শুরু হলো দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের বিচারপর্ব
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩![Members of All India Progressive Women's Association (AIPWA) take part in a protest against new laws on sexual crimes in New Delhi, India, 04 February 2013. India announced tougher laws on sexual crimes 04 February 2013, including the death penalty for rapists, following the gang-rape and murder of a student in New Delhi. Women activists criticized the new laws for ignoring a report by retired chief justice JS Verma, who headed a panel to suggest changes to anti-rape laws. EPA/HARISH TYAGI](https://static.dw.com/image/16575843_800.webp)
দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডের পাঁচজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ ২৩ বছরের মৃতা তরুণীর ফরেনসিক ও পোস্টমর্টেম রিপোর্টসহ অতিরিক্ত চার্জশিট আজ দিল্লির ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে দাখিল করার পর, শুরু হয় মামলার বিচার পর্ব৷ মঙ্গলবার চারজন সাক্ষীকে জেরা করা হয়৷ তবে গোটা বিচার প্রক্রিয়া রুদ্ধদ্বারে হওয়ায় বিস্তারিত খবর জানা যায়নি৷
এদিকে, নারী নিগ্রহ আইন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অর্ডিন্যান্সে রাষ্ট্রপতি সই দেবার পর নারী নিগ্রহের ক্ষেত্রে অর্ডিন্যান্স অনুসারে যাবতীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া যাবে৷ বিচারপতি ভার্মা কমিটির বেশিরভাগ সুপারিশ এই অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ ছ'মাসের মধ্যে অর্ডিন্যান্সটি সংসদে পাশ করাতে হবে৷ সংসদে বিতর্কের সময় আরো কিছু সংশোধন করা হতে পারে৷
কিন্তু এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিভিন্ন নারী সংগঠন৷ এই অর্ডিন্যান্সকে মানুষের চোখে ধুলো দেয়ার চেষ্টা বলে অভিহিত করে প্রতিবাদ জানায় নারী সংগঠনগুলি৷ ভার্মা কমিটির সব সুপারিশ কার্যকর করার দাবি ওঠে৷ দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়৷
এর প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এটা মনে করা ভুল যে, বিচারপতি ভার্মার সুপারিশ অগ্রাহ্য করা হয়েছে৷ সত্যি হলো, কিছু সুপারিশ অর্ডিন্যান্সের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি মতপার্থ্যকের কারণে৷ যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বিশদ আলোচনা দরকার৷ চিদাম্বরমের মতে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগ এবং সামরিক বাহিনীর বিশেষ অধিকার আইন সম্পর্কে ভার্মা কমিটির সুপারিশ কার্যকর করলে তার পরিণাম হবে সুদূরপ্রসারি৷ তাই এগুলি আরো আলোচনা সাপেক্ষ৷
নাবালকের সংজ্ঞা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ সংজ্ঞা নির্ধারণ দায়িত্ব শীর্ষ আদালতের৷ ষষ্ট অপরাধীর নাবালকত্ব তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবার পথে প্রধান অন্তরায়৷ যার ফলে দেশ জুড়ে জুভেনাইল আইন সংশোধনের দাবি ওঠে৷ এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় জানতে চেয়েছে সরকার৷ এ বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়৷ তাতে জুভেনাইল জাস্টিস আইনের কিছু ধারাকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেবার আর্জি জানানো হয়৷ আমাদের মতে, এটা সংবিধান সম্মত নয়৷
পাশাপাশি নারী নিগ্রহ মামলার বিচারে ঢিলেমির ছবি তুলে ধরেছে জাতীয় ক্রাইম ব্যুরো৷ ২০১১ সালে সারা দেশে সাড়ে চব্বিশ হাজার ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েছিল৷ দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার৷ পুলিশি তদন্তে গাফিলতি এর প্রধান কারণ বলে ধরা হয়৷