৭.৮ শতাংশ৷ একসময় স্পেনের উপনিবেশ হওয়ার কারণে কোস্টারিকার সাহিত্যে স্পেনীয় প্রভাব যথেষ্ট, কিন্তু শেষ ১০০ বছরে কোস্টা রিকার এক নিজস্ব সাহিত্যভাষাও গড়ে উঠেছে৷ সেই দেশের বিশিষ্ট লেখিকা রোক্সানা পিন্টো লোপেজ এবার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে৷ প্রথামাফিক কাঠের হাতুড়ি ঠুকে মেলার সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷
নানা রঙের ফ্রাংকফুর্ট বইমেলা
শেষ হলো ফ্রাংকফুর্ট বইমেলা ২০১৪৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই বইমেলার এবারের আয়োজন ছিল পাঁচদিনের৷ ছবিঘরে ফ্রাংকফুর্ট বইমেলার দারুণ কিছু ছবি৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
সানন্দে পড়ুন
শুধু জ্ঞান আহরণের জন্য নয়, স্রেফ আনন্দ উপভোগের জন্যও বই পড়া যায়৷ অনেক পাঠকের কাছে বই পড়ার আনন্দ সত্যিই অতুলনীয়৷ ফ্রাংকফুর্ট বইমেলার এক স্টলে বড় করে লেখা ছিল, ‘রিডিং ফর প্লেজার’, যার একটাই অর্থ, ‘পড়ুন আনন্দের জন্য৷’
ছবি: DW/A. Chakraborty
পড়া সত্যিই আনন্দের
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলায় চাইলেই কিন্তু যে কোনো বই কেনা যায় না৷ কেনার জন্য কিছু বই বেশ কিছু স্টলে আলাদা করা ছিল৷ কোনো কোনো স্টলে বিনা মূল্যেও কিছু বই দেয়া হয়েছে৷ এক বইপ্রেমীর আর তর সইছিল না৷ কোথায় বসছেন, চারিদিকে কত কোলাহল – এ সব না ভেবেই বসে পড়লেন পছন্দের বই নিয়ে৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
শিশুও জানে....
মায়ের হাত ধরে এসেছে শিশুটি৷ এইটুকু শিশু হলে কী হবে, তার বই পড়ার ঝোঁকও অসাধারণ৷ সামনে কত লোকের আনাগোনা, এর মাঝেই মা-কে পাশে রেখে দিব্যি বই পড়ায় মন দিয়েছে সে৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
লেখকের সঙ্গে....
ফ্রাংকফুর্ট বইমেলায় লেখক, প্রকাশক আর পাঠকদের কদরই আলাদা৷ নানা আয়োজন ছিল তাঁদের নিয়ে৷ কোথাও আলোচনা সভা, কোথাও লেখকের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন পাঠককুল, কোথাও বা টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে লেখক, পাঠক কিংবা প্রকাশক৷ এখানে এক লেখিকার সাক্ষাৎকার নিচ্ছে একটি টেলিভিশন চ্যানেল৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
বিশ্রাম
খাওয়া-দাওয়া আর বিশ্রামের খুব ভালো ব্যবস্থা থাকে ফ্রাংকফুর্ট বইমেলায়৷ কিন্তু কারো কারো তো নিজের পছন্দের পরিবেশও চাই৷ এই তরুণ-তরুণীরা বোধহয় এ কারণেই বিশাল মেলা প্রাঙ্গনের সাজানো-গোছানো আয়োজন থেকে একটু দূরে গিয়ে বসে পড়লেন সিঁড়িতে৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
প্রাচীন বই
একটি স্টল শুধু পুরোনো বইয়ে ঠাসা৷ ১৩শ বছর আগের বইও ছিল সেখানে৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
ক্লান্তি দূর....
এক দিনে পুরো মেলা প্রাঙ্গন ঘুরতে গেলে শরীর-মন একসময় ক্লান্ত হবেই৷ সেই ক্লান্তি দূর করতেও ছিল দারুণ ব্যবস্থ৷ মেলায় এসেছিলেন এক ঝাঁক পোলিশ ফিজিওথেরাপিস্ট৷ ক্লান্ত শরীরটা একটা চেয়ারে ছেড়ে দিন৷ বাকি দায়িত্ব ফিজিওথেরাপিস্টের৷ মাত্র দশ মিনিটের মাজাজে শরীরটাকে আবার চাঙা করে দেবেন তিনি৷ খরচ মাত্র দশ ইউরো!
