শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি৷ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরার ব্যবস্থা না হলে সংকট নিরসন সম্ভব নয়৷ অথচ রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রশ্নে নতুন শর্ত আরোপ করেছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান৷
বিজ্ঞাপন
বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সেনা অভিযানের কারণে রোহিঙ্গাদের জীবনে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, তার কারণে বাংলাদেশ এখন নজিরবিহীন সংকটের দ্বারপ্রান্তে৷ অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ৷'' এখনো প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আসছেন – এ তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সমস্যাটা তৈরি করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ, সমাধানও তাদেরই করতে হবে৷''
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নতুন শর্ত
রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে নৃশসংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের পর সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, তাদের সেনারা হত্যা, ধর্ষণ নির্যাতন, ঘর-বাড়িতে আগুন দেয়ার মতো ঘটনা ঘটায়নি৷ এরপর রাখাইন রাজ্যে অভিযানের দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল মাউং মাউংকে বদলি করা হয়৷
রোহিঙ্গাদের বর্তমান দিনকাল
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কেয়ার-এর ত্রাণ সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ঘুরে এলেন জেনিফার বোস৷ সেখানকার ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দিনযাপনের ছবি তুলে এনেছেন তিনি৷
ছবি: DW/ P. Vishwanathan
উদ্বাস্তু জীবন
এ বছরের আগস্ট থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে বাংলাদেশে এসেছে ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা৷ এর আগে বিভিন্ন সময়ে যারা এসেছিলেন তারাসহ বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বাস করছে৷
ছবি: CARE/T. Rahman
শিশুদের অসহায়ত্ব
নির্যাতন, সহিংসতার স্মৃতি গাঢ় হয়ে চেপে বসেছে রোহিঙ্গা শিশুদের চোখে-মুখে৷ প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার জন শিশু রয়েছে এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে৷
ছবি: CARE/J. Bose
টিকে থাকার সংগ্রাম
স্বল্প পুঁজি নিয়ে ক্যাম্প এলাকার মধ্যেই ব্যবসা শুরু করেছেন এক রোহিঙ্গা ৷ এর মধ্যে অনেক রোহিঙ্গাই দিনমজুরের কাজ থেকে শুরু করে ছোটখাট ব্যবসা করে আয়ের পথ সচল রাখছেন৷
ছবি: CARE/J. Bose
ক্যাম্পজীবন
প্লাস্টিক ঢাকা বাঁশের আচ্ছাদনে দিন কাটছে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের৷ কক্সবাজারের নির্ধারিত ক্যাম্পে গাদাগাদি করে বাস করছে রোহিঙ্গারা৷
ছবি: CARE/J. Bose
বনভূমি উজাড়
কক্সবাজারে পাহাড় ও বনভূমি উজাড় করে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা বসতি৷ ক্যাম্প এলাকার আশেপাশের অনেক গাছ এরই মধ্যে উজাড় হয়েছে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপন ও জ্বালানির প্রয়োজনে৷
ছবি: CARE/J. Bose
অনিশ্চয়তা
পরিবারের সাথে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা এই রোহিঙ্গাদের সংগ্রাম টিকে থাকার প্রয়োজনে৷ অন্যসব অনিশ্চয়তা ছাপিয়ে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেয়ার চিন্তাই বড় হয়ে দাঁড়ায়৷
ছবি: CARE/J. Bose
ক্যাম্পে শিশুকাল
মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা নারীদের মধ্যে অন্তত ৫৪ হাজার গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী রয়েছেন৷ অনেকে ক্যাম্পের আসার পথে বা ক্যাম্পেই জন্ম দিয়েছেন শিশুর৷
ছবি: CARE/J. Bose
নিবন্ধিত রোহিঙ্গা
গত দু’ মাসে নিবন্ধিত হয়েছেন অন্তত ৩ লাখ রোহিঙ্গা৷ ক্যাম্প এলাকায় কয়েকটি কেন্দ্রে চলছে এই নিবন্ধন কার্যক্রম৷
ছবি: CARE/T. Haque
টিকাদান কর্মসূচি
শরণার্থী শিবিরগুলোতে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের প্রয়োজনীয় টিকা দেয়া হচ্ছে৷ বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ছোঁয়াচে রোগ প্রতিরোধে নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা৷
ছবি: CARE/J. Bose
ত্রাণ সহায়তা
সরকারের আশাবাদ সত্ত্বেও ৬ লাখেরও বেশি নতুন আসা রোহিঙ্গার জন্য মিলছে না পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা৷
ছবি: CARE/A. Captain
রোহিঙ্গা শিশু-কিশোর
সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা এতিম শিশুকে পুর্নবাসিত করতে কাজ করছে মনোচিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবক ও চিকিৎসক৷
ছবি: CARE/T. Rahman
11 ছবি1 | 11
সব মিলিয়ে গত কয়েকদিন রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঘুরেফিরেই খবরে এসেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী৷ বৃহস্পতিবার সে দেশের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, শুধু ‘মিয়ানমারের প্রকৃত জনগণ' চাইলেই রোহিঙ্গারা ফিরতে পারে৷ নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া ইংরেজিতে লেখা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘রাখাইনের স্থানীয় লোকজন, যাঁরা মিয়ানমারের প্রকৃত নাগরিক, তাঁদের ইচ্ছাকেই এখন প্রাধান্য দিতে হবে৷ শুধু রাখাইনের স্থানীয় আদি বাসিন্দারা যখন মেনে নেবেন, তখনই কেবল সব জনগণ খুশি হবে৷''
গত ২৫ আগস্টের সেনা অভিযানের পর থেকে ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ বাংলাদেশ চায়, গত কয়েক দশক ধরে যারা গিয়েছেন এবং সম্প্রতি যারা নিপীড়ন, নির্যাতনের মুখে যেতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের সবাইকেই মিয়ানমার ফিরিয়ে নিক৷ কিন্তু মিয়ানমার সেনাপ্রধান এ প্রসঙ্গে পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ যতজনকে নেয়ার কথা বলছে, ততজনকে গ্রহণ করা অসম্ভব৷''
রোহিঙ্গাদের দিকে বাংলাদেশের সাহায্যের হাত
গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ তাঁদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি নানান সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷ ছবিঘরে তারই কিছু নমুনা...
