1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেঙেন চুক্তির দিন শেষ?

২০ নভেম্বর ২০১৫

প্যারিস সন্ত্রাসের পর ইইউ-তে ভিসা ছাড়া এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাতায়াতের সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং শুধু ফ্রান্সের তরফ থেকেই নয়৷ তথাকথিত বলকান রুটের দেশগুলিও সব উদ্বাস্তুকে ঢুকতে দিতে রাজি নয়৷

Belgien Frankreich Innenminister Bernard Cazeneuve in Brüssel
ছবি: Reuters/E. Vidal

ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা আজ শুক্রবার সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরো জোরদার করা নিয়ে কথাবার্তা বলছেন৷ এর পটভূমিতে রয়েছে প্যারিস সন্ত্রাস ও তার পরবর্তী ঘটনাবলী৷ এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি – নেবার প্রশ্নও ওঠে না – তবুও মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেঙেন চুক্তির অন্ত নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে৷

ইইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেই সঙ্গে আইনমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের ডাক আসে ফ্রান্সের তরফ থেকে, এমনকি ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বের্নার কাজন্যোভ বহু ‘‘সময় নষ্ট'' হওয়ার কথা বলেছেন৷ তাঁর ক্ষোভের কারণ একটি নয়, দু'টি: প্রথমত, সন্ত্রাসীদের আগমন, উপস্থিতি বা গতিবিধি সম্পর্কে বিভিন্ন ইইউ সদস্যদেশগুলির মধ্যে খবরাখবর বা তথ্যের আদানপ্রদান দৃশ্যত ত্রুটিযুক্ত ও পূর্ণাঙ্গ নয়৷ দ্বিতীয়ত, উদ্বাস্তু সংকটের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসীরা ইইউ-তে ঢুকছে কিনা, তা-ও নিশ্চিত নয়৷ কাজেই ইউরোপকে আবার ‘‘দুর্গে'' পরিণত করার দাবি – অথবা দুশ্চিন্তা – দেখা দেবে বৈকি৷

প্যারিসের স্যাঁ ডেনি এলাকায় বুধবার ফরাসি পুলিশ যে অভিযান চালায়, সেখানে মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে ঘোষিত সন্ত্রাসী আবদেলহামিদ আবাউদ নিহত হয়৷ অথচ আবাউদ সিরিয়ায় আছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছিল৷ গত জুলাই মাসে বেলজিয়ামের একটি আদালত আবাউদকে তার অনুপস্থিতিতে ২০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে৷ তার প্যারিসে থাকার হদিশটা আসে দৃশ্যত মরক্কোর গুপ্তচর বিভাগের কাছ থেকে৷

নয়ত ২০১৪ সালের গোড়ায় জার্মানির কোলোন-বন বিমানবন্দর থেকে সে ইস্তানবুল যাত্রা করে, যেখানে তাকে নিয়ন্ত্রণ করার পরেও বিমানে উঠতে দেওয়া হয়৷ এর সঙ্গে যদি যোগ করা যায় যে, ইউরোপে বিগত কয়েক বছরের অধিকাংশ সন্ত্রাসী আক্রমণের নায়ক ছিল ইউরোপে যাদের জন্ম ও বাস, এমন সব সন্ত্রাসীরা, তাহলে বোঝা যায়: শেঙেন ইউরোপের সমস্যা নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রয়োজন তাদের বহির্সীমান্তে বাস্তবিক ও কার্যকরি নিয়ন্ত্রণ৷

বলতে কি, দিমিত্রিস আভ্রামোপুলোস, ইইউ-এর অভিবাসন, স্বরাষ্ট্র ও নাগরিকত্ব বিভাগের কমিশনার তাঁর টুইটে দু'টিকে যুক্ত করে লিখেছেন: ‘‘মুক্ত চলাফেরার শেঙেন এলাকা ঠিকমতো কাজ করতে পারে শুধুমাত্র যদি বহির্সীমান্ত সুরক্ষিত থাকে৷''

ইউরোপীয় পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্তের আগেই ক্রোয়েশিয়া জানিয়েছে যে, তারা শুধু সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের মতো যুদ্ধপীড়িত দেশ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের ঢুকতে দেবে৷ সার্বিয়া ও মেসিডোনিয়া থেকেও অনুরূপ বিবৃতি এসেছে৷

শেঙেন চুক্তির দিন কি সত্যিই শেষ হতে চলেছে? জানান আপনার মতামত, নীচের ঘরে৷

এসি/জেডএইচ (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