ছবি: DW/A. Chakraborty
7 ছবি1 | 7
মহাশ্বেতা দেবী, সৈয়দ শামসুল হক, ফাদার দঁতিয়েন এবং উমবের্তো একো, এই চার প্রয়াত সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নীল ও ব্রায়েন-এর স্মরণে এবারের কলকাতা বইমেলায় পাঁচটি হলের নামকরণ হবে৷ এছাড়া তিনটি হল থাকবে ভগিনী নিবেদিতা, কবি-প্রাবন্ধিক সমর সেন এবং সাহিত্যিক-সম্পাদক দীনেশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে৷ ২৭ জানুয়ারি দিনটি বইমেলায় পালিত হবে ‘কোস্টারিকা দিবস' হিসেবে৷ ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি চিহ্নিত ‘বাংলাদেশ দিবস' হিসেবে৷ বাংলাদেশের একগুচ্ছ প্রকাশক এবারও থাকবেন মেলায়, নির্দিষ্ট বাংলাদেশ প্যাভেলিয়নে, যথারীতি৷ প্রায় এক ডজন বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবারের মেলায়৷
অ্যামেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন, চীন, জাপান ছাড়াও আছে লাটিন অ্যামেরিকার বেশ কিছু দেশ৷ আটটি দেশের লেখকরা থাকবেন বইমেলায়, অংশ নেবেন বিভিন্ন আলোচনা ও অনুষ্ঠানে৷ জানিয়েছেন কলকাতা বইমেলার আয়োজক ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড'-এর সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়৷ এবারের ‘অশোককুমার সরকার স্মারক বক্তৃতা' দেবেন কোস্টারিকার ঔপন্যাসিক হোসে লিয়ন স্যাঞ্চেজ৷ ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানালেন, এবার মেলায় একটি অভিনব ‘বুক লাভার্স কাফে' থাকবে, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা বক্তৃতা দিতে পারবেন, স্বাধীন, সৃজনশীল লেখালেখি করতে পারবেন৷ কুইজ চলবে তাঁদের জন্য৷
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬
ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা৷ ইতিমধ্যেই বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যান পরিণত হয়েছে লেখক, প্রকাশক আর পাঠকের মিলনমেলায়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
প্রাণ ফিরে পেয়েছে বইমেলা
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রবেশ করতে বইপ্রেমীদের দীর্ঘ সারি৷ পর পর দুই বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতায় কিছুটা ম্লান হওয়া এই বইমেলায় এ বছর প্রাণ ফিরে পেয়েছে ইতিমধ্যেই৷ অমর একুশে গ্রন্থমেলার সাধারণ সময়সূচি প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত৷ তবে ছুটির দিনগুলোয় মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়৷ আর ২১শে ফেব্রুয়ারির দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে এই গ্রন্থমেলা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
নানা সাজে নতুন নতুন বই
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্থাপিত একটা বোর্ডে নতুন বইয়ের প্রচ্ছদ দেখছেন দর্শনাথীর্রা৷ মেলায় প্রতিদিনই প্রকাশিত হচ্ছে নতুন নতুন বই৷ ১৬তম দিন পর্যন্ত মেলা উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ৪৬০টি কবিতা, ২৯৯টি উপন্যাস, ২৯৬টি গল্পের বইসহ অগুন্তি বই৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বেড়েছে বইয়ের পরিধি, ব্যাপ্তি
অন্যবারের তুলনায় এবার একুশে বইমেলার পরিধি বেড়েছে৷ বাংলা একাডেমিসহ ১৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় ছয় হাজার বর্গফুটের ১৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ করা হয়েছে এ বছর৷ একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১১১টি ইউনিট; সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ৩২০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪০টি ইউনিট এবং সব মিলিয়ে মোট ৪০২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৬৫১টি ইউনিট বরাদ্দ করা হয়েছে৷ এছাড়া সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের অংশটিকে ভাগ করা হয়েছে ১৫টি চত্বরে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বইয়ের জোয়াড়ে ভাসছে সবাই
শুরু থেকেই এ বছরের বইমেলায় দর্শনাথীর সমাগম ভালো৷ তবে সাধারণভাবে ছুটির দিনগুলোতেই দর্শক সমাগম সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে একুশে গ্রন্থমেলায়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