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে দীর্ঘ লাইন
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য রোহিঙ্গাদের লাইন৷ কুতুপালং ছাড়াও টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি কেন্দ্রে চলছে এই নিবন্ধন কার্যক্রম৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নিবন্ধনে বিজিবি
কতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে কাজ করছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা৷ একেকটি কেন্দ্রে দিনে গড়ে ৭০০ জনের মতো রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নিবন্ধিত
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পর দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী হারুনুর রশীদ ও মোহাম্মদ দিনার৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
সরকারি ত্রাণ
রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিতে নানাভাবে এগিয়ে এসেছে বাংলদেশ সরকার৷ উখিয়ার কুতুপালংয়ে ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী৷
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী৷ ৪৬টি দেশের কূটনীতিকরাও ছিলেন তাঁর সঙ্গে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
কূটনীতিকদের আশ্বাস
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে গিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন কূটনীতিকরা৷ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহায়তার ঘোষণাও দেন তাঁরা৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
শিশুসেবা
টেকনাফের শরণার্থী শিবিরগুলোতে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের টিকা দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নতুন শিবির
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বালুখালীতে দুই হাজার একর জায়গায় শিবির গড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
তাঁবুর রাজ্য
শরণার্থীর চাপে এরইমধ্যে বালুখালীর এই অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রের সীমানা কয়েকগুণ বড় হয়েছে৷ উখিয়ার পাহাড়-টিলার সবখানেই এখন শরণার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
নতুন বসতি
নতুন নতুন পাহাড়ের গাছপালা কেটে প্রতিদিনই নিজেদের বসতি গড়ছেন রোহিঙ্গারা৷
ছবি: DW/M. Mostqfigur Rahman
11 ছবি1 | 11
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এইচআরডাব্লিউ এবং অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এক প্রতিবেদনে লিখেছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতার কারণে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়েছে রোহিঙ্গারা৷ ব্যাপক হত্যা, নির্যাতন এবং ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও দাবি করা হয় প্রতিবেদনে৷
দিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক বিশেষ দূত, হলিউড সুপারস্টার অ্যাঞ্জেলিনা জোলি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নারীদের ওপর যৌন সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷
‘ব্র্যাঞ্জেলিনার’ উত্থান-পতন
‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ – মানে ব্র্যাড পিট আর অ্যাঞ্জেলিনা জোলি৷ গত এক দশক জুড়ে এরাই হলিউডের সবচেয়ে আলোচিত জুটি৷ তাঁদের রোম্যান্স, সন্তানের জন্ম, দত্তক নেওয়া, বিয়ে – সবই উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে৷ আর এবার এলো সংসার ভাঙার গল্প৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B.Pedersen
পথ চলার শুরু
২০০৪ সালের কথা৷ ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ ছবিতে অভিনয় করার সুবাদেই আলাপ আরো গভীর হয়েছিল ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলির৷ ব্র্যাড তখন বিবাহসূত্রে অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনের সঙ্গে বাঁধা৷ কিন্তু তারপরও সংবাদমাধ্যমগুলোয় পিট-জোলির রোম্যান্সই ছিল সবচেয়ে আলোচিত৷
ছবি: picture-alliance/kpa
বিরাট পরিবার
‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ দম্পতির ছয় সন্তান৷ পিটের সঙ্গে সম্পর্ক শুরুর আগেই জোলি কম্বোডিয়ান বংশোদ্ভূত পুত্র সন্তান ম্যাডক্স আর ইথিওপীয় বংশোদ্ভূত কন্যা জাহারাকে দত্তক নেন৷ এরপর ২০০৬ সালে নামিবিয়াতে মেয়ে শিহলের জন্ম দেন জোলি৷ ঠিক একবছর পর ভিয়েতনাম থেকে আরেক ছেলে প্যাক্সকে দত্তক নেন ব্যাড ও অ্যাঞ্জেলিনা৷ পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৮ সালে ফ্রান্সের নিস শহরে জোলি জন্ম দেন ভিভিয়েন ও নক্স নামে তাঁদের যমজ সন্তানকে৷
ছবি: picture-alliance/abaca/E. Pantaleo
সাজানো সংসার
দক্ষিণ ফ্রান্সের এই ‘ভিনেয়ার্ড’ বা ওয়াইনের বাগানেই নিজেদের স্বপ্নের ঘর বেধেছিলেন জোলি-পিট৷ এটা ২০০৮ সালের কথা৷ প্রাসাদের মতো বাড়িটির নাম রেখেছিলেন ‘শাতোঁ মিরাভেল’৷ পরে এখানেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ব্র্যাড পিট আর অ্যাঞ্জেলিনা জোলি৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Gangne
পথে হলো দেরি...
