কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসিকের মতে, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মহামারি মোকাবেলায় সফলতা দেখানো নারী নেত্রীদের একজন শেখ হাসিনা৷ কিউসিকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাই কমিশন৷
বাংলাদেশের হাইকমিশনের বিবৃতি অনুযায়ী কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেছেন, ‘‘আমি সবসময়ই অনেক নারী ও মেয়েদের দেখে অনুপ্রাণিত হই, আর এবার আমাদের কমনওয়েলথে তিনজন অসাধারণ নেতার নাম নিতে চাই, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন, বারবাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোতলি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নিজ নিজ দেশে কোভিড-১৯ মহামারির সময় তাদের নেতৃত্বের জন্য৷’’
প্যাট্রিসিয়া বলেন, ‘‘আরও অনেক নারীর মতো এই তিন নেতাও তাকে আশার আলো দেখান এমন একটি পৃথিবীর জন্য যা নারী-পুরুষ সবার সম্মিলিত সুন্দর ভবিষ্যৎ এবং স্বার্থ নিশ্চিত করতে পারে৷’’
এফএস/জেডএ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
গত বছরের ছবিঘরটি দেখুন...
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্বে যে নারীরা
বিশ্বের কয়েকজন নারী নিজেদের অবস্থান থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/W. Berrazeg
আঙ্গেলা ম্যার্কেল
‘জার্মানির ৬০ ভাগ নাগরিক করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন’ সরাসরি এমন মন্তব্য করে প্রথমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে এসেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ তারপর করোনা সংকটকে জার্মানির জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে বর্ণনা করে দেশবাসীকে সতর্ক করে দেন ম্যার্কেল৷সংকট মোকাবেলায় তার সব পদক্ষেপের প্রশংসা হচ্ছে৷ করোনায় কম মৃত্যুহারের জন্য জার্মানির প্রশংসার সময়ও আসছে তার নাম৷
ছবি: Reuters/M. Schreiber
মারলিন আড্ডো
জার্মানির হামবুর্গ-এপেনডর্ফ মেডিকেল সেন্টারে নিজের দলের সঙ্গে কোভিড ১৯ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টায় ব্যস্ত এখন মারলিন আড্ডো৷ ভায়রোলজিস্ট মারলিন এর আগে ইবোলা ভাইরাস এবং মার্স করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন৷
ছবি: Privat
জাসিন্ডা আর্দার্ন
প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দার নেতৃত্বে করোনাভাইরাসকে এখনো হুমকি হতে দেয়নি নিউজিল্যান্ড৷ প্রথমে সীমান্ত বন্ধ করে দেন তিনি৷ বিদেশ থেকে আসা প্রায় বন্ধ করে ঘোষণা দেন, কেউ এলে তাকে সেল্ফ কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে দুই সপ্তাহ৷ মাত্র ৬ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ার পরই সারাদেশে ঘোষণা করেন লকডাউন৷ ফলাফল এখনো মাত্র১০২ জনের দেহে সংক্রমণ এবং একজনেরও মৃত্যু না হওয়া৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. Perry
জুং ইউন কিয়ং
দক্ষিণ কোরিয়ার সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরিচালক তিনি৷ তবে এই পরিচয় ছাপিয়ে এখন সবাই তাকে'জাতীয় বীর' হিসেবে চেনে৷ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর রাতের ঘুম ভুলে গিয়েছিলেন, সহকর্মীদের অনুরোধেও অফিস ছাড়তে চাইতন না৷ সবার জন্য করোনা-পরীক্ষা নিশ্চিত করায় আন্তরিক পদক্ষেপ নিয়ে সংকট নিয়ন্ত্রণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই নারী৷
ছবি: picture-alliance/Yonhapnews Agency
মেটে ফ্রেদেরিকসেন
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী নিজের দেশে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অবলম্বন করে আসলে ইউরোপকেও পথ দেখিয়েছেন৷ মার্চের মাঝামাঝি থেকেই করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি৷
ছবি: Reuters/Ritzau Scanpix
সাই ইং-ওয়েন
তার দেশ তাইওয়ানে করোনাভাইরাস ভয়াবহ সংকটের জন্ম দেবে বলে আশঙ্কা ছিল বিশেষজ্ঞদের৷ কিন্তু চীনে সংক্রমণ বাড়া শুরু হতেই চীন, হংকং এবং ম্যাকাও থেকে কারো তাইওয়ানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে তার সরকার৷ তারপর পর্যায়ক্রমে নেয়া হয় কর্নার সংক্রমণ রোধের আরো কিছু কঠোর পদক্ষেপ৷ তার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে তাইওয়ানে করোনাভাইরাস এখনো বড় আতঙ্ক হয়ে ওঠেনি৷