গত বছর মেলা প্রাঙ্গনের অদূরে খুন হয়েছিলেন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়৷ তাই এ বছর বইমেলায় নেয়া হয়েছে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা৷ বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের প্রবেশ পথে মহিলা ও পুরুষদের জন্য বসানো হয়েছে পৃথক ‘সিকিউরিটি চেক’-এর ব্যবস্থা৷ টিএসসি থেকে শুরু করে মেলার ভেতর ও বাইরে বসানো হয়েছে দুই শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা৷ এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বইমেলা মানেই তারুণ্য
বরাবরের মতোই বইমেলায় তরুণদের উপস্থিতিই বেশি৷ বন্ধু, বান্ধবী, এমনকি জোড়ায় জোড়ায় ঘুরছে তরুণ-তরুণীরা৷ তবে মেলায় শুধু ঘোরাঘুরি আর আড্ডাই নয়, তরুণরা বই কিনছেনও প্রচুর৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বেঁচে আছেন হুমায়ূন আহমেদ
বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ গত হয়েছেন কয়েক বছর৷ কিন্তু এখনো জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছেন তিনি৷ মেলার সোহরাওয়ার্দি উদ্যান প্রাঙ্গণে অন্যপ্রকাশের প্যাভিলিয়নের সামনে তাই সবসময়ই ভিড় লেগে আছে৷
একুশে বইমেলায় গতবছর থেকে সবচেয়ে সুন্দর স্টল কিংবা প্যাভিলয়নের জন্য দেয়া হচ্ছে শিল্পী কাইয়ূম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার৷ বইমেলার স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতে তাই সাধ্যমতো নান্দনিকতার ছোঁয়া দিতে চেষ্টা করছেন প্রকাশকরা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
গুলতেকিন খানের কবিতা...
বইমেলার সোহরাওয়ার্দি উদ্যান অংশে প্রকাশনা সংস্থা তাম্রলিপির প্যাভিলিয়ন৷ এখান থেকেই প্রকাশিত হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের প্রাক্তন স্ত্রী গুলতেকিন খানের কবিতার বই ‘আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম’৷ এটি তাঁর প্রথম বই৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
শোক পরিণত হয়েছে শক্তিতে
জাগৃতি প্রকাশনীর স্টলে ফয়সাল আরেফিন দীপনের প্রতিকৃতির সামনে তাঁর স্ত্রী রাজিয়া রহমান জলি৷ স্বামী হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তিনি আকড়ে ধরেছেন জাগৃতিকে৷ নানান ঘাত-প্রতিঘাত পার করেও জাগৃতি থেকে এ বছর প্রকাশিত হয়েছে দশটির বেশি বই৷ এছাড়া আরো দশটি বই আছে প্রকাশের অপেক্ষায়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
বইমেলায় ব্যানারে জাগৃতির স্টল
বই প্রকাশের কারণেই ধমীর্য় উগ্রপন্থিদের চাপাতির কোপে নিহন হন প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন৷ তবে জাগৃতির স্টল ছাড়া পুরো মেলা প্রাঙ্গণে তাঁর কোনো স্মৃতি স্থান পায়নি৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
শুদ্ধস্বরের সেই স্টলটা...
মেলার সোহরাওয়ার্দি উদ্যান অংশে প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের স্টল৷ লেখক অভিজিৎ রায়ের ‘সমকামিতা: একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্বিক অনুসন্ধান’ বইটি গতবছর বের হয় এই প্রকাশনা সংস্থা থকে৷ অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের বছর না ঘুরতেই গতবছরের শেষের দিকে উগ্রবাদীদের হামলার শিকার হন শুদ্ধস্বরের মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুল৷ তবে প্রাণে বেঁচে যান তিনি৷ চিকিত্সা শেষে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে পাড়ি দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
শুদ্ধস্বরের নতুন বই নেই
টুটুলের প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বর থেকে এ বছর নতুন কোনো বই প্রকাশিত হয়নি৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
ব-দ্বীপের স্টল বন্ধ
ধমীর্য় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বইমেলার ব-দ্বীপ প্রকাশনার স্টলটি এ বছর বন্ধ করে দেয় পুলিশ৷ এ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘ইসলাম বিতর্ক' বইটিতে মহানবী (সা) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য আছে, এই অভিযোগে পুলিশ উক্ত প্রকাশনীর প্রকাশকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে৷ বইটির সবগুলো কপিও জব্দ করে নেয়া হয়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
অটোগ্রাফ প্লিজ!
অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে ভক্তদের অটোগ্রাফ দিচ্ছেন জনপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল৷ হুমায়ূন আহমেদের পরে তাঁর জনপ্রিয়তাই পাঠকদের কাছে সবচেয়ে বেশি৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য...
বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পাঠকদের জন্য স্টল নিয়ে বসেছে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা সংস্থা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার
বইমেলা থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করছে বই এবং একুশে বইমেলা বিষয়ক নানা অনুষ্ঠান৷ নতুন বইয়ের খবর, লেখক-প্রকাশকদের সাক্ষাত্কারসহ নানান বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে এ সব অনুষ্ঠানে৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
শিশু প্রহর
বইমেলায় শিশুদের জন্যও রয়েছে নানা আয়োজন৷ শুক্র ও শনিবার মেলা শুরু হচ্ছে বেলা ১১টায়৷ এই দু’দিন থাকছে ‘শিশু প্রহর’ নামে শিশুদের জন্য আলাদ সময়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
মেলার সঙ্গে সংস্কৃতির মেলবন্ধন
বইমেলা উপলক্ষ্য বাংলা একাডেমি মঞ্চ ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের উম্মুক্ত মঞ্চে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে প্রতিদিন সন্ধ্যায়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
20 ছবি1 | 20
কলকাতা বইমেলায় এবার প্রকাশকদের সবথেকে বড় দুশ্চিন্তা ছিল কেন্দ্র সরকারের পুরনো বড় অঙ্কের নোট বাতিল এবং নতুন নোটের আকাল, ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সীমাবদ্ধতার কারণে বইয়ের বিক্রি মার খাবে৷ কিন্তু সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে ভারতীয় স্টেট ব্যাংক৷ সংস্থার চিফ জেনারেল ম্যানেজার পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত আশ্বাস দিয়েছেন, বইমেলায় স্টেট ব্যাংকের একটি সাময়িক শাখা খোলা হবে, যেখানে যথেষ্ট পরিমাণে খুচরো নোট ও কয়েন থাকবে৷
এছাড়াও মেলাপ্রাঙ্গনে থাকবে এস বি আইয়ের ছ'টি ‘ক্যাশ ভ্যান', যা থেকে যে কোনো ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে প্রতিদিন ২০০০ টাকা পর্যন্ত তোলা যাবে৷ এর সঙ্গে প্রকাশকরা ব্যবস্থা রাখছেন সরাসরি ক্রেডিট, বা ডেবিট কার্ড দিয়ে বই কেনার৷ অনেকেই মোবাইল অ্যাপ মারফৎ টাকা লেনদেনের ব্যবস্থা রাখছেন৷ এই ব্যবস্থা যাতে মসৃণ হয়, তার জন্য বইমেলাতে চালু হচ্ছে ফ্রি ওয়াই ফাই পরিষেবা৷ কাজেই খুচরোর অভাবে বইমেলায় কেনাকাটা ব্যহত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই৷
আরও কিছু সংযোজন হচ্ছে এবারের কলকাতা বইমেলায়৷ থাকবে অস্থায়ী হাসপাতাল এবং অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা৷ কলকাতার এএমআরআই হাসপাতাল এগিয়ে এসেছে এই পরিকাঠামো সহযোগিতায়৷ এছাড়া ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন, বা সিইএসসি-র মতো কিছু কর্পোরেট সংস্থা এবারও বইমেলার আয়োজনে অংশ নিয়েছে৷ সিইএসসি এবার একটি সাহিত্য পুরস্কার দিচ্ছে বর্ষীয়াণ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে, যার আর্থিক মূল্য এক লক্ষ টাকা৷ মোট ৬০০টি বইয়ের স্টল থাকবে এবারের মেলায়৷ সেই সঙ্গে আরও ২০০টি লিটল ম্যাগাজিন৷ মেলায় যাতায়াতের জন্য থাকবে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা৷