২০০৬ সালে একটি সাক্ষাৎকারে জোলি বলেছিলেন, ‘‘আমার দেশে যতদিন পর্যন্ত সকলে, প্রতিটি মানুষ আইনত বিয়ের অধিকার না পাচ্ছে, আমি বিয়ে করবো না৷’’ পরবর্তীতে ২০০৯ এবং ২০১১ সালেও জোলি সমকামীদের অধিকার আদায়ে তাঁর সেই বক্তব্য আবারো তুলে ধরেন৷ অবশেষে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সমকামীরা বিয়ের পূর্ণ অধিকার পায়৷ জোলি অবশ্য এর এক বছর আগেই বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/abaca/H. Nebinger-Orban
গরিবের বন্ধু
জোলি-পিট দু’জনেই বার বার গরিব-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত নিউ অর্লিন্সের বাসিন্দাদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দিয়েছিলেন৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ছিন্নমূল শিশুদের সহায়তা তো করেছেনই, আফ্রিকা ও এশিয়াতেও উড়ে গেছেন ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’৷ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দরিদ্র শিশু আর শরণার্থীদের দিকে৷ তাই ২০০১ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর বিশেষ দূত নিয়োজিত হন জোলি৷
ছবি: Getty Images/T. Stoddart
সাহসী পদক্ষেপ
অ্যাঞ্জেলিনার মা মারা যান স্তন ক্যানসারে৷ সেই জিন তাঁর শরীরেও৷ তাই রোগ প্রতিরোধে ‘মাস্টেকটমি’ বা স্তনব্যবচ্ছেদ করান এই আইকনিক অভিনেত্রী৷ অন্যদের প্রেরণা দিতে শোনান সে কাহিনিও৷ বলেন, অপারেশনের পর বুকে ফ্লুইড ড্রেইন করার টিউব আর এক্সস্প্যান্ডার লাগানো অবস্থায় জেগে উঠতে কেমন লাগে৷ সে সময়, অর্থাৎ ২০১৩ সালে জোলি বলেছিলেন, ‘‘ব্র্যাডের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের৷ ও আমায় শক্তি জোগায়৷’’
ছবি: Getty Images/J. Merritt
অবশেষ বিয়ে
২০১৪ সালে ফ্রান্সে নিজেদের বাড়ির পাশেই একটা ছোট্ট গির্জায় পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে একেবারে ঘরোয়াভাবে বিয়ে করেন জোলি ও ব্র্যাড৷ বিয়েতে বড় দুই ছেলে ম্যাডক্স ও প্যাক্সের হাত ধরে মঞ্চে হেঁটে যান অ্যাঞ্জেলিনা৷ মেয়ে জাহারা ও ভিভিয়েন নবদম্পতির মাথায় ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে দেয়৷ আর ছেলে শিহল ও নক্স ছিল আংটিবাহক৷ সে সময় ব্র্যাড পিট আর অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বয়স ছিল যথাক্রমে ৫০ ও ৩৯ বছর৷
ছবি: Imago/Levine-Roberts
বিচ্ছেদের পূর্বাভাস
২০১৫ সালে ‘বাই দ্য সি’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেন ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’৷ ছবিটি মূলত ছিল একটা সংসার ভাঙার গল্প৷ সেই গল্প এবার তাঁদের জীবনেও সত্য হতে চলেছে৷ তাহলে কি ‘বাই দ্য সি’ ছিল যৌথ জীবন ভেঙে যাওয়ার পূর্বাভাস? এ প্রশ্নের উত্তর তো একমাত্র ব্র্যাঞ্জেলিনাই দিতে পারে৷ সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন খবর বলছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে শেষবার তাঁদের একসঙ্গে একটি রোস্তোরাঁয় দেখা গিয়েছিল৷